জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি? এর ব্যবহার ও সুবিধা
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কি?
কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী ডিএনএ (DNA) পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। একে জেনেটিক মডিফিকেশনও বলা হয়।এটি ডিএনএ পরিবর্তন করার একটি প্রক্রিয়া।এটি মূলত উন্নত বৈশিষ্ট্যধারী উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে। ডিএনএ হলো জীবদেহের নীলনকশা।
এক কথায় বলা যায়,এটি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা কোন জীবের জিনোম পরিবর্তন করেন। অর্থাৎ বায়োটেকনোলজির প্রসেসিং ব্যবহার করে কোন জীবের জিনোম কে নিজের সুবিধা অনুযায়ী সাজিয়ে নেওয়ায় হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং।
বিজ্ঞানীরা জীবের বৈশিষ্ট্যগুলো বাড়ানোর বা সংশোধন করার জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করেন। এটি রিকম্বিন্যান্ট DNA প্রযুক্তি এবং জিন থেরাপির সাথে জড়িত।এর মূল উদ্দেশ্য হলো জিনগুলো পরিবর্তন করা এবং তার ফলাফলগুলো অধ্যায়ন করা এবং জিনগতভাবে পরিবর্তিত এই জিনটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা ।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার
বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হচ্ছে । বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, গবেষণায়,শিল্প ও কৃষিসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে।
- মানবদেহের ইনসুলিন তৈরির জিনকে ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবিষ্ট করে বাণিজ্যিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদন হল এর সবচেয়ে বড় সুফল।
- শস্য ও পশুসম্পদকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
- জিন থেরাপি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সুফল।এর মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা ও ত্রুটিপূর্ণ মানুষের জিন পরিবর্তন করে সুস্থ করে তোলা যায়।
- এর মাধ্যমে ইনসুলিন, হিউম্যান গ্রোথ হরমোন এবং ভ্যাক্সিন তৈরি করা যায়।
- টিকা ও জ্বালানি তৈরি করা যায়।
- জেনেটিক ত্রুটিসমূহ নির্ণয় করা যায় ইত্যাদি।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপকারিতা
- কৃষিক্ষেত্রকে সম্ভাবনাময় করে তুলেছে।
- নতুন খাবার উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখছে।
- রোগ প্রতিরোধের উন্নতি করতে সহায়তা করছে।
- কিটপতঙ্গ প্রতিরোধের জেনেটিক স্তর তৈরি করতে দেয়।
- ঔষধ গবেষণা কাজকে উন্নত করছে ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আরও অনেক সুবিধা দিচ্ছে।বিজ্ঞানীরা আশা করছে অদূর ভবিষ্যতে এটি আরও ব্যাপক সম্ভাবনা নিয়ে আসবে।