মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরের অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষা, বিসিএস, ব্যাংক জব সহ সব পরীক্ষায় সাধারণ মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরের অবস্থান থেকে প্রশ্ন থেকেই যায়। ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরের অবস্থান বিশেষ করে নিজের জেলার অবস্থান কোন সেক্টরে ছিল জেনে নিন।
১ নং সেক্টর-
চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা,নোয়াখালী জেলার মুহুরি নদীর পূর্বাংশ এবং ফেনী নদী পর্যন্ত ১ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
২ নং সেক্টর-
নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ২ নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
৩ নং সেক্টর-
কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা এবং ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ৩ নং সেক্টর গঠিত হয়েছিল।
৪ নং সেক্টর-
সিলেট জেলার অংশবিশেষ, হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণ কানাই ঘাট পুলিশ স্টেশন পর্যন্ত ১০০ মাইল এলাকা নিয়ে এই ৪ নং সেক্টরটি গঠন করা হয়েছিল।
৫ নং সেক্টর-
বৃহত্তম ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে পাঁচ নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
৬ নং সেক্টর-
রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও মহকুমা নিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ছয় নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
৭ নং সেক্টর-
রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া জেলা এবং দিনাজটুরের দক্ষিণাংশ নিয়ে সাত নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের ৮ নং সেক্টর-
কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর,খুলনার কিছু অংশ,বরিশাল, পটুয়াখালী জেলা, সাতক্ষীরা মহকুমা নিয়ে আট নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টর-
বরিশাল,পটুয়াখালী জেলা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নয় নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
১০ নং সেক্টর-
১৯৭১ সালে ৪৫ জন পালিয়ে আসা নৌ-সেনা নিয়ে এই সেক্টর গঠিত হয়।তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর-
ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের এগারো নং সেক্টর গঠন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শত্রুকে যথাযথ ভাবে মোকাবেলা করার জন্য রণক্ষেত্র কে ১১ টি সেক্টরের বিভক্ত করা হয়েছিল। যার কারণে সুসংগঠিত ভাবে যুদ্ধ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে হারিয়ে আমরা বিজয় অর্জনে সক্ষম হয়েছিলাম।