Modal Ad Example
জীববিজ্ঞান

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কাকে বলে? বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের উদ্দেশ্য, বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের প্রধান অঞ্চল

1 min read

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ কাকে বলে?

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভকে বলা যায় Living Laboratories। এটি এমন একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগলিক অঞ্চল, যেখানে বিপন্ন, বিরল ও বিপদাপন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীগোষ্ঠীদের সঙ্গে সঙ্গে স্থলজ, জলজ ও বায়ুবীয় বাসস্থলকে একত্রিতভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

বায়োস্ফয়ার রিজার্ভ শব্দটি 1968 সালে MAB দ্বারা আয়োজিত সেমিনারে প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল। এই সেমিনারে প্রধান আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিল ‘The rational use and conservation of the resources of the biosphere’। এই সেমিনারে গৃহীত সুপারিশগুলি হলো –

১) প্রত্যেকটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর আদি বাসভূমি সংরক্ষণ এবং

২) বিপন্ন, বিপদাপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর সংরক্ষণ ও প্রজাতির সংখ্যা বৃদ্ধি।

 

প্রকৃতপক্ষে 1969 সালে পৃথিবীব্যাপী উদ্ভিদ ও প্রাণীগোষ্ঠীর সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে MAB এর তত্ত্বাবধানে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান চিহ্নিত করা হয়। তবে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর সৃষ্টি নিয়ে বহু মতামত রয়েছে। বেশির ভাগ জীববিজ্ঞানী মনে করেন 1971 সালে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়। 1976 সালে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ প্রথম শনাক্তকরণ করা হয়।

MAB দ্বারা চিহ্নিত 1986 সালে বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের সংখ্যা ছিল 261টি, যা মূলত 70 টি দেশে চিহ্নিত করা হয়। 2005 সালে এর সংখ্যা দাঁড়ায় 499টি।

 

বর্তমানে ভারতবর্ষে মোট বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ এর সংখ্যা 18 টি, যার মধ্যে 4টি MAB দ্বারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এগুলি হলো –

১) নীলগিরি বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ

২) মান্নান উপসাগরে সামুদ্রিক বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ

৩) সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ,

৪) নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ।

বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের সংরক্ষণের জন্য যৌথভাবে UNESCO ও UNEP কাজ করছে। 1974 সালে প্রথম প্রকাশিত হয় বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ সংরক্ষণের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলিসমূহ। পরবর্তীকালে 1981 সালে UNESCO বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যসমূহ প্রকাশ করে। এর মূল বিষয়বস্তু ছিল – বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ সুরক্ষিত এলাকাগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক সংযোগ গঠন করে যেখানে গবেষণা, পরিবেশগত নিরীক্ষণ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ বাস্তুতান্ত্রিক ও জিনগত বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ সম্মিলিতভাবে সংরক্ষণের একটি সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলে। বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্রের উদাহরণ হিসেবে প্রতিনিধিস্বরূপ নির্বাচিত হয়ে থাকে।

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের উদ্দেশ্য

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের প্রধান 3টি উদ্দেশ্য হলো –

১) জীবগোষ্ঠীর সংরক্ষণ।

২) মানুষ ও বায়োস্ফিয়ার পরিকল্পনা-র অন্তর্গত প্রজাতির গবেষণা ও নিরীক্ষণ।

৩) পরিবেশের সংরক্ষণ ও মানব উন্নয়ন অর্থাৎ উক্ত অঞ্চল বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানব অর্থনীতির স্থিতিশীল উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করা।

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের প্রধান অঞ্চল

বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের প্রধান তিনটি অঞ্চল থাকে। যথা –

১) কেন্দ্রীয় অঞ্চল,

২) বাফার অঞ্চল,

৩) প্রান্তবর্তী অঞ্চল

এই তিনটি অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে নিরীক্ষণ কেন্দ্র বা গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়, যেখানে বন্যাকর্মী ও গবেষকরা বিভিন্ন প্রজাতির বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রজাতির বংশবিস্তার, প্রজনন, অভিযোজন নিয়ে গবেষণা করেন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x