যিনি নিজের মেধা খাটিয়ে পণ্য উৎপাদনের জন্য কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাকে বলে উদ্যোক্তা। আর তার নতুন উদ্যোগকে বলে স্টার্টআপ। স্টার্টআপের ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তাকে যেসকল বিষয়ের ওপর লক্ষ্য রাখতে হয় তা হলো ব্যবসায়িক কলাকৌশল, পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন ।
বাংলাদেশে স্টার্টআপের সম্ভাবনা অনেক। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক নির্দেশনা, জ্ঞান ও পর্যাপ্ত সহায়তা। বাংলাদেশের স্টার্টআপদের উদ্ভাবনী ধারণাকে ব্যবসায় রূপান্তরিত করে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ উৎসাহিত করা যেমন সম্ভব, তেমনি বেকারত্ব দূর করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব।
বর্তমানে দেশে সক্রিয় স্টার্টআপ আছে ১,২০০টি। এই খাতে মোট ১৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের (ICT) অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সাল থেকে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে স্টার্টআপদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া শুরু করে।
এছাড়া কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপ বৈদেশিক বিনিয়োগ পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের ব্যয়- সংক্রান্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার ও টার্নওভার করহার ০.৬০% থেকে কমিয়ে ০.১০% করার প্রস্তাব করা হয়। স্টার্টআপে অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে।
যেমন গ্লোবাল স্টার্টআপ র্যাঙ্কিংয়ে ১০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৩তম। দেশে স্টার্টআপের কথা উঠলেই সামনে আসে পাঠাও, শপআপ, সহজ, সেবা এক্সওয়াইজেড, অভিযাত্রিক, চালডাল, টেন মিনিট স্কুল, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রিশন, হ্যালো টাস্ক, আই ফারমার, লুপ, শাটল, ট্রাক লাগবে ও যান্ত্রিকসহ বেশ কিছু নাম।