প্রস্রাব ঝরে পড়ার সমস্যা কেন হয় ও চিকিৎসা কি

প্রস্রাব  ঝরে পড়ার সমস্যা কেন হয় এবং এই রোগের চিকিৎসা কি

আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচনাটি রয়েছেন প্রস্রাব ঝরে পড়ার সমস্যা কেন হয় এবং এর চিকিৎসা । প্রসাবে জ্বালা যন্ত্রণা খুবই মারাত্মক।  প্রস্রাব  অতিরিক্ত যদি কারো হয়ে থাকি তারা অবশ্যই খুবই চিন্তিত রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা।

সাধারণত আমাদের যদি সর্দি-কাশি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা যখন হাসি দেওয়ার কারনে খুব দ্রুত   প্রস্রাব  ঝরতে পারে এর চিকিৎসা সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। হাসি দেওয়ার সময় যদি প্রসাবের সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে এটা আসলে খুবই মারাত্মক । আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা এই সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকেন তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা।

আমরা দিনের বেশিরভাগ সময় ওযু করে থাকি যার কারণে প্রসাবের যদি এরকম কোন সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে আসলেই খুবই বিরক্ত কর বিসয়। হাসি দেওয়ার কারণে যদি প্রস্রাব বের হয়ে যায় অজু ভেঙ্গে যাবে যার ফলে আপনার শরীরের পোশাক পাল্টাতে হবে এটা আসলেই বিরক্তকর একটি কাজ তাই এই সমস্যা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।

আবার এমন কিছু লোক রয়েছেন যাদের প্রস্রাব আটকে রাখা চেপে রাখা কোনভাবে সম্ভব হয়না।প্রস্রাব  ধরার  সঙ্গে সঙ্গে টয়লেটে যেতে হয়। এমন কিছু লোক রয়েছেন যাদের প্রস্রাবের চাপ হলে টয়লেটে যাওয়ার আগে আগেই পোশাক নষ্ট হয়ে যায় এটা আসলেই খুবই কষ্টদায়ক সমস্যা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থাকুন এবং এ রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব ।

এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা রাত্রের বেলায় বের হতে ভয় পায় তাদের প্রচার চেপে রাখার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় এই সমস্যাগুলো তারা ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চায় না যার ফলে আরও মারাত্মক দিক তাদের অপেক্ষা করতে হয়।  অতিরিক্ত বা অতিরিক্ত মাত্রায় যদি প্রসাবের চাপ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে।

আমরা যত এই সমস্যা নিয়ে বসে থাকবো এবং লজ্জা অনুভব করব এবং লজ্জার কারনে কারও সঙ্গে শেয়ার করতে পারব না অথবা লজ্জার কারনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারব না সেক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো আপনার দিন দিন বেড়েই চলবে যার ফলে আপনার খুবই বিপদজনক মারাত্মক একটি বিপদে পড়বেন তাই অবশ্যই আপনাকে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।  এসব বিষয় নিয়ে কখনো লুকোচুরি খেলা উচিত নয় বরঞ্চ যত দ্রুত পারেন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন।

আবার এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা এই সমস্যাগুলো চুপিচুপি রাখে যার ফলে আরো বিপদ হতে পারে তারা কাউকে বলতে পারেনা আবার প্রসাদ চেপে ধরে রাখতে পারেনা দিনের পর দিন তাদের নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় কষ্ট আর কষ্ট সারাক্ষণ রাতদিন তারা প্রচুর পরিমাণে এই কষ্টই না ভুগে থাকেন।

তাদেরকে আমি বলব অবশ্যই আপনারা লজ্জ্বা না পেয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন। প্রস্রাব ধরে পড়ার সমস্যা এই সমস্যা গুলো নারী-পুরুষ উভয়ই হতে পারে কিন্তু আপনারা কখনো ধামাচাপা দিয়ে রাখবেন না বরঞ্চ যত দ্রুত পারেন কারো না কারো সাহায্য নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর চিকিৎসা করান আপনার জীবন হবে অনেক সুখের হয়।

আজকের  আলোচনা রয়েছে প্রস্রাব ঝরে পড়ার সমস্যা কেন হয় এবং এই রোগের চিকিৎসা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে উল্লেখিত ভাবে আলোচনা করব।

