কোন আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা সবচেয়ে বেশি, সবুজ রঙের আলোয় চোখের সংবেদনশীলতা সবচেয়ে বেশি কেন?, রেটিনা গঠন কি?
কোন আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা সবচেয়ে বেশি
কোন আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা সবচেয়ে বেশি খোলা আকাশের দিকে তাকালে প্রথমেই আমাদের আকাশটাকে নীল রংয়ের মনে হয় তবে আকাশের নির্দিষ্ট কোনো রং না থাকার পরও কেন আকাশের রং নীল দেখা যায় এ নিয়ে অনেকের মধ্যেই অনেক ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকেন। অনেকের মধ্যে কৌতূহলবশত প্রশ্ন জাগে মানুষের চোখে কোন রংয়ের বাক্য মানুষের চোখের আলোতে সংবেদনশীলতা কোন রঙের ক্ষেত্রে বেশি থাকে।
সহজেই এই প্রশ্নের উত্তরটি আমাদের মাথায় এসে যায় কারণ আকাশে যেহেতু কোন রং নেই আর আকাশের দিকে তাকালে আমরা আকাশের নীল দেখতে পাই। সুতরাং আমাদের চোখে সবচেয়ে বেশি মনে হয় নীল রঙ ধরা পড়ে তবে প্রশ্নের উত্তরটি যদি আপনার মাথায় এরকম জেগে থাকে তাহলে একেবারেই ভুল নয় কারণ মানুষের চোখের নীল রঙের সংবেদনশীলতা বেশি।
আমাদের চোখ বেগুনি রঙের শ্রেণীর আলোর প্রতি বেশি সংবেদনশীল। ফলে সব মিলিয়ে আমাদের চোখে পড়ে। তাই আমরা বলতে পারি কোন আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা সবচেয়ে বেশি নীল আলোয়। তবে আমাদের সংগৃহীত এবং উপস্থাপিত তত্ত্বের বাইরে যদি আপনার কাছে কোন সঠিক তথ্য পরামর্শ থাকে যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চান বা অন্যকে জানাতে চান সেটা কিন্তু কমেন্টের মাধ্যমে লিখে জানিয়ে দিতে পারেন আমরা সব সময় পাঠকের মূল্যবান মন্তব্য গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকি।
চোখের গঠন কি? চোখের লেয়ার কয়টি
মানুষের চোখের তিনটি লেয়ার থাকে যার সবচেয়ে বাইরের লেয়ারটি কর্নিয়া এবং স্কেলার দিয়ে তৈরি। এর আরেক নাম ফাইব্রাস লেয়ার। মাঝখানের লেয়ারটি ভাস্কুলার যাকে ইউরিয়া বলা হয় এবং একটি করে এবং সিলিয়ারি বডি দিয়ে গঠিত। সবথেকে ভেতরে রয়েছে নার্ভাস রেটিনা। এই ভেতরে স্তর এটি চোখের একটি সংবেদনশীলতা প্রায় প্রতিটি মেরুদন্ডী প্রাণীর মধ্যে থাকে।
রেটিনা গঠন কি? রেটিনায় কয় ধরনের কোষ আছে? রেটিনার কাজ কি?
রেটিনার এবং কোন নামে দুই ধরনের কোষ থাকে যা আলোয় উপস্থিতি, রঙের পার্থক্য এবং গভীরতা বুঝতে সহায়তা করে। রেটিনায় আমাদের চোখের সামনে থাকা বস্তুর প্রতিবিম্ব তৈরি হয় অপর্ণার যায় এভাবে আমরা বস্তুটি দেখতে পাই। রেটিনার কোন ধরনের ভিন্ন ফটো পিক্সেলস নিয়ে গঠিত তাকে অফ পিগমেন্ট নামে ডাকা হয় আলোর ফটো লগে শোষণ করে যেগুলো হলো লাল নীল ও সবুজ।
আসুন জেনে নেই কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত
* বেগুনি রং-400 ন্যানোমিটার
* নীল রং- 450 ন্যানোমিটার
* হলুদ রং- 580 ন্যানোমিটার
* কমলা রং- 600 ন্যানোমিটার
* লাল রং- 650 ন্যানোমিটার
আমাদের চোখে দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত
মানুষের চোখ সাধারণত 380 থেকে 700 মিটারের তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলো সমূহ দেখতে পায়। অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে আলোর এই পরিসীমার বাইরে কম কিংবা বেশী তরঙ্গদৈর্ঘ্য দেখতে পায় তাই অনেক সময় আমরা যা দেখি না অন্য প্রাণীরা তা দেখতে পাই। মানুষের চোখের দৃষ্টি সীমার মাঝামাঝি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য আছে সবুজ রঙের।
সবুজ রঙের আলোয় চোখের সংবেদনশীলতা সবচেয়ে বেশি কেন?
