ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায়: উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় সংগঠন (PDF)

ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর : জীবদেহ কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বক্সের ন্যায় বস্তু দিয়ে গঠিত। এরা একটির উপর একটি সজ্জিত হয়ে জীবদেহ গঠন করে। একটি জীবদেহের প্রত্যেকটি বক্সই প্রায় একই ধরনের। তাই এদেরকে গঠন ও কাজের একক বলা হয়। এরাই কোষ নামে পরিচিত। তোমরা নিশ্চয় ইট দিয়ে দেয়াল বানাতে দেখেছ। একটির উপরে একটি ইট সাজিয়ে যেমন দেয়াল নির্মাণ করা হয়, তেমনি একটির উপর একটি কোষ সাজিয়ে একটি জীবদেহ গঠিত হয়।

ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : দীপ্তি বাবার সাথে ঢাকায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। গার্ডেনে সে বিভিন্ন বর্ণের গাছপালা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সে পার্শ্ববর্তী চিড়িয়াখানায় যায় সেখানে সে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পায়।

ক. নিউক্লিয়াস কী?
খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র কোনটি? ব্যাখ্যা করো।
গ. দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন বর্ণ ধারণ কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দীপ্তির দেখা জীবগুলোর কোষীয় বৈশিষ্ট্যের তুলনা করো।

প্রশ্নের উত্তর

ক. জীব কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান গোলাকার ঘন বস্তু যা কোষের সকল শারীবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে তাই হলো নিউক্লিয়াস।

খ. কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র হলো মাইটোকন্ড্রিয়া। কোষের সকল জৈবিক কাজ পরিচালনার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা মাইটোকন্ড্রিয়াই সরবরাহ করে থাকে। এ কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়।

গ. দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন বর্ণের ছিল। মূলত প্লাস্টিডের ভিন্নতাই উদ্ভিদে বর্ণ বিচিত্রতা দিয়ে থাকে। সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডগুলোকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। যখন কোনো উদ্ভিদদেহে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিমাণ বেশি থাকে তখন উদ্ভিদটিকে সবুজ দেখায়। সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্যান্য বর্ণ লাল, হলুদ, কমলা ইত্যাদি বিশিষ্ট প্লাস্টিডকে ক্রোমোপ্লাস্ট বলে। আবার যেসব প্লাস্টিড কোনো রং ধারণ করে না সেগুলো বর্ণহীন প্লাস্টিড, যাদেরকে লিউকোপ্লাস্ট বলে।

এগুলো সাধারণত মূলে থাকে। সুতরাং দীপ্তির পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদ কোষে ক্লোরোপ্লাস্টের পরিমাণ বেশি ছিল বলে সেগুলো সবুজ ছিল। কিছু উদ্ভিদ কোষে ক্রোমোপ্লাস্টের পরিমাণ অধিক ছিল বলে উদ্ভিদগুলোকে লাল বা কমলা দেখাচ্ছিল। অর্থাৎ উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন প্লাস্টিডের আধিক্যই উদ্ভিদগুলোর বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার একমাত্র কারণ।

ঘ. দীপ্তি বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়ে বিভিন্ন বর্ণের উদ্ভিদ এবং চিড়িয়াখানায় গিয়ে বিভিন্ন প্রাণী দেখেছিল। নিচে দীপ্তির দেখা উদ্ভিদ ও প্রাণীর কোষীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনা করা হলো—

i. উদ্ভিদকোষের বাইরে জড় কোষপ্রাচীর থাকে কিন্তু প্রাণিকোষে কোনো কোষপ্রাচীর থাকে না।
ii. উদ্ভিদকোষে প্লাস্টিড থাকে, যা প্রাণিকোষে থাকে না।
iii. উদ্ভিদকোষের কোষগহ্বর বেশ বড় কিন্তু প্রাণিকোষের কোষগহ্বর আকারে অত্যন্ত ছোট অথবা অনুপস্থিত।
iv. উদ্ভিদকোষে নিউক্লিয়াস পরিধির কাছে অবস্থান করে কিন্তু প্রাণিকোষে নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে অবস্থান করে।
v. উদ্ভিদকোষের সঞ্চিত খাদ্য স্টার্চ এবং প্রাণিকোষের সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।
vi. উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই মসৃণ ও অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা থাকে৷
vii. উদ্ভিদকোষে সেন্ট্রোসোম অনুপস্থিত কিন্তু প্রাণিকোষে উপস্থিত৷
viii. উভয় কোষেই গলজি বস্তু উপস্থিত, তবে প্রাণিকোষে এর পরিমাণ বেশি এবং উদ্ভিদকোষে কম।

