ভিটামিন সি জাতীয় খাবার, ভিটামিন সি এর উপকারিতা,

 ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই আমাদের ভিটামিন প্রয়োজন । সবগুলো ভিটামিন এর মধ্যে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং খুবই ভালো।  আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন সি এর অভাব হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  বিশেষজ্ঞ ছোটবেলা থেকে একাধিক উপকারিতা বিশিষ্ট ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভিটামিন সি ট্যাবলেট দিয়ে দিতে হয় কিন্তু এটি 9।  নয় সবার উপরে এমন কি যেগুলো ভিটামিন সি এর চাহিদা পুরো হতে সাহায্য করবে।

সবথেকে বেশি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ভিটামিন সি এ। দেহের ক্ষতিকারক পদার্থ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি।

বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা বা রক্তের লৌহ শোষণেও ভিটামিন সির ভূমিকা রয়েছে। মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচল ও তথ্য আদান-প্রদানে এটি ভূমিকা রাখে

লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। কমলা, মালটা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতা গোত্রের সব সবজি ও শাকেও পাওয়া যাবে এই ভিটামিন।

মসলাজাতীয় উদ্ভিদ যেমন: কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলেপাতা ভিটামিন সির ভালো উৎস। কাটা-ছেঁড়া বা অস্ত্রোপচারের পর ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়া উচিত, এতে ঘা দ্রুত শুকায়। ঠান্ডা-সর্দি বা জ্বরেও এটি দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।

আজকে আলোচনা করব ভিটামিন সি জাতীয় খাবার  সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

ভিটামিন সি কাকে বলে জেনে নিনঃ

শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে অন্যতম বিভিন্ন রকম ভিটামিন এর মধ্যে ভিটামিন এ বি সি ডি ইত্যাদির নামক সবার বেশি জানেন। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার সম্পর্কে জানার জন্য শুরুতে ভিটামিন সি সম্পর্কে আলোচনা করব জেনে নিন।

ভিটামিন সি-তে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার দেহের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকেন। ভিটামিন-সি হলো এমন একটি ভিটামিন সাধারণত পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন সি এর উৎস হল বিভিন্ন ফলমূল-সবজি ইত্যাদি।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কেন খাবেন জেনে নিনঃ

আপনার শরীরে যদি ভিটামিনের ঘাটতি হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো জেনে নিন যেমনঃ ভিটামিন সি এর অভাব হলে, দাঁত দাঁতে ব্যথা, দাত  ফুলে যাবে, নাক দিয়ে রক্ত বেরোবে,  মাড়ি ফুলে যাবে,  দাতে প্রচন্ড ব্যথা  ইত্যাদি।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে মস্তিষ্কের ঝুঁকি হতে পারে। অনিয়মিত যদি ভিটামিন সি খাবার খান সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে।

ভিটামিন সি বিভিন্ন কারণে দেহে যে ক্ষতগুলো দেখা দেয় সেগুলো শরীরে তুলতে পারেনা ভিটামিন সি।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে চুলের বিভিন্ন সমস্যা অনেক উপকার পাওয়া যায়।  যেমনঃ ভিটামিন সি এর অভাবে ঘন ঘন চুল পড়তে থাকে অল্প বয়সে চুল পেকে যায় চুলের উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে পারে মাথায় খুশকি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইত্যাদি। তাই শরীরে ভিটামিন সি ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।

গবেষণায় দেখা যায় যে ভিটামিন সি চোখের বিভিন্ন সমস্যা কমাতে সাহায্য করে থাকেন তাই চোখের দৃষ্টি ভালো রাখার জন্য ভিটামিন সি খাবার খান। বিভিন্ন সমস্যার কারণে চোখের সমস্যা হয় তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি খাবার। ভিটামিন সি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন তাহলে চোখ ভালো থাকবে।

রোগ প্রতিরোধ শক্তিশালী থাকার জন্য আমাদের সুস্থতা খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার ইনফেকশন থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি জাতীয় ফলঃ

(ভিটামিন সি জাতীয় ফল জেনে নিন) – (  ভিটামিন সি এর পরিমাণ মিলিগ্রাম)