স্বাভাবিক অবস্থায় একটি বক্ররেখায় প্রতিক্রিয়া দেখায় যে বক্ররেখার তরঙ্গদৈর্ঘ্য 550 ন্যানোমিটার। সবুজ আলোয় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সমান। আরে জন্য চোখ সবুজ রঙের আলোতে সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল।
সড়কে বিপদ সংকেতে লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন?
লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় অন্যসব আলোর থেকে লাল রঙের আলোর বিক্ষেপণ কম। তাই অনেক দূর পর্যন্ত লাল আলো পৌঁছাতে যেতে পারে, যা অন্যান্য আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কমের কারণে অন্য আলো ক্ষেত্রে তা হয় না। তাই গাড়ির পেছনের লাইট এবং সকল প্রকার বিপদ সংকেত হিসেবে লাল আলো ব্যবহার করা হয় যা অনেক দূর থেকে দৃশ্যমান হওয়ায় আমরা আগে থেকে দেখে সচেতন হয়ে যেতে পারি।
চোখের সংবেদনশীলতা কি
চোখ সুস্থ রাখতে যে পাঁচটি খাবার খাবেন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। চোখের দৃষ্টিশক্তির না থাকলে পৃথিবী অন্ধকার। আজকাল আমরা কমবেশি সবাই চোখের সমস্যায় ভুগি। আমাদের শরীরের অন্য অঙ্গ প্রতঙ্গের মতো চোখের যত্ন নেয়া টাও খুব বেশি জরুরি। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের হয় চোখের সমস্যা। অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের দেখা যায় মোটা লেন্সের চশমা পরতে। তবে আমরা যদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনে তাহলে চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। তাই আমাদের চোখের সামনে দাঁড়ানোর জন্য গাজর সবুজ শাক ভুট্টা টমেটো মিষ্টি আলু খেতে হবে।
চোখের আলো সংবেদনশীলতার পরিমাণ
চোখের সংবেদনশীলতার পরিমাণ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য উপর নির্ভর করে নির্ণয় করা যেতে পারে। আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশাল হতে পারে।
বিশাল তরঙ্গদৈর্ঘ্য ছোট একটা অংশ আমরা দেখতে পাই, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এর বেশি হলেও আমরা দেখতে পাই না। আবার ছোট ছোট হলেও আমরা দেখতে পাই না। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 500 ন্যানোমিটার থেকে 700 মিটারের ভিতরে হলে আমরা বিদ্যুৎচৌম্বকীয় তরঙ্গ দেখতে পাই এবং সেটাকে আমরা বলি আলো।
আমরা যে চোখের নানা রং দেখতে পায় সেগুলো আসলে বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য আলো। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যখন ছোট হয় সেটা হয় বেগুনি। যখন তরঙ্গদৈর্ঘ্য বাড়তে থাকে তখন সেটা হয় নীল সবুজ হলুদ লাল লাল হয়ে চোখের কাছে অদৃশ্য হয়ে যায়। মানুষ চোখের বাইরে চোখেই বাইরের তরঙ্গ দেখতে কিন্তু পোকামাকড় বাহিরেও দেখতে। বিভিন্ন আলোতে মানুষের চোখের সংবেদনশীলতার ওপর দিয়ে দেখানো রয়েছে।
