Lifestyle
1 min read

কমলা | কমলার উপকারিতা

শীতকাল মানেই কমলা। এটি বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে অনেক পরিচিত। এটি আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে। একই সাথে কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং নানা রকম রোগ-ব্যাধি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো ছাড়াও কমলাতে রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন তাহলে কমলার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই

কমলার পুষ্টিগুণ

কমলাতে তেমন একটা ক্যালোরি নেই। একটা মাঝারি আকৃতির কমলায় প্রায় 62 ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এগুলো ছাড়াও আছে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কমলায় আঁশের পরিমাণ বেশ ভালো। তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

কমলার উপকারিতা

কমলার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে কয়েকটি উপকার সম্পর্কে জেনে নেই-

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়

চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে প্রয়োজন ভিটামিন এ। আমরা সকলেই জানি ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। কমলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের জীবাণু ধ্বংস করে

ভিটামিন এর পাশাপাশি কমলাতে রয়েছে আলফা ও বেটা ক্যারোটিন এর মতো ফ্ল্যাভনয়েড এন্টি-অক্সিডেন্ট সহ অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট এর যৌগ যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কমলায় উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ হচ্ছে ফ্ল্যাভনয়েড যা ফুসফুস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে কমলা খাওয়া উচিত।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

কমলা ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে। সেই সাথে ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান। এ উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকও কুঁচকে যায়। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলাতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সতেজ ও সজীব রাখতে সাহায্য করে। বার্ধক্যেও ত্বককে অনেক মসৃণ রাখে, সহজে বলিরেখা পড়ে না। বহু বছর লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখে

কমলাতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান রয়েছে যা হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি, সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম এর মত খনিজ উপাদান গুলোর শরীরে সোডিয়াম এর প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও কমলার চর্বিহীন আঁশ সোডিয়াম মুক্ত, কোলেস্টেরল মুক্ত উপাদানগুলো হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।

শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে

কমলার খোসাতে চিনির পরিমাণ একেবারেই নেই, তাই এটা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে। ডায়াবেটিস এবং মেটাবলিক সিন্ড্রোম রোগীদের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কমলা অনেক উপকারী।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

ক্যালরি ফ্রি ফল হিসেবে কমলা পরিচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। কান্নার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান যেমন – থিয়ামিন, নিয়াসিন ভিটামিন বি 6, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার রয়েছে কমলাতে।

শেষ কথা

তাহলে বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি। আশা করি, কমলার উপকারিতা সম্পর্কে অল্প কিছু হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলো অবশ্যই বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের সাথে শেয়ার করবেন।

Rate this post