“ঙ” দিয়ে শব্দ গঠন কর
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ৫ ম বর্ণ হচ্ছে ঙ। এটি ক বর্গের পঞ্চম ধ্বনি। এটি ‘উয়ঁ’, ‘উঁয়ো’ বা ‘উমা’ রূপে উচ্চারিত হয়। এর উচ্চারণ স্থান হচ্ছে নাসিকা। তাছাড়া এটি একটি ঘোষ ধ্বনি। চলুন তাহলে “ঙ” দিয়ে শব্দ গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
অভিধানে ঙ শব্দটির নানা অর্থ দেখা যায়। যেমন – বিষয়, ভৈরভ, বিষয়লালসা। তন্ত্রশাস্ত্রেও আবার ঙ কারের অনেক নাম রয়েছে। যেমন – শঙ্খী, ভৈরব, বিন্দুওংস, শিশুপ্রিয়, খর্পর, মন্ত্রশক্তি, যাত, নীলকন্ঠ, ময়, অংশুক ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় ঙ দিয়ে শুরু বর্ণ পাওয়া দুর্লভ। সবেধন নীলমণি হিসেবে এখনো টিকে রয়েছে “ঙাপ্পি” শব্দটি। এটির সফল প্রয়োগ দেখিয়েছে সুুুকুমার রায়। তিনি তাঁর “খাই খাই” কবিতায় লিখেছেন, “ব্যাঙ খায় ফরাসিরা (খেতে নয় মন্দ) বার্মায় ঙাপ্পিতে বাপরে কি গন্ধ”
আমাদের পাহাড়ি অঞ্চল ও সাবেক বার্মার বর্তমানের মিয়ানমার অধিবাসীরা চাটনি হিসেবে তীব্র গন্ধযুক্ত ঙাপ্পি খায়। খোসা ছাড়ানো চিংড়ি মাছের সাথে নানা রকম মসল্লা মিশিয়ে এ খাদ্য বানানো হয়। কিন্তু পাহাড়িদের মাঝে ঙাপ্পি তৈরির পদ্ধতি আলাদা। কেউ কেউ মাছ ও চাল পচিয়েও এ ঙাপ্পি তৈরি করে। পার্বত্য চট্রগ্রামে এটা “নাপ্পি পোঁচা” নামে পরিচিত।
“ঙ” দিয়ে শব্দ গঠন
নিম্নে কয়েকটি “ঙ” দিয়ে শব্দ গঠন করা হলো –
প্রদত্ত শব্দ | বাক্য রচনা |
ব্যাঙ | ব্যাঙ উভচর প্রাণী। |
লাঙ্গল | লাঙ্গল দিয়ে জমি করা হয়। |
রঙ | রঙ কর ছবি দেখে দেখে। |
সঙ | সঙ অর্থ হলো হাস্য কৌতুককারী অভিনেতা। |
সঙ্গ | সৎ সঙ্গে সর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। |
তাহলে আজ এখানেই থাকলো। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।