Islamic
1 min read

মহব্বত কি? হাদিসের আলোকে মহব্বত কত প্রকার ও কি কি?

মহব্বত, ভালোবাসা, প্রেম ইত্যাদি আল্লাহরই সৃষ্টি প্রকৃতির অংশ। মানুষের চরিত্রের গুণাবলি, উৎকর্ষ সাধন বা সুকুমারবৃত্তি অর্জনের মূলে রয়েছে মহব্বত, ভালোবসা, প্রেম। এ সৃষ্টিকূল ভালোবাসারই ফল।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, “আমি ছিলাম গোপন ভান্ডার, ভালোবাসলাম প্রকাশ হতে, তাই সৃষ্টি করলাম সমুদয় সৃষ্টি।”

মহব্বতের ধারাবাহিকতা হলো আল্লাহর প্রতি মহব্বত, রাসূলের প্রতি মহব্বত, পিতা-মাতার প্রতি মহব্বত, স্বামী-স্ত্রীর প্রতি মহব্বত, সন্তানের প্রতি, মূলত সমগ্র সৃষ্টিকূলের প্রতি মহব্বত। আল্লাহকে ভালোবাসার জন্য রাসূল (সাঃ) এর পথ অনুসরণ করতে হবে।

কুরআনে বলা হয়েছে, “যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার (নবীর) অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ মার্জনা করবেন।” (সূরা আলে ইমরান – ৩১)

মহব্বতের প্রকারভেদ

নবী (সাঃ) তাঁর হাদিসের আলোকে বিশ্ববাসীকে শান্তির দিশা দেখিয়ে গেছেন। জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্র নিয়ে আল্লাহ তা’আলার কুরআনের বাণী ব্যাখ্যা স্বরুপ হাদিস। নিম্নে রাসূলের হাদিসের আলোকে মহব্বতের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো।

নবী (সাঃ) এর হাদিস অনুযায়ী মহব্বত ৩ প্রকার। যথাঃ-

  • মহব্বতে তবাঈ বা স্বভাবজাত মহাব্বত
  • মহব্বতে আকলি বা বুদ্ধিগত মহাব্বত
  • মহব্বতে ঈমানি বা ঈমানি মহাব্বত

মহব্বতে তবাঈ বা স্বভাবজাত মহাব্বতঃ মানুষ জন্মগতভাবে যে মহাব্বত লাভ করে বা যে মহাব্বত স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মাঝে দেখা যায়, তাই মহব্বতে তবাঈ বা স্বভাবজাত মহাব্বত। যেমন – সন্তানের জন্য মায়ের ভালোবাসা, পিতামাতার জন্য সন্তানের ভালোবাসা।

মহব্বতে আকলি বা বুদ্ধিগত মহাব্বতঃ এটি এমন মহাব্বত যা মানুষের জ্ঞান বা বুদ্ধি প্রসূত। যেমন – অসুস্থ হলে ঔষধ সেবনের প্রতি মহাব্বত।

মহব্বতে ঈমানি বা ঈমানি মহাব্বতঃ ঈমানী দাওয়াত লাভ এবং মহান আল্লাহকে খুশি করার জন্য যে মহাব্বত বা ভালোবাসা তাই মহব্বতে ঈমানি বা ঈমানি মহাব্বত। যেমন – নবী (সাঃ) এর জন্য আমাদের ভালোবাসা, মুমিন ভাইয়ের জন্য আরেক মুমিন ভাইয়ের ভালোবাসা ইত্যাদি।

5/5 - (2 votes)