দুর্বল নিউক্লিয় বল কাকে বলে? দুর্বল নিউক্লিয় বল এর বৈশিষ্ট্য

দুর্বল নিউক্লিয় বল (Weak Nuclear Force)কাকে বলে?

নিউক্লিয়াসে বিটাক্ষয় জনিত কারণে উদ্ভূত যে স্বল্প পাল্লার এবং স্বল্প মানের বল নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ মৌলিক কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া করে তাকে দুর্বল বল বলে।

দুর্বল নিউক্লিয় বল হচ্ছে প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের একটি। অন্য তিনটি বল হচ্ছে সবল নিউক্লিয় বল, তাড়িতচৌম্বক বল এবং মহাকর্ষ বল।

তেজস্ক্রিয়তার জন্য দুর্বল নিউক্লিয় বল দায়ী, নিউক্লিয় ফিশনে তেজস্ক্রিয়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দুর্বল নিউক্লিয় বলের তত্ত্বকে কখনো কখনো কোয়ান্টাম ফ্লেভারডাইনামিক্স (QFD) বলা হয়ে থাকে।

এটাতে দুর্বল বলা হয় কারণ এটা তড়িৎ চৌম্বক বল থেকে দুর্বল (প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ) কিন্তু মোটেও মহাকর্ষ বলের মতো এত দুর্বল নয়। মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বক বল যেকোনো দুরত্ব থেকে কাজ করতে পারে কিন্তু এই বলটা খুবই অল্প দূরত্বে (10-18m) কাজ করে। তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস থেকে যে বেটা (β) রশ্মি বা ইলেকট্রন বের হয় সেটার কারণ এই দুর্বল নিউক্লিয় বল।

 

১৯৩৩ সালে এনরিকো ফার্মি সর্বপ্রথম দুর্বল নিউক্লিয় বলের প্রস্তাবনা করেন। এটি ফার্মির মিথস্ক্রিয়া নামে পরিচিত। তিনি প্রস্তাব করেন, বিটা ক্ষয় চারটি ফার্মিয়নের মিথস্ক্রিয়া দিয়ে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যেখানে একটি ব্যাপ্তিসীমাহীন সংযোগ বল থাকবে।

দুর্বল নিউক্লিয় বল এর বৈশিষ্ট্য

  • একমাত্র দুর্বল নিউক্লিয় বলের মাধ্যমেই কোয়ার্কগুলো ফ্লেভার পরিবর্তন করে। (অর্থাৎ এক ধরনের কোয়ার্ক অন্য কোয়ার্কে রূপান্তরিত হয়।)
  • এটিই একমাত্র মিথস্ক্রিয়া যা প্যারাটি প্রতিসাম্যকে ভেঙে দেয়। এটি চার্জ প্যারিটি প্রতিসাম্যতাকেও অমান্য করে।
  • এটি এমন কণা দ্বারা পরিবাহিত হয় যেগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ ভর আছে। এ ব্যাপারটি হিগস মেকানিজমের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড মডেলে অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
Rate this post

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.