ট্রানজিস্টর কাকে বলে? ট্রানজিস্টরের প্রকারভেদ | ট্রানজিস্টরের ব্যবহার | ট্রানজিস্টরের কাজ
ট্রানজিস্টর কাকে বলে?
দুটি একই ধরনের অর্ধপরিবাহীর মধ্যস্থলে এদের বিপরীত ধরনের অর্ধপরিবাহী বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরস্পরের সাথে যুক্ত করে যে যন্ত্র বা কৌশল তৈরি করা হয় তাকে ট্রানজিস্টর বলে।
ট্রানজিস্টর হলো ইলেকট্রনিক্সের সুইচ যার একপ্রান্তে কারেন্ট প্রবাহ করলে অপর প্রান্তে তা বর্ধিত আকারে পাওয়া যায়।
যে ডিভাইস দিয়ে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা অর্থাৎ সার্কিটের কোথায় কেমন কারেন্ট প্রবাহ হবে এবং তা প্রয়োজন মতো বর্ধিত করা যায় তাকে ট্রানজিস্টর বলে।
ট্রানজিস্টর |
ট্রানজিস্টরের প্রকারভেদ
ট্রানজিস্টর দুই প্রকার। যথা –
১। npn – ট্রানজিস্টর
২। pnp – ট্রানজিস্টর
১। npn – ট্রানজিস্টর
দুটি n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের স্থাপন করলে p-n জাংশনের সৃষ্টি হয় এবং npn ট্রানজিস্টর গঠিত হয়।
২। pnp – ট্রানজিস্টর
এটি মূলত npn ট্রানজিস্টরের উল্টো। দুটি p-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের মাঝে একটি n-টাইপ সেমিকন্ডাক্টরের স্থাপন করলে p-n জাংশনের সৃষ্টি হয় এবং npn ট্রানজিস্টর গঠিত হয়।
ট্রানজিস্টরের ব্যবহার
ইলেকট্রনিক্সের যত ছোট চিপস আছে যেমন কম্পিউটারের প্রসেসর, র্যাম, মাদারবোর্ডের আইসি, মোবাইলের মাদার বোর্ড, আইসি, মেমোরি, ক্যামেরা ইত্যাদি যত ছোট ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস আছে সবগুলো ট্রানজিস্টর ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এজন্য বলা যায় ইলেকট্রনিক্সে ট্রানজিস্টরের ভূমিকা অনেক বেশি।
ট্রানজিস্টরের কাজ
ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ট্রানজিস্টর দুই ভাবে কাজ করে যথাঃ শক্তি বর্ধক এবং সুইচিং হিসাবে। অ্যাপ্লিফায়ার ও অ্যামপ্লিফিকেশন করার জন্য ট্রানজিস্টার ব্যবহার করা হয়। সার্কিটের ভোল্টেজ এবং লো সিগন্যালকে বর্ধিত করার জন্য ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয় এবং সার্কিটের ভোল্টেজ প্রবাহের সময় কোথায় কোন ভোল্টেজ আটকাতে হবে, কোথায় ছাড়তে হবে, ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে এভাবে সুইচ হিসাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।