প্রস্রাব ঝরে পড়ার সমস্যা বা ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স কীঃ

আবার এমন কিছু লোক রয়েছেন জাদেজা রাহাতের দেওয়ার আগেই এবং টয়লেটে যাওয়ার আগেই কাপড়ে প্রস্রাব লেগে যায় এটা আসলে খুবই মারাত্মক তাই এই রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সে বিষয়গুলো আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। সব ঝরে পড়ার এই সমস্যাকে আমরা রোগ বলে থাকি আসলে এটা রোগ নয় এটা হল মূত্রাশয় বা মূত্রনালী সংক্রান্ত রোগের লক্ষণ।

মেডিকেলের ভাষায় একে ‘ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স’ (Urinary Incontinence) বলা হয়।প্রসাবের এই সমস্যা নারী-পুরুষ উভয়ের হয়ে থাকি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা দেয় বয়স্ক লোকেদের এই সমস্যা স্বাস্থ্যের দিক থেকেও যদিও এটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নয় কিন্তু মানসিকভাবে খুবই মারাত্মক একটি সমস্যা।

এই রোগ যদি বয়স্কদের হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তারা তারা এটাকে শরীরের সাথে মানিয়ে নিতে পারে না তাদের মারাত্মক কষ্ট হয় যার ফলে খুবই নাজেহাল অবস্থা হয়ে থাকে এজন্য আমি বলব আপনারা বসে না থেকে খুব দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রসাবের সমস্যা পুরুষদের থেকে নারীদের বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও অনেক নারী নরমাল ডেলিভারির পরে সমস্যা দেখা দেয়। ইত্যাদি।

প্রথম ঝরে পড়ার কারণসমূহ গুলো জেনে নিনঃ

নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্ম দেয়ার সময়, অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি হলে কিংবা অন্য কোনো কারণে পেটের নিচের পেশীগুলো শিথিল হয়ে যেতে পারে। তখন মূত্রথলি প্রস্রাব ঠিকমতো ধরে রাখতে পারে না। মূত্রথলি নিচে নেমে যে পেশীগুলো মূত্রনালীকে চেপে রাখতে সাহায্য করে তাদের কাজে বাঁধা দেয়।

মূত্রতন্ত্রের কোনো সংক্রমণ, মূত্রথলির ক্যানসার, প্রস্টেটের সমস্যা, পারকিনসন ডিজিজ, স্ট্রোক ইত্যাদির কারণেও এ সমস্যা হতে পারে

পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রস্টেট গ্রন্থির সার্জারির পর এই সমস্যা দেখা দেয়। কোনো কারণে এই সার্জারির সময় স্নায়ু বা মূত্রনালীর চারপাশের পেশী আঘাত পেলে সেটা অকেজো হয়ে পড়তে পারে বা তার শক্তি কমে যেতে পারে। তখন মূত্রথলির উপর চাপ পড়লে প্রস্রাব আটকে রাখা যায় না।

পুরুষদের ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রস্টেট গ্রন্থির সার্জারির পর এই সমস্যা দেখা দেয়। কোনো কারণে এই সার্জারির সময় স্নায়ু বা মূত্রনালীর চারপাশের পেশী আঘাত পেলে সেটা অকেজো হয়ে পড়তে পারে বা তার শক্তি কমে যেতে পারে। তখন মূত্রথলির উপর চাপ পড়লে প্রস্রাব আটকে রাখা যায় না।

অনেক সময় প্রস্রাবের পরও মূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি হয় না। একটু একটু করে তখন মূত্র ঝরতে থাকে। মূত্রথলির পেশীগুলো দুর্বল হয়ে পড়লে বা অন্য কোনো বাঁধার জন্য (যেমন- মূত্রনালী কোনো কারণে ক্ষুদ্র হয়ে গেলে কিংবা পুরুষের ক্ষেত্রে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে) এমন হতে পারে। মূত্রনালীকে যে পেশীগুলো চেপে বন্ধ করে রাখে সেগুলোর জোর কমে গেলে সব সময় একটু একটু করে প্রস্রাব ঝরতে থাকে।

