পুরুষের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধের উপায় । ছেলেদের চুলের যত্ন।চুল পড়া কমানোর উপায়।ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

পুরুষের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় । চুল পড়া বন্ধের উপায় । ছেলেদের চুলের যত্ন

ছেলে মেয়ে উভয়েই চুল পড়া নিয়ে একটি ভীষণ সমস্যা। আমাদের কিছু কিছু কারণে মাথার চুল পড়ে যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে চুল পড়া কমানো ।আমাদের চুল সব সময়ের জন্য যদি আমরা পরিস্কার করে রাখি বা নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করি ,তাহলে চুল পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম অনেকের মাথা খুশকির কারণে চুল পড়তে থাকে। আমাদের শরীরের জন্য শুধু ভিটামিন এর  প্রয়োজন হয় তা কিন্তু না। আমাদের চুলের জন্য কিছু ভিটামিন এর দরকার। শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি।

এসব পরিমাণমতো না খেতে পারলে আমাদের মাথার চুল পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না ।  দূর চিন্তার কারণে ঘুম কম হলে এরকম বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জন্য আমাদের ছেলে বা মেয়ে উভয়ই সবার মাথার চুল পড়তে শুরু করে। নতুন চুল গজানোর জন্য আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামিনো এসির সরবরাহ প্রোটিন জাতীয় খাবারের প্রয়োজন। দুধ ডিম মাছ মাংস সবজি মটরশুটি খেজুর ইত্যাদি ইত্যাদি।

চুল পড়া বন্ধের উপায় । ছেলেদের চুলের যত্ন।চুল পড়া কমানোর উপায়।ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

আমাদের মনে রাখতে হবে বাইরের কোন জিনিস বা খাবার না খেয়ে আমরা  স্বাস্থ্যমান খাবার ঘরে তৈরি করে খেতে পারি। তাহলে  আমাদের শরীরের সুস্থ থাকবে। এবং চুল সমস্যা থেকে সাহায্য করবে। শরীরে পানি ঘাটতি থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা | তাই আমরা নিয়ম অনুযায়ী পানি পান করব। আমরা অনেক সময় ভেজা চুল বেঁধে রাখি। এবং ভেজ চুল  আঁচড়াবে না। তাহলে চুলের গোড়া অনেক নরম হয়ে যায় | এবং চুল পড়তে সাহায্য করে।

চুল লম্বা করার সহজ উপায়। পুরুষের চুল পড়া বন্ধ করার উপায়। চুল পড়ার কারণ

অ্যান্ড্রোজেনিক নামক একটি হরমোন রয়েছে যেমন টেস্টোস্টেরন,অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন,  বিএইচপি যেগুলো সাধারণত পুরুষের বেশি এবং মহিলাদের কম থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই হরমোন গুলো শুনুন এর উপর হেয়ার ফলিকলের কাজ করে যার ফলে চুল পড়ে যায়।  আর এজন্য পুরুষদের তুলনামূলক বেশি চুল পড়া।

চুলপড়ার দ্বিতীয় বড় কারণ হচ্ছে দুশ্চিন্তা অথবা মানসিক সমস্যায় থাকলে চুল পড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে দুশ্চিন্তা অথবা মানসিক সমস্যায় ভুগলে অতিরিক্ত মাত্রায় চুল পড়ে যেতে পারে।

যদি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন না হয় তাহলে চুল পড়া বৃদ্ধি পাবে।  এছাড়া অ্যানিমিয়া থাকলেও চুল পড়া কমানো সম্ভব হবে না।

চুল পড়ার ক্ষেত্রে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে বংশগত সমস্যা।  যাদের বংশগতভাবে চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

দীর্ঘদিন কোন রোগে ভুগলে সেখান থেকেও চুল পড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।  অনেক টাইপ টাইফয়েড জ্বর এ আক্রান্ত হওয়ার পরেও চুল পড়ে যাওয়ার প্রমাণ লক্ষ্য করা যায়।

যদিও চুল পড়ার পেছনে প্রাকৃতিক অনেক কারণ নিহত হয়েছে।  কিন্তু আমাদের সমাজের মাথায় চুল না থাকা ব্যক্তিদের কে অন্য চোখে দেখা হয় । সামাজিকভাবে যাদের মাথায় অতিরিক্ত চুল পড়ে যায় তারা বিভিন্নভাবে হেনস্থার শিকার হয়।

