গলা ব্যথা হলে করণীয় কি?
সাধারণত জ্বর কাশি ঠান্ডা লাগলে গলায় ঘা ইত্যাদি এই সমস্যা গুলোর কারণে গলা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গলা ব্যথার সমস্যা ছোট-বড় সবারই হয়ে থাকে তাই গলা ব্যাথা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন গলা ব্যথা হলে করণীয় কি সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গলা ব্যথার কারণে খাবার গিলতে গেলে অনেক কষ্ট হয়। গলা ব্যথার সমস্যা খুবই মারাত্মক তাই এই গলা ব্যথা হলে করণীয় কি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব জেনে নিন।
গলা ব্যথা কেন হয়ঃ
- কোভিদ সমস্যা হলেসমস্যা হলে গলা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গলা ব্যথায় যে করোনা এটা কিন্তু ঠিক না। করোনার কারণে গলা ব্যথা হতে পারে।
- সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা গলা ব্যথা নিয়ে
- গলা ব্যথার খুব প্রচলিত কারণ হচ্ছে টনসিলাইটিস
- গলা ব্যথা যদি এক মাস বা তিন মাসের বেশি থাকে তা থেকে হার্ট বা কিডনিতে ইনফেকশন হতে পারে।
রসুনঃ
রসুনের রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া। এতে আরও আছে অ্যালিসিন নামক একটি অর্গানসালফার যৌগ। যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত যদি রসুন খেতে পারেন তাহলে গলা ব্যথার সমস্যা দূর হতে পারে। সাধারণ সর্দি কাশিগবেষণায় দেখা গিয়েছে যে নিয়মিত যদি রসুন খেতে পারেন তাহলে গলা ব্যথার সমস্যা দূর হতে পারে । সাধারণত সর্দি-কাশি জ্বর গলা ব্যথা হলে অল্প একটু সরিষার তেল এর সঙ্গে কয়েক কোয়া রসুন গরম করে তারপর গলার নিচে মালিশ করে দিন।
খুব দ্রুত গলার ব্যথা কমে যাওয়া তে সাহায্য করবে। রসুন দাঁতের জন্য খুবই কার্যকরী দাঁতের যদি জীবন থাকে রসুন জীবাণুকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি ঘটে রসুন খাওয়ার পর চেষ্টা করুন ব্রাশ করতে।
মেথিঃ
মেথি অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদান গলা ব্যথা দূর করার জন্য মেথির ব্যবহার করতে পারেন। মেথির বি এস এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করুন।মেথির বিএস এর সঙ্গে অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করুন গলা ব্যথা গলা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।
গোলমরিচঃ
সাধারণত গোলমরিচ কে আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু গোলমরিচ দিয়ে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা যায়। গোলমরিচ দিয়ে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ভ গোলমরিচ গলাব্যথা কে মুক্তি করতে সাহায্য করবে।
গোলমরিচের রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিভাইরাস আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা মুক্ত করতে সাহায্য করবে। আস্ত গোলমরিচ পানিতে ডুবিয়ে চায়ের মত করে খেতে হবে। চায়ের সঙ্গে আমরা যেমন আবা কুচি করে দিয়ে চা খাই ঠিক গোলমরিচ এভাবে চায়ের সঙ্গে দিয়ে খেতে হবে এর ফলে আপনার গলা ব্যথার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডা সাধারণত আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করি যেমন কেক বিস্কিট পাউরুটি ইত্যাদি বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়। তাই আমি বলবো বেকিং সোডা খুবই কার্যকরী। বেকিং সোডা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া। উৎপাদন সমূহ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করবে বেকিং সোডা। ন্যাশনাল ক্যান্সার পরামর্শ অনুসারে এক কাপ গরম পানি দেড় চা চামচ বেকিং সোডা 1 চা-চামচ লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন ঘণ্টা পরপর করতে দ্রুত গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
মধুঃ
আমরা প্রতিনিয়ত চা খেয়ে থাকি এর সঙ্গে আদা কুচি দিয়ে চা খেলে গলা ব্যথা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। চায়ের সঙ্গে যদি একটু মধু মেশানো যায় সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। চায়ের সঙ্গে মধু খাওয়ার কারণে গলা ব্যথা খুব দ্রুত কমে যাবে। গবেষণায় দেখা যায় যে মধু কাশির সমস্যা সমাধানের বেশ কার্যকরী তাই কাশি হলে মধু খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অন্যান্য গবেষণায় দেখা যায় যে মধুতে থাকা উপাদানসমূহ বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে থাকেন।
আদাঃ
গলা ব্যথার জন্য আদা খুবই কার্যকরী। চায়ের সঙ্গে আদা খেতে পারেন। কুচি করে আদা খেতে পারেন। এবং আদার রস করে খেতে পারেন এই উপকরণগুলো যদি খেতে পারেন আপনি তাহলে খুব দ্রুত গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
কিসমিসঃ
আপনার যদি গলা ব্যাথা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিনিয়ত যদি কিসমিস খেতে পারেন তাহলে গলা ব্যথা কমে যাবে। কিসমিস খাওয়ার ফলে গলা ব্যথা কমবে এটা ঠিক কিন্তু একটু সময় লাগবে।
লেবু পানি মধুঃ
গলা ব্যথা দূর করার জন্য লেবুর রস এর সঙ্গে পানি গরম করে এর সঙ্গে অল্প মধু দিয়ে তারপর ওই পানি খেয়ে নিন খুব দ্রুত গলা ব্যাথা কমে যাবে। সকালে খালি পেটে খেতে হবে।
এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো যদি অবলম্বন করার পর গলা ব্যাথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গলা ব্যথা কমানোর জন্য কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবেঃ
অনেকেই গলা ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তারা বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে থাকেন এই কাজটি একদমই উচিত না। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে হার্টের রোগী কিডনির সমস্যা ইত্যাদি এসব হলে অবশ্যই আপনাকে যেকোনো রোগ মুক্ত করার জন্য প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ আপনি যদি একটি রোগ ভালো করার জন্য নিজে নিজে ঔষধ কিনে খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে একটি রোগ ভালো করতে গিয়ে আরেকটি রোগের সমস্যা হতে পারে তাই অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে হার্টের সমস্যা কিডনির সমস্যা তাদের জন্য যে কোন ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর ওষুধ খেতে হবেঃ
- কানে ব্যথা হলে
- কাশিও থুতুর সঙ্গে রক্ত বের হলে
- ঘাড়ে ব্যথা ও ঘাড় শক্ত হলে
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা
- মুখ হা করে খাবার খেতে অসুবিধা হয়
- গলার স্বর পরিবর্তন হলে
- গলার ব্যথা এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগলে
- ঢোক গেলে অনেক সমস্যা হয়
- শরীরের জ্বরের মাত্রা 101 ডিগ্রী ফারেনহাইট ওপরে উঠলে