রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?
যে শক্তি বলে অণুতে পরমাণুগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে, তাকে বন্ধন বা রাসায়নিক বন্ধন বলে। যেমন – পানির (H2O) একটি অণুতে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু রাসায়নিক বন্ধনে যুক্ত থাকে।
রাসায়নিক বন্ধনের প্রকারভেদ
রাসায়নিক বন্ধন বিভিন্ন প্রকার হয়।
- আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন
- সমযোজী বন্ধন
- ধাতব বন্ধন
এছাড়াও রয়েছে-
- সন্নিবেশ বন্ধন
- হাইড্রোজেন বন্ধন
- ভ্যান্ডার ওয়ালস শক্তি
রাসায়নিক বন্ধন গঠনের কারণ
শুধু নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের পরমাণুসমূহ মুক্ত অবস্থায় প্রকৃতিতে থাকে। অন্যান্য সব মৌলের পরমাণুসমূহ মুক্ত অবস্থায় থাকে না। শুধু তাই নয়, নিষ্ক্রিয় মৌলসমূহ সহজে অন্যান্য মৌলসমূহের সাথে বা নিজেদের মধ্যে কোনো যৌগ গঠন করে না। তাই অন্যান্য মৌলগুলো ইলেকট্রন শেয়ার বা আদান – প্রদানের মাধ্যমে যৌগ গঠন করে, যা রাসায়নিক বন্ধন নামে পরিচিত। অর্থাৎ মৌলগুলো অষ্টক ও দুই এর নিয়ম অনুসরণ করে সর্বশেষ শক্তিস্তরে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন কাঠামো লাভের মাধ্যমে সুস্থিতি অর্জন করে। এ কারণেই মৌলসমূহ বন্ধন গঠন করে।