আলোর খেলা
কোথায় যেন পড়েছিলাম- মানুষের চোখ এবং মস্তিষ্ক যৌথভাবে আলোকে অনুবাদ করে রঙে পরিণত করে। কথাটা মনে ধরেছিল খুব। সত্যি তো আমরা যে আমাদের চারপাশে এত এত রঙ দেখি রঙের মেলা তার কারণ কি? কারণ তো ওই আলো অপরিচিত সাদা রঙ যেন আলোর ভাষা আলো নিজেকে প্রকাশ করে নানা রূপে। আমাদের চোখের রেটিনা তিন ধরনের গ্রহীতা কোন কোষ, তারা হলো লাল নীল ও সবুজ গ্রহীতা। কারণ তারা এই তিন ধরনের রঙের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল। অর্থাৎ এই তিন ধরনের রঙের প্রতি তারা সবচেয়ে বেশি সাড়া দেয়। এইগুলো মস্তিষ্কে সিগন্যাল বা মেসেজ পাঠায় তা বিশ্লেষণ করে আমাদের মস্তিষ্ক তৈরি করেন রং দেখার অনুভূতি। নিউটন সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে কোনো বস্তুর রং নেই বরং বস্তুর পৃষ্ঠ থেকে যে রঙের আলোচিত হয়ে আসে আমরা সেটিকেই দেখি। বলাবাহুল্য এই দুটি রং প্রতিফলিত হয়ে আসে বাকিগুলো ওই বস্তু শোষণ করে নেয়।
এই গ্রীষ্মকালে বাইরে বেরোলে লাল রংয়ের কৃষ্ণচূড়া বা হলুদ রঙের সোনালু ফুল ফুটে থাকতে দেখে আমরা চোখ ফেরাতে পারি না। এই অপরূপ সৌন্দর্য তৈরি হয় আলওয়ার তরঙ্গের খেলা। তাই কোন আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা বেশি আমরা বুঝতে পারি ।মনে হতেই পারে এই সব যদি রঙের খেলা হবে তাহলে সাদাকালো মানে কী এগুলো কী রকম রং ওগুলোকে রং বলুন আর না বলুন ঘটনা হলো কোন বস্তু যদি সবগুলো রঙে প্রতিফলিত করে তাহলে সেই বস্তুর দিকে সাদা দেখায়। আর সেসব গুলো রং করে নিলে কালো দেখায়। কাল দেখা করবে কোনটিকে প্রতিফলিত তা ঐ বস্তু বৈশিষ্ট্য। আমাদের চারপাশের নানা ঘটনার আলোর খেলা দেখা যায় তার একটা উদাহরণ ছোটদের প্রশ্ন আকারে দিয়েছি। এবার দেখিস এসবের উত্তর পাওয়া যায় কিনা অনেক রকম বৈশিষ্ট্য আছে এই শক্তির। যেমন ধরুন
প্রতিফলন
অবশ্য শুধু আলো প্রতিফলিত হয় না শব্দটা বা তাপীয় হয়। তবে আলোর প্রতিফলনের যেসব ঘটনা ঘটে সেগুলো আমাদের খুব চোখে পড়ে। তবে এ নিয়ে কথা বলার আগে আরেকটি বিষয় মনে করিয়ে দেই প্রাকৃতিক শক্তিগুলোর স্থির অবস্থায় কোথাও জমা হয়ে থাকতে পারে না। তাকে সব সময় প্রবাহমান থাকতে হয় এটাই তার চরিত্র। তবে তার জন্য যেমন একটি শর্ত পূরণ করতে হয় দুটি স্থানের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য থাকার শর্ত আলোকে এ ধরনের কোনো শর্ত পূরণ করতে হয় না। সাধারণত আলো চলাচল করে শূন্যের মাধ্যমে আমরা যদি তার চলার পথে আরেকটা মাধ্যম বর্ষায় তাহলে আলোর প্রতিফলন ঘটবে। কতটুকু প্রতিফলন হবে তা নির্ভর করবে মাধ্যমে ধোনের উপর।
পরিশেষে বলা যায় যে কোন আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা বেশি সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম। নীল এবং সবুজ রঙের মধ্যে আলোতে চোখের সংবেদনশীলতা বেশি।