  • জামরুল -২২ মিলিগ্রাম
  • বাঙ্গি –  ২৬ মিলিগ্রাম                                                                 
  • তরমুজ -২৬  মিলিগ্রাম
  • লিচু  -৩১ মিলিগ্রাম
  • বেদানা-২৬ মিলিগ্রাম
  • পাকা তাল-৩৫ মিলিগ্রাম
  • আনারস-৩৪ মিলিগ্রাম
  • আতা–৩৮ মিলিগ্রাম
  • কমলা— ৪০ মিলিগ্রাম
  • জলপাই— ৩৯ মিলিগ্রাম
  • বড়ই— ৫১ মিলিগ্রাম
  • পাকা আম— ৪১ মিলিগ্রাম
  • লেবু— ৪৭ মিলিগ্রাম
  • মাল্টা—  ৫৪ মিলিগ্রাম
  • পাকা পেঁপে—৬২ মিলিগ্রাম
  • কাগজি লেবু—৬৩ মিলিগ্রাম
  • কালোজাম— ৬০ মিলিগ্রাম
  •  আমলকি— ৪৬৩ মিলিগ্রাম
  • জাম্বুরা— ১০৫ মিলিগ্রাম
  • পেয়ারা— ২২৮ মিলিগ্রাম
  • কর্মচা— ১৩৫ মিলিগ্রাম

ভিটামিন সি জাতীয় সবজিঃ

ভিটামিন সি  জাতীয় সবজির নাম – ভিটামিন সি এর পরিমাণঃ

  • মিষ্টি আলু –৩৫ মিলিগ্রাম
  • ডাটা— ৩৬ মিলিগ্রাম
  • ওলকপি— ৫৩ মিলিগ্রাম
  • ফুলকপি— ৭৩ মিলিগ্রাম
  • কাঁচা মরিচ— ১২৫ মিলিগ্রাম
  • করোল্লা— ৯১
  • উস্তা— ৯৬
  • কাঁচা টমেটো— ৩১
  • মুলা— ৩৪
  •  পেঁয়াজকলি— ২৭
  •  চাল কুমড়া—- -৩১
  • পাকা টমেটো— ২৭
  • শালগম— ২৫
  • মিষ্টি কুমড়া— ২৬
  • ফরাসি সিম—  ২৪
  • কাঁচা কলা—  ২৩
  • কাঁচা পেঁপে—  ১৯
  • পটল—  ১৯
  • আলু—  ১৯
  • চিচিঙ্গা—  ১৯
  • কলার মোচা—  ১৬
  • ঢেঁড়স—  ১৮
  •  লাল সিম —  ১২
  •  বাঁধাকপি— ১৬
  • মুলা—  ১৭

 ভিটামিন সি জাতীয়  শাকঃ

ভিটামিন সি জাতীয় শাকের নাম জেনে নিনঃ ভিটামিন সি এর পরিমাণঃ

  • ধনিয়া পাতা— ১৩৫
  • সজনে পাতা—  ২২০
  • গাজার পাতা— ৭৯
  • নটেশাক —  ১৭৯
  • ডাটা শাক—  ৮৩
  • বরবটির পাতা— ৫৪
  • ছোলা শাক—  ৬১
  • মেথি শাক—  ৫২
  • সবুজ কচু শাক— ৪৮
  • কালো কচু শাক— ৬৩
  • লাল শাক— ৪৮
  • পালং শাক— ৩০
  • কলমি শাক—  ৩০
  • লাল শাক— ৬২
  • বেথুয়া শাক— ৪১

 ভিটামিন সি জাতীয় শরবতঃ

 কোন কোন পর্বতে ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুনঃ

  •  কমলা লেবুর শরবত
  •  লেবুর শরবত
  •  আমের শরবত
  •  জামের শরবত
  •  জাম্বুরার শরবত
  •  বেলের শরবত ইত্যাদি।

 ভিটামিন সি জাতীয় খাবার ও তাদের কাজ কিঃ

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার অবশ্যই খাবার রাখা উচিত।  ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।  দেহের দুর্বলতা ভাব দূর করতে পারে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো। তাই অবশ্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। তবে বেশি পরিমাণ শাকসবজি খাওয়া দেহের জন্য খুবই ভালো। তাই বেশি শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।  ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

 জামঃ

জাম খুব পছন্দের একটি ফল। আমরা সবাই জাম খেতে পছন্দ করি। জাম এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ।  তাই আপনার শরীরে ভিটামিন সি যুক্ত করার জন্য জাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। জান আপনার শরীরে হাড়ের ক্যান্সারের সমস্যা ইত্যাদি থেকে মুক্তি করতে খুবই সাহায্য করে থাকেন তাই জাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 পেঁপেঃ

পেঁপে আমাদের সবার পছন্দের একটি খাবার।  এই পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরের ভিটামিন খুবই প্রয়োজন তাই পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।  পেঁপে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।  কাঁচা পেঁপে পাকা পেঁপে ভিটামিন সি যুক্ত।  পেঁপেতে রয়েছে পটাশিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ভিটামিন-সি ভিটামিন-এ ইত্যাদি আপনার শরীরের ভিটামিন সি এর প্রয়োজন হলে পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 লিচুঃ

লিচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।   লিচু ছোট-বড় সবারই পছন্দের একটি খাবার। তাই সবাইকে বলব লিচু খাওয়ার অভ্যাস করুন শরীরে ভিটামিন সি’র যুক্ত করার জন্য।

 টমেটোঃ

টমেটো বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি।  টমেটো আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে চালাতে ব্যবহার করি ইত্যাদি। কিন্তু অনেকেই হয়তো টমেটোর আরও কিছু উপকরণ সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে জানিয়ে দেবো টমেটোর উপকারিতা কি। টমেটো আপনার শরীরের ভিটামিন সি যুক্ত করতে সাহায্য করে। টমেটো কার্যকর কাঁচা পাকা টমেটো ভিটামিন রয়েছে। টমেটো আপনার চুল ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করেন ইত্যাদি।

 লেবুঃ

মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম পটাসিয়াম ভিটামিন সি ইত্যাদি তাই প্রচুর পরিমাণে লেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন।  আপনার বোধ শক্তি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। লেবুর শরবত কুড়ি কার্যকারিতাই লেবুর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীরে ভিটামিন যুক্ত  করার জন্য  লেবু খেতে পারেন।

 পেয়ারাঃ

পেয়ারা আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটি ফল।   পড়াতে রয়েছে ভিটামিন ক্যালসিয়াম আয়রন ইফতারি। পড়া সবারই পছন্দ করা আসলে খুবই মজাদার তাই ভিটামিন সি’র জন্য পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করুন।  বিশেষ করে ঝাল মসলা দিয়ে পেয়ারা মাখিয়ে খেতে পারলে অনেক মজা হয় পেয়ারা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং তাতে রয়েছে ভিটামিন সি। আপনার ক্যান্সার দূর করতে সাহায্য করে। পেয়ারা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে থাকেন। পেয়ারা খুবই উপকারী তাই পেয়ারা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 আনারসঃ

সারাবছরই আনারস পাওয়া যায় আনারস খুবই সুস্বাদু একটি খাবার । আনারস টক-মিষ্টি স্বাদের ভরপুর আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি প্রতি 100 গ্রাম আনারস থেকে পাবেন প্রায় 47 মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি জ্বর সর্দি কাশি হলে উপকার আপনি আনারস খাওয়ার অভ্যাস করুন। এসকল অভাবের জন্য আনারস খুবই কার্যকরী।

বড়ইঃ

বড়াই খুবই সুস্বাদু ফল তাই ভিটামিন সি এর জন্য  বড়াই খেতে পারেন। কমবেশি সবারই বড়াই খুব পছন্দ।  বড়াই টক মিষ্টি হয়ে থাকে।  বড়াই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। 100 গ্রাম এর মাঝে বিদ্যমান রয়েছে 5 হাজার 300 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। দাঁত সুরক্ষার রাখতে সাহায্য করে।

 কাঁচা মরিচঃ

খুবই আনকমন একটি কথা যে কাঁচা মরিচেও ভিটামিন সি রয়েছে।  আমাদের সবার বাড়িতে কমবেশি কাঁচামরিচ থাকে তাই ভিটামিন সি যুক্ত করার জন্য কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন।  ভিটামিন-সি যদি প্রয়োজন হয় শরীরের তাহলে খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচা মরিচ খান। 100 গ্রাম কাঁচা মরিচ থেকে পাওয়া যায়২৪২৫  গ্রামের মতো ভিটামিন সি। কাঁচামরিচ আমাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।

 স্ট্রবেরিঃ

স্ট্রবেরি আমাদের দেশে এতটা জনপ্রিয় না হলেও বর্তমানে রাষ্ট্রপতির 60 খুবই চমৎকার স্ট্রবেরি বিভিন্ন আইটেমের ব্যবহার করা হয় প্রতিটি স্ট্রবেরির 100 গ্রাম স্ট্রবেরি খেলে সেখান থেকে 59 মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি পেতে পারেন। আপনার শরীরে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।

 সবুজ ক্যাপসিকামঃ

ক্যাপসিকাম খুবই জনপ্রিয় একটি ফল ক্যাপসিকাম আমরা বিভিন্ন রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে ক্যাপসিকামের যে ভিটামিন সি রয়েছে হয়তো অনেকের জানা নেই আজকে জেনে নিন ক্যাপসিকামের ভিটামিন-সি কতটুকু হয়েছে সে বিষয়ে। ক্যাপসিকামের ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আরো রয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল যেকোন ধরণের বাস্তবায়ন করতে পারে ক্যাপসিকাম সবুজ লাল হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে।

