মুখের ত্বক পরিষ্কার করার জন্য সাবানের থেকে ফেসওয়াশ অবশ্যই একটু ভালো, কিন্ত একদম প্রাকৃতিক ফেসওয়াশ ছাড়া (যেগুলি খুব কম কোম্পানিই তৈরি করে, আর তৈরি করলেও তার দাম প্রচুর) সব কেমিক্যাল ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করাও কিন্ত সম্পূর্ন নিরাপদ নয়।
সাবানের বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ এর মধ্যে থাকা কিছু ক্ষারের উপাদানের জন্য। সাবানকে শক্ত ও কিছুদিন ব্যবহারের উপযোগী করে রাখার জন্য এর মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ,পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড জাতীয় ক্ষার মেশাতেই হয়।
তাই সাবান ব্যবহারের সময় এগুলি মুখের ত্বকের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ভেতরের জলীয় উপাদানগুলিকে শোষণ করতে থাকে। সেই কারণেই সাবান ব্যবহারের কিছুক্ষন পরে আমাদের ত্বক এত শুষ্ক লাগে।
মুখের ত্বকের শুষ্ক থাকার একটি বড় অসুবিধা হল ত্বক শুষ্ক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি মুখে বলিরেখা চলে আসতে পারে। মুখের ফেসিয়াল মাসল যথেষ্ট হাইড্রেটেড না থাকলে, আমরা সারাদিনে কথাবার্তার সময়ে যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করি, তার জন্য সেই সব স্থানে বলিরেখা আসতে পারে।
বাজারচলতি সাধারণ ফেসওয়াশগুলি মুখ পরিষ্কার করার সময় একটু ফেনা সৃষ্টি করার জন্য লুকিয়ে চুরিয়ে কিছু সাবানের উপাদান ব্যবহার করে থাকে। তাই ফেসওয়াস কেনার সময় ভালো কোন ব্র্যান্ড ও তার কম্পোজিশনগুলি যত্ন করে পড়ে নেওয়া দরকার।
তবে বর্তমানে বেশ কিছু ভালো হার্বাল কোম্পানি বেশ ভালো কোয়ালিটির ন্যাচারাল ফেসওয়াস বাজারে এনেছেন, এগুলি ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে দাম একটু বেশীই।
গ্রামে গঞ্জে এখনও আমি বহু “গিফ্টটেড” মহিলাকে দেখেছি, যাঁরা ফেইসওয়াশ তো কোন ছাড়, হাই সোডিয়াম লবণ দিয়ে প্রস্তুত “হলুদবাটি সাবান” মেখেও দিব্বি সুন্দর শ্যামলা সাস্থ্যকর ত্বক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তবে শহরে যেহেতু দূষণ অনেক বেশি তাই সেক্ষেত্রে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা ছাড়া হয়তো অন্য উপায় থাকেনা।
তবে যাঁরা ফেসওয়াশ কিনতে পারবেন না, তারা এক মগ জলে অর্ধেকের একটু কম ছোট পাতিলেবুর রস ফেলে ভালো করে ঘেঁটে নিন। পরে ওই জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এতেও বেশ খানিকটা উপকার পাবেন।
ভুলেও ডাইরেক্ট লেবুর রস মুখে লাগাবেন না। এর জন্য ত্বক আরও বেশি সেনসিটিভ হয়ে যেতে পারে।