লেদের চুল পড়া নিয়ে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি

১, মেথির ব্যবহার

মেথি আপনার চুল পড়া থেকে সাহায্য করবে। এক টেবিল চামচ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।  একটি  ছাকনি নিয়ে পরের দিন সকালে পানি  ঝরে নিন। তারপর  পাঠায় বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রাখুন।আধাঘন্টা থেকে এক ঘন্টা চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। তার শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপন চুল  পড়া থেকে অনেক  উপকার আসবে।

২.নিম পাতার ব্যবহার

নিমপাতা আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে। পরিমাণ অনুযায়ী তাজা নিমপাতা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে পরিমাণমতো আপেল সিডার ভিনেগার  মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহার সপ্তাহে 1 থেকে 2 দিন ব্যবহার করতে পারেন এতে করে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।

৩. কালোজিরা 

কালোজিরা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। কালোজিরা আপনি চাইলে খেতেও পারেন অথবা কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণে চুল পড়া শুরু হয় তবে আপনি যদি কালোজিরার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাথার চুল নতুন করে গজাতে সাহায্য করে। কালোজিরার তেল আমরা সাধারণত যে তেল ব্যবহার করি ঠিক ওই তেলের মত আপনি কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারবেন। আপেল সিডার ভিনেগার এর সঙ্গে কালোজি।

রার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে দিতে পারেন। এক কালো সঙ্গে এক আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন ।এরপর চুলে লাগিয়ে রাখুন। 15 থেকে 20 মিনিট রেখে দিন এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪.মেহেদী ও আমলকির গুড়া

বর্তমান যুগে আমরা বাহিরে যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট মাথায় ব্যবহার করে থাকি। এতে করে চুল ক্ষতি। আপনি  যেমন প্রোডাক্ট আমরা ব্যবহার করি সেগুলোতে কিছু-না-কিছু কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট তৈরি করে থাকে। এর ফলে আমার চুল মজবুত থেকে বড়। তাই সব সময় চেষ্টা করবো ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু আইডিয়া। 2 টেবিল চামচ দুধ এর সঙ্গে মেহেদি পরিমাণমতো ও আমলকি পরিমাণমতো সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরী করে নেব। এরপর মাথা লাগিয়ে রাগ এক ঘন্টা। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবো। এর ব্যবহার সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন।

৫ পেঁয়াজের রসের ব্যবহার।

আমরা সাধারণত পেঁয়াজ ব্যবহার করে থাকি খাবারের জন্য।কিন্তু আমাদের অনেকের জানা নেই। পেঁয়াজ রস চুলের জন্য ও ত্বকের জন্য কতটা উপকারী। কয়েকটি পেঁয়াজ নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বা পাটায় বেটে এরপর রস বের করে নিন। পর একটি ছাকনি দিয়ে পেঁয়াজের রস ছেঁকে নিন। তার পেঁয়াজের রস মাথার গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। 30 থেকে 35 মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন ।এর ব্যবহার সপ্তাহে দুই দিন ।

৬ পেঁয়াজের রসও নারিকেল তেল

পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারিকেল তেল এর ব্যবহার  তার সাথে আপনি সরিষার তেল ও ব্যবহার করতে পারবেন |  নারিকেল তেল এর পরিবর্তে |

চুল পড়া কমানোর উপায়। চুল ঘন করার উপায় । চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

এক টেবিল চামচ মধু সঙ্গে আধা কাপ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মিশিয়ে নিন। মেশানো হয়ে যাওয়ার পর মিশ্রণটি মাথার গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। 20 থেকে 25 মিনিট।  সপ্তাহ দুই থেকে 3 দিন ব্যবহার করুন।

৭. পেঁয়াজের রসের সঙ্গে তেল

1 টেবিল-চামচ নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল তেল এর সঙ্গে 3 টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর মিশ্রণ মাথা হালকা ভাবে  চুলের গোড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহার সপ্তাহ তিন দিন।

