একটি উপকারী ফল হচ্ছে শসা। শসাতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। এটি গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে সারা বছরই শসা পাওয়া যায়। এতে পানির পরিমাণ বেশি। এটি শরীরের জন্য খুব উপকারী। চলুন তাহলে শসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
শসার উপকারিতা
শসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন কয়েকটি উপকারী তা সম্পর্কে জেনে নেই।
- শসাতে তে থাকা ভিটামিন, খাদ্য-আঁশ এবং পানি খাদ্য হজমে সাহায্য করে। প্রতিদিন শসা খেলে পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।
- শসাতে রয়েছে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম । যা হাড় মজবুত করে। ভিটামিন কে হাড়ের ক্ষয় এর ঝুঁকি কমায় এবং ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
- ফাইবার ও ফ্লুইডসমৃদ্ধ শসা শরীরে ফাইবার ও পানির পরিমাণ বাড়ায়।
- শসাতে স্টেরল নামের উপাদান থাকার কারণে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- তাছাড়া কিডনি, ইউরিনারি, ব্লাডার, লিভার ও প্যানক্রিয়াসের সমস্যায় শসা অনেক উপকারী।
- শসা ও শসার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
- আলসার,গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও শসা অনেক উপকারী।
- মিনারেলসমৃদ্ধ শসা নখ ভালো রাখতে তাছাড়া দাঁত ও মাড়ির সমস্যায় ও সাহায্য করে।
- এছাড়াও গাজরের রসের সাথে শসার রস মিশিয়ে খেলে ইউরিক এসিড থেকে ব্যথার সমস্যা সৃষ্টি হলে অনেক উপকার হবে।
শসার অপকারিতা
শসার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে।অতিরিক্ত শসা খেলে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এর কয়েকটি হলো –
- অতিরিক্ত শসা খেলে ওজন কমে যায়।
- তাছাড়া ক্ষুদা লাগলেই অতিরিক্ত শসা খেলে বদহজম, পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- রক্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
- পুষ্টির অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে ইত্যাদি।