কালোজিরা | কালোজিরার ১১টি জাদুকরী গুণ
একটি মাঝারি আকৃতির মৌসুমি গাছ হচ্ছে কালোজিরা। এর একবার ফল ও ফুল হয়। এর কালো রঙের তিনকোণা আকৃতির বীজ হয়।
আর এ কালোজিরাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। এটি রান্না করার দরকারী মসলা ও ফোঁড়নের অন্যতম উপাদান। কালোজিরার আরও রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণ।
কালোজিরার বৈশিষ্ট্য –
নাম | কালোজিরা |
বৈজ্ঞানিক নাম | Nigella Sativa Linn |
জগৎ | Plantae |
প্রজাতি | N.Sative |
প্রতিশব্দ | Nigella Cretica Mill |
পরিবার | Ranunculaceae |
বর্গ | Ranunculales |
কালোজিরায় কী আছ?
কালোজিরা তেলে ১০০+ প্রয়োজনীয় উপাদান আছে। এতে শতকরা ২১% আমিষ, ৩৮% শর্করা ও ৩৫% ভেষজ তেল ও চর্বি আছে। এছাড়া এর অন্যতম উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এছাড়া কালোজিরাতে আরও রয়েছে আমিষ, শর্করা ও ফ্যাটি এসিডসহ প্রয়োজনীয় নানা উপাদান।
তাছাড়া কালোজিরা তেলে রয়েছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, লৌহ, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি ছাড়াও রয়েছে জীবাণু নাশক নানা উপাদান।
এতে আরও রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক করোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, রয়েছে প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, অম্লরোগের প্রতিষেধক ইত্যাদি।
কালোজিরার জাদুকরী ১১ গুণ
খাদ্যবিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদদের মতে, রান্নায় স্বাদ আনায় শুধু কালোজিরার কাজ নয় বরং প্রতিদিন একটু করে কালোজিরা খেলে শরূরকে বিভিন্ন অসুখের সঙ্গে লড়তে সহায়তা করে। UNB কালোজিরার কিছু গুণের কথা বলেছেন এগুলো হলো –
- সর্দিকাশি হলে একটি পরিষ্কার কাপড়ে কালোজিরা নিয়ে নাকেরকাছে ধরে রেখে বড় করে কিছুক্ষণ শ্বাস নিন। যা বুকে জমে থাকা কফ টেনে বের করতে সহায়তা করবে। এটি দ্বরা নাক বন্ধের সমস্যাও দূর হয়।
- কালোজিরায় প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস রয়েছে। ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে তাই কালোজিরাকে অবহেলা করা যাবে না।
- কালোজিরায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন তারা সপ্তাহে একদিন করে কালোজিরা ভর্তা খেলে উপকার পাবেন।
- কালোজিরা ভেজে গুঁড়া করে আধা কাপ ঠান্ডা করা দুধে এক চিমটি কালোজিরা মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেলে পেটের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
- বেশি শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলে অনেক সময় ডাক্তারের কাছে যাওয়ার অবস্থা থাকে না। এ সময় কালোজিরা কাপড়ে জড়িয়ে নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকোন। এতে শ্বাসকষ্টের কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে এ ঘরোয়া টোটকা।
- কালোজিরায় শুধু নয় এর তেল নানারকম শারীরিক সমস্যা সমাধানে কাজে আসে। দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা বা মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কালোজিরা তেল কপালে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায়।
- চুল পড়া কমাতে কালোজিরা তেল সাহায্য করে। এক চামচ নারকেল তেলের সাথে একইপরিমাণ কালোজিরা তেল মিশিয়ে গরম করে মাথার ত্বকে এই তেল কুসুম গরম অবস্থায় মালিশ করুন। একটানা এক সপ্তাহ মালিশ করলে চুল পড়া সমস্যা অনেকটাই কমবে।
- শরীরের মেয়াদ দূর করতে গ্রিন টির সঙ্গে মিশিয়ে নিন কালো জিরার গুড়া। এতে শরীরের মেদ ঝরাতে কাজে আসবে।
- বৃষ্টিতে ভিজলে সর্দি কাশি হলে বুকে চাপ লাগলে কালোজিরা তেল গরম করে বুকে পিঠে মালিশ করুন। কয়েকবার করলেই কষ্ট কমবে।
- অনেক দিনের পুরনো ব্যথা বা বাতের ব্যথায় কালোজিরা তেল মালিশ করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়।
- কালোজিরায় ফসফেট, ফসফরাস ও লৌহের পরিমান বেশী থাকার রক্তস্বল্পতার রোগীরা অনেক উপকার পেয়ে থাকেন।
আজ এখানেই থাকলো।এ পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্ত।।