রোজা রেখে চোখের ড্রপ, কানের ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কি?
আসসালামু আলাইকুম করবো রোজা রেখে চোখের ড্রপ দেওয়া যাবে কিনা এবং কানে ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা সকল বিষয়ে আলোচনা করব।রোজা আসার আগে আমাদের অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায় চোখের ড্রপ দেওয়া যাবে কিনা ও কানে ওষুধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত কৌতুক হলে আমরা রমজান আসার আগ মুহূর্তে পড়ে থাকিস এই কৌতুহল গুলো বা আহত চিন্তা গুলো কিভাবে আপনি দূর করবেন সেগুলো জেনে নিন।
রমজান মাসে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন জাগে যেমন চোখের ড্রপ দেওয়া যাবে কিনা ইনজেকশন নেওয়া যাবে কিনা ওষুধ খেলে রোজা ভাঙবে কিনা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনেক অনেক ঘুরপাক খেয়ে থাকি। আজকে তাদের জন্যে আলো রমজান মাসে রোজা রেখে চোখের ড্রপ দেওয়া যাবে কিনা ও কানের ঔষধ দেওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব সকলে মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই পোষ্টের সঙ্গে থাকবে।
রোজা রেখে চোখের ড্রপ
রমজান মাসে রোজা রেখে অনেক লোক বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে শরীরের অনেক অসুস্থ কারণ দেখা দেয় যেমন নাক, কান, চোখের সমস্যা এসব সমস্যা হলে চোখের ড্রপ দেওয়া যাবে কিনা কানে ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা নাকে ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব জেনে নিন। অনেকের মনে এরকম বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন থাকে। তবে জেনে নিন এর সমাধান কি। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে পাকস্থলীতে পোস্ট পৌঁছানোর জন্য থেকে কোন ধরনের মাধ্যম বা সংযোগ নয়।
রমজান মাসের রোজা রেখে চোখে নাকে যে কোন ঔষধ ব্যবহার করুন না কেন সেই ঔষধ টা গলা দিয়ে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। চোখের নাকে যদি আপনি ঔষধ ব্যবহার করেন সেই অংশটা গলা দিয়ে নেমে যেতে পারে এজন্য আপনাকে রোজা রেখে এসব ঔষধ ব্যবহার করা একদমই উচিত না। যার ফলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে। চোখের ড্রপ দেওয়ার পর চোখের নিচ দিয়ে মুখে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে এজন্য এসব বিষয় থেকে আপনি সতর্ক থাকুন।
কানের ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কিঃ
রমজান মাসে রোজা রেখে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অসুস্থ বোধ করেন তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা এখানে আলোচনা করব রমজান মাসে রোজা রেখে কানে ওষুধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয়েছে কোন ওষুধ ব্যবহার করলে তা সরাসরি গলাতে পৌঁছে যেতে পারে কিন্তু আগের কারণ ফকীহ দের মতে কোন ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে চার মাযহাবের মতামত এক ছিল। ইমাম কাশানি রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেছেন যদি কানে তেল বা অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করে সেটা পেটে বা মাথায় চলে যায় সে ক্ষেত্রে আপনার রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এরকম সমস্যা থেকে আপনি রমজান মাসে কষ্ট করে ছেড়ে দিতে পারেন। আপনি এই নিয়মগুলো যদি সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে পালন করতে না পারেন যার ফলে আপনার রোজা ভেঙে যাবে।
কিন্তু বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছেন কান ও গলায় মাঝে সরাসরি কোনো ধরনের সংযোগ নাই। তাই এই বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতামত মুফতি রাফি উসমানী হাফিজুল্লাহ মুফতি শাওন কি মাজা লিভ তাদাওয়া তার বিখ্যাত গ্রহীতা তুলে ধরেছেন। এখানে যে কানে অর্থ সেজন্য বলা হয়েছে রোজা রেখে কানের ড্রপ দেওয়া যাবে।
রোজা রেখে নাকের ড্রপ দেওয়া
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলেছেন, কোন প্রকার তরল ঔষধ বার ড্রপ নাকে ব্যবহার করলে সেটা পাকস্থলীতে সরাসরি পৌঁছানো সম্ভব না রয়েছে। সে মুখের মাধ্যমে খাবার খেতে না পারলে নাকের রাইস টিউব ব্যবহার করে থাকে। রোগীদের কে এভাবে খাবার খাওয়ানো হয়। এ বিষয়ে 4 মাযহাবের ইমামগণ এর মধ্যে যে রমজান মাসে রোজা রেখেছেন না কিছু ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
রোজা রেখে নাকের ড্রপ বা কোন প্রকার তেল ব্যবহার করা উচিত নয়। হরযত নাকিত ইবনে হাবরা রাদিয়াল্লাহু কে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন তুমি তোমার আংগুল গুলো খিলাল করো ভালোভাবে নাকে পানি দিয়ে তুমি তোমার অজু পরিপূর্ণ করো। তবে তুমি রোজা রাখলে নাকে পানি দাও না। তিরমিজি হাদিস 778
শেষ কথাঃ রোজা রেখে চোখের ড্রপ/ কানের ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কি
ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন যে রোজা রেখে চোখের ড্রপ বা টানের ওষুধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা। রোজা রেখে চোখের ড্রপ ও কানের ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা যদি আপনারা রমজান মাসে এই বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোষ্টের সঙ্গে থাকুন।
বলা যায়না রমজান মাসে আমরা কখন অসুস্থ হয়ে যাব তাই এইসব বিষয় জেনে রাখা ভালো। তাই আপনার জন্য আজ রোজা রেখে চোখের ড্রপ ও রোজা রেখে কানের ঔষধ দিলে রোজা ভাঙবে কিনা উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে আপনারা দেখে নিন।