 কিউই ফলঃ

প্রতি 100 গ্রামে বিদ্যমান রয়েছে ৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। আপনার শরীরের নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করবে। কিউই ফল খুবই ভালো এতে ভিটামিন সি রয়েছে তাই এই ফলটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 ব্রকলিঃ

ব্রকলি তো রয়েছে ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।  প্রতি 100 গ্রাম ব্রকলি থেকে আপনার 99 মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি পাবেন। শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে ব্রকলি। ব্রকলি একটি সবুজ রঙের সবজি শীতকালীন সবজি ব্রকলি স্যালাড কিংবা চাইনিজ আইটেম এর ব্যবহার করা হয়।

 আমঃ

আম্মে রয়েছে ভিটামিন সি। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলের রাজা আম আম খুবই সুস্বাদু আম খেতে খুব ভালো লাগে  আম খুবই মজাদার একটি খাবার।  আম  এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ই আম খাওয়ার অভ্যাস করুন বেশি বেশি করে।

 কমলালেবুঃ

কমলালেবু শীতকালে জন্য খুবই পছন্দের একটি ফল টক-মিষ্টি স্বাদের ভরপুর।  প্রতি 100 গ্রামে শক্তির মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে কমলালেবুতে আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে ক্যান্সার মুক্তি করতে সাহায্য করে ইত্যাদি। তাই প্রতি দিন কমলালেবু খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 জাম্বুরাঃ

জাম্বুরা তে রয়েছে 100 গ্রাম থেকে প্রায় 10 মিলিগ্রাম পরিমাণে ভিটামিন সি জাম্বুরা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে সাহায্য করে। জাম্বুরা রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার দেহের জন্য খুব কার্যকারী। তাই জাম্বুরা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

 সরিষা শাকঃ

কমবেশি সকলেই আমরা শাক খেতে খুবই পছন্দ করি খুবই পছন্দের একটি খাবার তাই আপনি যদি হতে চান তবে সরিষার 7 টা একটু বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। সরিষা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি  সরিষা শাক আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। সরিষা শাক ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্তি করতে সাহায্য করবে।

আমড়া ঃ

আমড়া ফল এতে রয়েছে ভিটামিন-সি  আমড়া ফল শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। আমরা ফল দামে সস্তা হলেও এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমরা ফল আপনি চাইলে কাঁচা খেতে পারেন এবং আমরা ফল চাইলে রান্না করে খেতে পারেন। আমড়া ফল খুবই উপকারী একটি ফল তাই আমরা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 পালং শাকঃ

পালং শাক  আসলেই পছন্দের একটি খাবার। প্রত্যেকটি   শাকের রয়েছে ভিটামিন সি।  পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পুষ্টিগুণ ক্যালসিয়াম আয়রন ইত্যাদি তাই পালংশাক বেশি বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করুন। যেকোনো শাক আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যায় তাই এগুলোর স্বাক্ষর অভ্যাস করুন ভিটামিন সি এর জন্য।

ফুলকপিঃ

ফুলকপি হলো শীতকালীন সবজি। ফুলকপি শীতকালীন সবজি হল ফুলকপি সারা বছরই পাওয়া যায়। ফুলকপি আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে তৈরি করে খেতে পারে।  ফুলকপি খেতে খুবই সুস্বাদু তাই ফুলকপি খাওয়ার অভ্যাস। এবং ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনার দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে তাই। যারা ফুলকপি খেতে পছন্দ করে না তারাও ফুলকপি খাওয়ার অভ্যাস করুন।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে ভিটামিন সি কাকে বলে, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার কেন খাবেন, ভিটামিন সি জাতীয় ফল, ভিটামিন সি জাতীয় সবজি, ভিটামিন সি জাতীয় শাক , ভিটামিন সি জাতীয় পর্বত, ভিটামিন সি জাতীয় খাবার এবং তাদের কাজ, পেঁপে, টমেটো, লিচু, আম, পেয়ারা লেবু, বড়াই, আনারস, কাঁচামরিচ,

স্ট্রবেরি, সবুজ ক্যাপসিকাম, কোন ফল, ব্রকলি, কমলালেবু, আম, জাম, আমড়া ফল সরিষা শাক পালং শাক, ফুলকপি ইত্যাদি সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সকলের মনোযোগ দিয়ে আমাদের পোস্টটি পড়ে নিন এবং আপনার শরীরে ভিটামিন সি এ পাওয়ার জন্য এই খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস করুন ভিটামিন সি যুক্ত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *