“ঝ” বগি ছাড়াই আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলো। টিকেট কেটেও বগি না থাকায় যাত্রীরা ঢাকা যেতে না পেরে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। তবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে বগিটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জানা গেছে, আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ৯০টি।
এর মধ্যে দিনাজপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২০টি। মঙ্গলবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে দিনাজপুর ষ্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল একতা এক্সপ্রেসের। কিন্তু ট্রেনটি ১৮ মিনিট দেরি করে রাত সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর থেকে ছেড়ে যায়। পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন চলাচল করে একতা এক্সপ্রেস। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের জন্য দিনাজপুর ষ্টেশন থেকে ঝ বগির টিকেট বিক্রি হলেও ট্রেনটি ঝ বগি সংযুক্ত ছিল না। এতে ঢাকা যেতে না পেরে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে।
দিনাজপুর পৌর শহরের হিরাবাগান এলাকায় সৌরভ অধিকারী বলেন, আমি মোটরসাইকেল পার্টস ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার সকালে ষ্টেশনে এসে টিকেট পাই নাই। কিন্তু আমাকে ঢাকায় যেতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দাম দিয়ে টিকেট কিনতে হয়েছে। কিন্তু রাতে ষ্টেশনে এসে দেখি আমার টিকেটের উল্লেখ করা বগিটি নেই। পরে কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায় ঝ বগিটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। আমি তো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে গেছি।
যাত্রী রাইহান ইসলাম বলেন, আমার বাসা ঠাকুরগাঁওয়ে। আমি ঢাকার বাটারফ্লাই শোরুমে চাকুরী করি। বহু কষ্টে এক বন্ধুর মাধ্যমে দিনাজপুর ষ্টেশন থেকে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে পারছি। কিন্তু আমার যাওয়ার বগিটি না থাকায় আমি চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছি। আমার বগি না থাকলেও আমাকে অফিসে যেতে হবে।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনেরর কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মোক্তার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, লালমনিরহাট থেকে কন্ট্রোল অর্ডারে (আদেশ) আমাদের জানানো হয়েছে ‘ঝ’ বগিটি বাতিল। পঞ্চগড়ে ট্রেনটির বগি সমস্যা হওয়াতে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা যাত্রীদের বলেছি তারা যেন টিকিট ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকা ফেরত নেয়। যাদের অতি জরুরি তারা অন্য বগিতে যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বসার ব্যবস্থা আমরা করতে পারছি না।