নিজে অনুশীলন করো

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : পিঁয়াজের কোষ পরীক্ষা করলে দেখা যায় কোষের মধ্যে একটি বড় ফাঁকা জায়গা আছে। এ ফাঁকা জায়গাতে যে রস থাকে তাকে কোষরস বলে।

ক. জীবদেহ বৃদ্ধির কারণ কী?
খ. প্লাস্টিডকে বর্ণাধার বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের ফাঁকা জায়গাটি যে কোষের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ঐ কোষের চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
ঘ. উদ্দীপকের কোষের প্রাণকেন্দ্র কোনটি? কেন একে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়?

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : কোষের প্রোটোপ্লাজমের মধ্যে ভাসমান একটি গোলাকার বস্তু রয়েছে যেটি কোষের সকল শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। নবীন কোষে এরা কোষের কেন্দ্রে অবস্থান করে।

ক. সাইটোপ্লাজম কী?
খ. কলাতন্ত্রের ২টি কাজ লেখো।
গ. উদ্দীপকে কোষের ভাসমান বস্তুগুলোর কোনটিকে শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বলা হয় এবং কেন?
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত অঙ্গাণুটির চিহ্নিত চিত্র অংকন করে এর বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দাও।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : ‘ক’ ও ‘খ’ কোষের দুটি অঙ্গাণু যাদেরকে সাইটোপ্লাজমে দেখা যায়৷ ‘ক’ অঙ্গাণুর অভ্যন্তরে শক্তি উৎপাদনের প্রায় সকল বিক্রিয়া ঘটে থাকে এবং ‘খ’ অঙ্গাণুটি কোষের শরীর বৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে।

ক. সাইটোপ্লাজম কী?
খ. প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভিত্তি বলা হয় কেন?
গ. ‘ক’ অঙ্গাণুকে শক্তির আধার বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ উক্তিটি যুক্তির সাহায্যে মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : দীপক বাবার সাথে ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে যায়। গার্ডেনে সে বিভিন্ন বর্ণের গাছপালা দেখতে পায়। পরবর্তীতে সে পার্শ্ববর্তী চিড়িয়াখানায় যায়। সেখানে সে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে পায়।

ক. প্রকৃত কোষ কত প্রকার?
খ. কোষপ্রাচীরকে উদ্ভিদ কোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য বলা হয় কেন?
গ. দীপকের পর্যবেক্ষণকৃত উদ্ভিদগুলো বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দীপকের দেখা জীবগুলোর কোষীয় বৈশিষ্ট্যের তুলনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : বিজ্ঞান শিক্ষক তানভীর আহমদ সাহেব কোষের গঠনের ওপর ক্লাস নিচ্ছিলেন। তিনি বললেন, জীবদেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে তৈরি। তিনি একটি প্রাণিকোষের চিহ্নিত চিত্র আঁকলেন এবং কোষপ্রাচীর, প্রোটোপ্লাজম, কোষ ঝিল্লি, সাইটোপ্লাজম ও কোষগহ্বরের কাজ ব্যাখ্যা করলেন।

ক. কে কোষ আবিষ্কার করেন?
খ. নিউক্লিয়াস প্রধানত কী কী অংশ নিয়ে গঠিত?
গ. শিক্ষক যে কোষ আঁকলেন তার চিহ্নিত চিত্র অঙ্কন করো।
ঘ. শিক্ষকের উল্লিখিত অঙ্গাণুগুলোর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : কোষ জীবের গঠন একক। জীবের দেহের বিভিন্ন আকার আকৃতির কোষ দেখা যায়। সাধারণত কোষ এতই ক্ষুদ্র যে খালি চোখে দেখা যায় না।

ক. কোষ ঝিল্লি কী?
খ. ক্রোমাটিন তন্তুর দুটি কাজ লেখ।
গ. উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য লেখ।
ঘ. জীবদেহে কোষের ভূমিকা মূল্যায়ন করো।

ANSWER SHEET

উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *