Blog

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ১০ টি কর্তব্য যা জানা খুবই জরুরী

1 min read

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ১০ টি কর্তব্য

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ১০ টি কর্তব্য

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে।  সমাজ সংগঠনের এক হচ্ছে পরিবার। পরিবারের সমষ্টি হল সমাজ। সামাজিক শৃঙ্খলা শান্তি বজায় রাখার জন্য পরিবারে শান্তি ফিরিয়ে আনুন।

একটি পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর প্রতি কর্তব্য কতটুকু সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর  দশটি কর্তব্য নিয়ে আজকের আলোচনা। পরিবারের শান্তি সুখ শৃঙ্খলা ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামী স্ত্রীর রয়েছে অনেক দায়িত্ব। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয় পরিবারের জন্য। জন্য প্রত্যেকটি ফ্যামিলিতে স্বামী স্ত্রী বা অন্যান্য যারা পরিবার রয়েছেন তাদেরকে ভালো রাখার দায়িত্ব স্বামী-স্ত্রীর রয়েছেন।

আজকে আলোচনা করব স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে।

 

 নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর  দশটি কর্তব্য সম্পর্কে আলোচনা করব  সকল বিষয়ঃ

শরীয়ত সম্মত প্রত্যেক কাজে স্বামীর অনুগত করা

স্বামীর প্রতি অবাধ্য না হওয়াঃ শরীয়ত বিরুদ্ধে আদেশ ব্যক্তি স্বামীর অবাধ্য না হওয়া। স্বামীর আদেশ পালন করা জায়েজ। স্বামীর কাজে অমান্য করা উচিত না। স্বামী যদি কোন কাজের হুকুম দেয় সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে সে কাজটা করা।

 কৃতজ্ঞ হওয়া

কিছু কিছু মহিলার রয়েছেন যারা অন্যের ঘরে অন্যরকম কিছু দেখলে স্বামীকে খুবই বিরক্ত করে ফেলে। সেগুলো হচ্ছে যে, ওর ঘরে এটা আছে, ওটা আছে এরকম করে থাকেন । সেক্ষেত্রে এটা উচিত না। স্বামীর সঙ্গে আয়-রোজগারের কথা কখনো না বলা। স্বামী যদি তার আর্থিক সমস্যা কথা জানান উল্টা বলে বসেন অন্যদের থাকলে তোমার কেন নেই। এরকম কথা অনেক মহিলারা বলে থাকেন এসব কথা থেকে বিরত থাকুন। এসব না বলে বরঞ্চ বলার চেষ্টা করুন এখন নেই পরে হবে।

আবার কিছু মহিলা রয়েছেন যারা কথায় কথায় বলে থাকেন যে, আমার বিয়ে তোমার সঙ্গে না হয়ে অন্য কারো সঙ্গে হতো তাহলে ভালো হতো।  এসব কথা থেকে বিরত থাকুন এসব আসলেই খুবই মারাত্মক যা আপনার স্বামীকে খুবই কষ্ট দিয়ে থাকেন। ভবিষ্যতে আপনার স্বামী আপনার প্রতি আদর ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। বরঞ্চ স্বামীকে সবসময় প্রশংসা করার চেষ্টা করুন।

স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সেই বিষয়ে খেয়াল রেখে আপনি আপনার স্বামীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কিছু কিছু মহিলার রয়েছেন যারা অন্যের স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা মধুর জুটি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে তারা হিংসা করে ফেলেন। এটা একদম উচিত না। কারণ স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা মহান আল্লাহতালার বিধান। এই সম্পর্কের মাঝে অন্য কেউ কখনো বাধা ফেলবেন না।

ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য সম্পর্কে। অযথা বলে থাকেন যে ওই পাশের বাড়ির মহিলা অনেক সুখে রয়েছে আমি সুখী নেই এরকম কথা কখনো স্বামীকে বলতে যাবেন না।

আপনাকে মনে রাখতে হবে এসব কথা আপনাকে একদিন খুবই বিপদে ফেলবে। সব সময় চেষ্টা করুন স্বামীর প্রশংসা করার জন্য। স্বামীর প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হন।

আপনার যদি কোন কিছু প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনার স্বামীকে আপনি বুঝি তারপর সেই জিনিসটা আবদার করে ফেলুন।

অতএব আপনার যদি কোন কিছু প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনার স্বামীকে আপনি বুঝি তারপর সেই জিনিসটা আবদার করে ফেলুন অতএব কখনো কষ্ট দিয়ে কথা বলবেন না

হাদিসে উল্লেখিত রয়েছে স্বামী স্ত্রী একজন আরেকজনের পোশাক। স্বামী-স্ত্রী দুজন দুজনারি কর্তব্য রয়েছে সে কর্তব্যগুলো পালন করার চেষ্টা করুন। মহান আল্লাহ তালা কে খুশি রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে যে কর্তব্য গুলো রয়েছে সেগুলো পালন করতে হবে।

স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে সংসার করতে গেলে বিভিন্ন ঝামেলা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এই ঝামেলা গুলো সত্যি না মিথ্যা সেগুলো যাচাই-বাছাই না করে কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা মারামারি করে থাকেন বিভিন্ন অত্যাচার করে থাকেন এগুলো থেকে বিরত থাকুন এসব আপনাকে ভবিষ্যতে খুবই মারাত্মক বিপদে ফেলতে পারে।

আপনার স্বামী যদি আপনাকে একা রেখে দেশ বিদেশে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার স্বামী যদি বাড়িতে আসে আপনি তার সঙ্গে ভালো আচরণ করুন ভালো ব্যবহার করুন। সেই সময় যদি আপনি কোন কাজে ব্যস্ত থাকেন সে কাজ ফেলে তার সামনে এসে একটু মুচকি হাসি। দিবেন। যার ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হন। তার কাছে এসে তাকে ভুলতে হবে টাকা-পয়সা অন্য কিছু যদি থাকে সেই জিনিসগুলো আমার হাতে দেন। স্বামীর যে কোন কাজে কখনো বিরক্ত হবেন না।

আল্লাহকে খুশি করার জন্য স্বামীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ঘর গৃহস্থালী যাবতীয় দায়িত্ব অন্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু সম্পূর্ণ করতেন।

কখনো ভুলেও স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর মহান আল্লাহতালা ঘোষণা দিয়েছেন। যদি কোন সময় কোন কারণে অকারণে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে একজনকে চুপ থাকতে হবে। এবং এই ঝগড়ার মধ্যে থেকে স্ত্রীর সরে যাওয়া এবং ধৈর্য ধরে রাখা খুবই দরকার।

  • আদব-কায়দা রক্ষা করে চলা।
  •  ভালোবাসা শ্রদ্ধা সাথে উত্তম আচরণ করা।
  • সব সময় স্বামীর মন জয় করা।
  •  স্বামীকে অসুস্থ অস্বস্তি বোধ না করা।
  •  স্বামীর মনে কষ্ট না দেওয়া।
  • ধৈর্য সহকারে কথা শোনা।
  • সুখ দুঃখের সাথী হওয়া।
  • স্বামীর মন জয় করার জন্য ঘরে বসে সাজুগুজু করা।
  •  স্বামীর ভালোবাসা মনের দিকে নজর দেওয়া।
  •  আল্লাহর দ্বীন পালনে ইবাদত-বন্দেগির একে অপরকে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করা।
  •  প্রয়োজনের অতিরিক্ত পোশাক দাবি না করা না করা।
  • যদি স্বামী স্ত্রীর পক্ষে  অচল হয় তাহলে স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীকে সাহায্য সহযোগিতা করা।
  • স্বামীর আত্মমর্যাদার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাহিরের অন্য কাউকে ঘরে ঢোকা নিষেধ।
  • স্বামীর সম্পদ হেফাজতে রাখা। স্বামীর অনুমতি ছাড়া সেখান থেকে অন্য কাউকে কোন কিছু না দেওয়া।
  • স্বামীকে অসন্তুষ্ট করে অতিরিক্ত নফল ইবাদতে মশগুল না থাকা। অতিরিক্ত রোজা না রাখা এবং নফল নামাজ না করা।
  • স্বামী মেলামেশার জন্য আহবান করলে শরীয়ত মত কোন অনিহা প্রকাশ না করা।
  • স্বামী যদি অসুন্দর হয় সে ক্ষেত্রে তাকে নিন্দা না করা।
  • যদি দেখেন আপনার  স্বামী কোন গুনাহের কাজ করছে সে ক্ষেত্রে তাকে আদবের সাথে গুনাহ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা।
  • যদি দেখেন আপনার সামনে কোন গুনাহের কাজ করছে স্বামী সে ক্ষেত্রে তাকে আদরের সাথে গুনাহ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা।
  • স্বামীর নাম ধরে ডাকা নিষেধ।
  • বাহিরের কারো কাছে স্বামীর বদনাম বা দোষ না বলা।
  • স্বামীর ভাইবোন আত্মীয়স্বজন শ্বশুর-শাশুড়ির সামনে বেয়াদবি না করা। তাদেরকে শ্রদ্ধা করা। তাদের সঙ্গে ভালো কথা বলা। ঝগড়া হলে তাদেরকে কখনো মনে কষ্ট না দেওয়া।
  • স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি কর্তব্য রয়েছে। বাবা মরা এতিম বাচ্চাদের লালন-পালন করা তাদেরকে মানুষের মত মানুষ করা।স্বামীর ধন সম্পদ রক্ষা করা। স্বামীর আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব বাবা-মার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। স্বামীর সুনাম রক্ষা করা। স্বামীর অসম্পূর্ণ যে কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো সমাধান করা। স্বামীর যদি ঋণ থাকে সেই ঋণ পরিশোধ করা। এবং মৃত্যু স্বামীর জন্য মাগফেরাত কামনা করা আল্লাহর নিকট।

এই হল আজকের আলোচনা স্বামীর প্রতি স্ত্রীর করণীয় সম্পর্কে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x