উত্তম জীবন সঙ্গী সবারই প্রত্যাশা। প্রত্যেক নারীই উত্তম স্বামী আর প্রত্যেক পুরুষই উত্তম স্ত্রীর আকাঙ্খা করে। এ প্রত্যাশা পুরণে আল্লাহর ওপর একান্ত আস্থা ও বিশ্বাসের বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের দোয়া শিখিয়েছেন।
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পাওয়ার দোয়া
অনেক মানুষই জানতে চায় কিংবা দুঃশ্চিন্তায় থাকে যে, কিভাবে উত্তম স্বামী কিংবা স্ত্রী পাওয়া যায়। আবার বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীও জানতে চায় কিভাবে উত্তম সন্তান লাভ করা যায়। তাদের জন্যই এ কুরআনি আমল-
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পাওয়ার কোরআনি দোয়া ও আমল হলোঃ
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
বাংলা উচ্চারণঃ ‘রাব্বানা হাব্লানা মিন আযওয়াঝিনা ওয়া জুর্রিয়াতিনা কুর্রাতা আইয়ুনিও ওয়াঝআলনা লিলমুত্তাক্বিনা ইমামা।’
অর্থঃ ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দাও।’ (সুরা ফুরক্বান : আয়াত ৭৪)
যারা মহান আল্লাহর কাছে উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের প্রত্যাশা করে, তাদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে তারই শেখানো ভাষায় আবেদন করা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারিমে বান্দাকে উত্তম স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান লাভের দোয়া শিখিয়েছেন। যেসব স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান একে অন্যের চোখকে শীতল করবে।
কুরআনুল কারিমের এ আয়াতের আমলে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক পুরুষকেই এমন উত্তম স্ত্রী ও সন্তান দান করবেন, যাদের দেখে পুরুষদের মন শান্ত হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে যে সব নারী এ দোয়ার আমল করবে, আশা করা যায়, আল্লাহ তাআলা সেসব স্ত্রীদেরকেও নয়নজুড়ানো স্বামী ও সন্তান দান করবেন।
শেষ কথাঃ
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত আল্লাহ তাআলার শেখানো ভাষায় তারই কাছে উত্তম জীবনসঙ্গী ও সুসন্তান লাভের দোয়া করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনি আমলের মাধ্যমে উত্তম জীবনসঙ্গী ও সুসন্তান লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।