এছাড়াও স্ট্রেস অথবা টেনশনের কারণেও অনেক সময় এই সমস্যা দেখা দেয়। এটা সাধারণত ঘটে যখন কোনো কারণে মূত্রথলিতে চাপ পড়ে। যেমন- কাশি দিলে, হাঁচি দিলে, জোরে হাসলে বা ভারী ওজনের জিনিস তুললে।

পেলভিক ফ্লোর মাসল এক্সারসাইজঃ

চেয়ারে বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে একটু সামনের দিকে ঝুঁকুন। এবার প্রস্রাব ধরে রাখার জন্য দরকারি মাংসপেশীগুলো সংকুচিত করুন। এই অবস্থায় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড থেকে সংকুচিত মাংসপেশী ছেড়ে দিন। পুরো প্রক্রিয়াটি ১০ থেকে ১৫ বার এবং দিনে ৪ বার করুন। এই এক্সারসাইজটি মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে তোলে।

 ব্যায়াম  ও চিকিৎসাঃ

প্রসাবের সমস্যা দেখা দেয় সেই সমস্যাগুলো নিয়ে অনেকের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান না লজ্জার কারনে। তবে এই সমস্যা নিয়ে যদি বসে থাকেন বা লজ্জা করেন সেক্ষেত্রে প্রসাবের এই সমস্যা কিন্তু কখনো দূর হবে না এবং ভালো হতে সাহায্য করবে না যদি আপনি কোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন বরঞ্চ দিন দিন সমস্যা বাড়তে থাকবে যার ফলে আপনার কোন চিকিৎসায় কাজে লাগবে না। তাই যত দ্রুত পারেন সমস্যা লুকিয়ে না রেখে  এবং লজ্জ্বা না পেয়ে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিন।

অবশ্যই আপনাকে সমস্যার মোকাবেলা করে ডাক্তারের সঙ্গে চিকিৎসার পরামর্শ করতে হবে। আসলে আমাদের শরীরের যে রোগ গুলো হয়ে থাকে এবং যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেগুলো এমনি এমনি সারে না বরঞ্চ কিছু কিছু লোক রোগের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয় তাই এই সমস্যা যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।  অল্প থাকতে আপনাকে চিকিৎসা করাতে হবে যার কারণে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যাবে তাই এই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রসাবের এই যন্ত্রণা থেকে অল্পতেই আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে হাঁটাচলা করতে হবে হালকা কিছু ব্যায়াম রয়েছে সে ব্যায়ামগুলো করতে হবে ইত্যাদি এসব করার কারণে আপনার  কিছু কিছু সময় এবং সেগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন তাই অবশ্যই ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।

ব্লাডার ট্রেনিংঃ

এই ট্রেনিং এ প্রস্রাবের বেগ শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর প্রস্রাব করার অভ্যাস করানো হয়। এই ব্যায়ামটি প্রস্রাব ধরে রাখতে শেখায়।

ডাবল ভোয়েডিংঃ

এ প্রক্রিয়ায় প্রস্রাব করার পর কিছু সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে আবারও প্রস্রাবের চেষ্টা করা হয়। এছাড়া বেগ না এলেও ২/৪ ঘণ্টা পরপর প্রস্রাব করার চেষ্টা করতে হয়।

হোল্ড রিল্যাক্স টেকনিকঃ

আদতে এই টেকনিকটি রিল্যাক্স করার মতোই। এই ব্যায়াম করার সময় একটি পা স্ট্রেচ করে কিছুক্ষণ হোল্ড করুন। একইভাবে অন্য পায়েও টেকনিকটি ফলো করুন।

প্রতিরোধের উপায়ঃ

সমস্যা শুরু হওয়ার আগেই সেটিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা উচিত। প্রস্রাব ঝরে পড়ার সমস্যা কমাতেও তাই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমনঃ

টেনশনমুক্ত থাকুন এক্সারসাইজ করে মূত্রথলির মাংসপেশীকে শক্তিশালী করুন বেশি করে পানি পান করুন অতিরিক্ত চা, কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন।

রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করা নিয়ে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ সুস্থ থাকার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করা জরুরি। প্রস্রাব ঝরে পড়ার সমস্যা যেহেতু পরবর্তীতে আরও রোগের সৃষ্টি করতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *