পদার্থ বিজ্ঞান

মহাকর্ষ বল কাকে বলে? মহাকর্ষ বল এর ইতিহাস | মহাকর্ষ বলের বৈশিষ্ট্য

1 min read

মহাকর্ষ বল কাকে বলে?

মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তু কণার মধ্যবর্তী আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বল বলে।

যেকোনো ভরের বস্তুদ্বয় একে অপরকে যে বলে আকর্ষণ করে তা হলো মহাকর্ষ

প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের একটি হলো মহাকর্ষ বল

স্যার আইজাক নিউটন ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা গ্রন্থে এ বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন।

বিজ্ঞানী নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। যা নিউটনের মহাকর্ষ বলের সূত্র নামে পরিচিত।

আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাকর্ষ বলের সবচেয়ে সঠিকভাবে আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (আইনস্টাইন দ্বারা প্রস্তাবিত) দ্বারা বর্ণনা করা হয়। আইনস্টাইনের মতে স্থান-কালের বক্রতার কারণেই মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়।

তবে মহাকর্ষ বলকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে অভিকর্ষজ বল সম্পর্কেও ধারণা থাকা প্রয়োজন।

অভিকর্ষজ বল হলো পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে উপরস্থ সকল বস্তুকে যে বলে আকর্ষণ করে সেই বল। সর্বপ্রথম নিউটন অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারনা দিয়েছিলেন।

 

মহাকর্ষ বল এর ইতিহাস

অতি প্রাচীনকাল থেকেই আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল ছিল। ডেনমার্কের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী টাইকো ব্রাহে (Tycho Brahe) বহু বছর ধরে বিভিন্ন গ্রহের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের গতি সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করেন। পরবর্তীকালে ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে ওই তথ্যগুলির সহায়তায় এবং আরো অনেক পর্যবেক্ষণের পর ডেনমার্কের আরো একজন জ্যোতির্বিদ জোহানেস কেপলার (Johannes Kepler) এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গ্রহগুলি কোনো এক বলের প্রভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে অবিরত ঘুরছে।

মহাকর্ষ বলের বৈশিষ্ট্য

১) মহাকর্ষ বল অতি দুর্বল ধরনের।

২) দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বল পারস্পরিক ক্রিয়া – প্রতিক্রিয়ার বলরূপেই দেখা যায়।

৩) মাধ্যমের পরিবর্তন বা অন্য কোনো বস্তুর নিকট নিউটনের মহাকর্ষ বলের সমীকরণ অভিন্ন থাকে।

5/5 - (22 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x