৮. পেঁয়াজের রস এর সঙ্গে শ্যাম্পুর ব্যবহার

প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণমত পেঁয়াজের রস নিয়ে এর সঙ্গে  1 থেকে 2 টি  শ্যাম্পু প্যাক মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন 15 থেকে 20 মিনিট। নিয়মিত এই পদ্ধতি মেনে চললে আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে। এবং  গজাতে আকর্ষণীয় সুন্দর করে উঠবে।

৯.ভাতের মাড়

আমরা প্রতিনিয়ত রান্না করার ভাতের মাড় ফেলে দেই। কিন্তু ওই ভাতের মাড় আমাদের শরীরের বা চুলের জন্য কতটা উপকারি অনেকেই হয়ত আমরা জানি না। ভাতের মাড় আমাদের চুল পড়া থেকে সাহায্য করে। ভাতের মাড় চুল পড়া দূর করে চুল সিল্কি করে চুল ঝরঝরে করে চুল লম্বা কালো এবং মাথার খুশকি দূর হতে সাহায্য করে। ভাতের মাড়ের সঙ্গে যদি আপনি সামান্য পরিমাণে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর আপনি এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন আপনার চুল হবে মজবুত। ও আকর্ষণীয়।  একটি বাটিতে এক কাপ ভাতের মাড় নিন। এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন। এক থেকে দুই ঘন্টা। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহার সপ্তাহের দুই দিন।

১০ চা পাতার ব্যবহার 

চা পাতা তে রয়েছে ভিটামিন ই বি সি যা আমাদের চুলকে করে খুব আকর্ষণীয়। চা পাতা আমার ত্বকের ইনফেকশন দূর করে। মাথার খুশকি দূর করে। গোড়া মজবুত করে আমাদের অনেকেই সাদা চুল কালো করে। এক থেকে দেড় কাপ পানির সঙ্গে 4 থেকে 5 চা চামচ চা পাতা দিয়ে চুলায়  ফুটিয়ে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিতে হবে। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন 1 চা চামচ লেবুর রস। ভাল করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। 6 থেকে 7 মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এর ব্যবহার সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন।

১১. আলুর রস  চুল পড়া রোধ থেকে আলুর রস সবচেয়ে ভালো একটি  উপাদান।সুন্দর ও আকর্ষণীয় চুল পেতে আমরা আলুর রস ব্যবহার করতে পারি।আলুর রস চুলের খুশকি ফাঙ্গাস চুলের আগা ফাটা চুল ঝরে পরা ইত্যাদি। আলুর রস প্রধান উপকারী। আলোতে রয়েছে এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ। মাঝারি সাইজের মাঝারি সাইজের বা বড় আকৃতির একটি আলু নিয়ে। ভালো করেছিলে ধুয়ে নিন। এরপর ব্লেন্ডার কাপে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। আলুর রস একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। আলুর রস 20 থেকে 25 মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

১২. আমাদের সবারই সৌন্দর্য হচ্ছে চুল  ।আমাদের মাথার চুল পড়া নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভেতরে থাকি। তাই ঘর বসে কিভাবে চুল পড়া থেকে একটুও চিন্তা মুক্ত হয়ে থাকা যায়। তাই কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে এখানে বলব। পেঁয়াজ আদা রসুন আমাদের কাছে যেটা ভালো লাগবে যে কোন একটি বেছে নেব। সারা রাতের জন্য মাথায় লাগিয়ে রাখব।  এই মিশ্রণটি সপ্তাহে এক 1 থেকে 2 দিন ব্যবহার।

আমাদের যে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমরা প্রথমত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকে। বা কোন কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি।  যেমন ত্বকের চুল মেস্তা চোখের এই বিভিন্ন ধরন সমস্যা আমরা  ডাক্তারের কাছে যাই। তবে ঘরে বসে যদি এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করি তাহলে আমাদের ওই কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট বা কারণে-অকারণে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে না। আমরা যদি ঘরে বসে একটু কষ্ট করে নিজে হাতে তৈরিকরে ব্যবহার করতে পারি। তাহলে  অনেক অনেক  উপকার আসবে। ছেলেদের চুল পড়া নিয়ে কিছু টিপস। চুল পড়া রোধ, চুল পড়া বন্ধ করা ,চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ ,ইত্যাদি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *