বইমেলা হলো এমন একটি আনন্দঘন পরিবেশ থেকে বই কেনা বেচার সুযোগ ঘটে বইমেলা। বইমেলা হলো বইকে উপলক্ষ করে লেখকের পাঠকের মিলন মেলা। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু হয় বাংলা একাডেমি ওমর একুশে বইমেলা । বইমেলাকে কেন্দ্র করে অনেক লেখক তাদের নতুন বই প্রকাশ করেন; পাঠক নতুন নতুন ধারণার সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন । সবচেয়ে বড় বই মেলা হয় জার্মানির ফ্রাঙ্কুট শহরে বিশ্বের বড় বইমেলা । এই মেলাতে বই এর প্রকাশ গন তাদের নতুন ও পুরনো বই নিয়ে দোকান সাজান, পাঠক সেখান থেকে তাদের পছন্দের বই দেখে শুনে কিনতে পারেন । বাংলাদেশে বইমেলা সূচনা হয় ১৯৭২ সালের মুক্তধারার প্রকাশক চিত্ররঞ্জন সাহা উদ্যোগে । বইমেলায় শুধু কেনাবেচাই নয় নানা ধরনের সংস্কৃতি ও বিভিন্ন ধরনের বাংলা একাডেমিক কর্মকান্ড বাংলা একাডেমি গ্রহণ করে । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর বইমেলায় উদ্বোধন করেন ।
বইমেলায় মানুষের মধ্যে পাঠ্য ভাস বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বিশেষভাবে শিশু কিশোররা বাবা মার সাথে বইমেলায় গিয়ে নিজেদের পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারে। প্রত্যেক বছর ঘুরে ওমর একুশে গ্রন্থমেলা হাজির হয় । পাঠক লেখক প্রকাশকদের এক মহামিলন মেলায় রূপ নেয় সবার প্রিয় এ গ্রন্থ মেলা । ওমর একুশে গ্রন্থ মেলার শুরুটা হয়েছিল অনেক আগেই । বাংলা একাডেমি সবথেকে বই মেলা শুরু হয়েছিল চিত্তরঞ্জন সাহার হাত ধরে । বর্তমান বাংলা একাডেমী তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণে বটতলায় বই নিয়ে এসেছিলেন প্রকাশনা জগতের এক স্মরণীয় ব্যক্তি চিত্ররঞ্জন সাহা । শুধু গ্রন্থ মালাই নয় এক প্রাণের মেলা । আত্মার সঙ্গে আত্মার যেমন সম্পর্ক , তেমনি বইয়ের সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক । মানুষের ভালোবাসার কারণে ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমী এই উদ্যোগকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে । ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন সাহা নিজ উদ্যোগে চালিয়ে যান এই বইমেলা ।
ওমর একুশে গ্রন্থমেলা সেই থেকে এই গ্রন্থমেলার প্রতি বছর প্রায় অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে । মূলত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় বাঙালির প্রাণের ভাসার মাস আর এই মাসেই আমরা অর্জন করেছিলাম প্রিয় বাংলা ভাষা তার এই মাসেই আমরা একুশে বইমেলা আয়োজন করে থাকি ।একুশে বইমেলা তো বাঙালি সেই প্রাণের মেলা যেটা লেখক পাঠক মহামিলনে বাংলার চিরচেনা সংস্কৃতি ও সোনালী ইতিহাস যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে । বাঙালির জীবনে ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ খুবই তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিন । এদিনের ইতিহাস আমাদের চেতনার সংগ্রামী ইতিহাস । স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফেব্রুয়ারি মাস বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকে । একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলা একাডেমীর প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে বইমেলার আয়োজন করে থাকে । এছাড়া বই কেনার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ তৈরি হয় । এ কারণে এ ধরনের বইমেলায় আগ্রহ ব্যবহারে দিন দিন বৃদ্ধি বাড়ছে। একুশে বইমেলা আমাদের মধ্যে সাহিত্য সংস্কৃত উপর জাগ্রত করে । বইমেলায় এখন আমাদের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত । প্রতিবছর বইমেলার আয়োজন করে বইমেলা ও বইয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
আপনি শাহবাগ , রমনা, টিএসসি , আসলেই বইমেলায় যেতে পারবেন ঢাকা যে কোন জায়গা থেকে আপনি শাহবাগে বাসে আসতে পারবেন । আপনি বাস থেকে শাহবাগ নামলেই বইমেলা দেখতে পারবেন এছাড়া বাংলা অ্যাকাডেমীর প্রাঙ্গনে সর্বোপরিচারে কিছু বইয়ের দেখতে পাবেন । বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির ডিজিটাল যুগে বই পড়া মানুষ খুঁজে পাওয়াটা কিছুটা হলেও দুষ্কর ।