মাইটোসিস কি? মাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব

যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় প্রকৃত বা সুকেন্দ্রিক কোষ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষে পরিণত হয় তাকে মাইটোসিস বলে। এটি সোম্যাটিক সেল বিভাগ নামেও পরিচিত। অর্থাৎ, মাইটোসিস হলো এক প্রকার কোষ বিভাজন যেখানে একটি কোষ ভাগ করে দেয় দুটি নতুন কোষ যা জিনগতভাবে নিজের মতো অভিন্ন।

এক কথায় বলা যায়, মাইটোসিস হলো কোষ বিভাজনের এমন একটি পদ্ধতি, যার মধ্যে নিউক্লিয়াস কন্যা নিউক্লিয়ায় বিভক্ত হয়ে সমআকৃতির, সমগুণ সম্পন্ন ও সমসংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।একেই মাইটোসিস বলা হয়।

মাইটোসিস কোষ বিভাজন দুইভাবে ঘটে। যথাঃ

  • ক্যারিওকাইনেসিস (নিউক্লিয়াসের বিভাজন)
  • সাইটোকাইনেসিস (সাইটোপ্লাজমের বিভাজন)

মাইটোসিস ও সাইটোকাইনেসিসকে একসাথে মাইটোটিক বলে।

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম। নিচে এর কিছু গুরুত্ব দেওয়া হলো –

  • মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে বহুকোষী জীবের দেহ গঠন ও দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে।
  • এর মাধ্যমে জীবের জনন অঙ্গ সৃষ্টি হয়।
  • জীবদেহে ক্রোমোজোমের সমতা রক্ষা করে।
  • কোষকে যথাযথ আকার বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • এ কোষ বিভাজন পরোক্ষভাবে যৌন প্রজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি যৌন প্রজননকারী জীবকে একক কোষ থেকে যৌন পরিপক্ব ব্যক্তির মধ্যে বিকাশ এবং বিকাশের অনুমতি দেয়। তাছাড়া জীবকে প্রজন্ম ধরে প্রজনন চালিয়ে যেতে দেয়।
  • এটি এককোষী জীবের প্রজননে সাহায্য করে।
  • আহত কোষকে মেরামত করতে সাহায্য করে।
  • কোষের হ্যাপ্লয়েড ও ডিপ্লয়েড প্রকৃতি বজায় রাখে।
  • নতুন কোষ দ্বারা মৃত কোষ প্রতিস্থাপন সম্পর্কে নিয়ে আসে।
  • জীবদেহে কিছু কিছু কোষ আছে যাদের আয়ু কম সেসব কোষ নষ্ট হলে মাইসোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত ক্ষয় পূরণ হয় ইত্যাদি ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *