আজ আমরা বিশেষ্য পদ কাকে বলে এবং বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কি কি নিয়ে জানার চেষ্টা করব।
বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
বাক্যমধ্যে ব্যবহৃত যে পদ দ্বারা কোন ব্যাক্তি, জাতি,সমষ্টি, বস্তু,স্থান,কাল, ভাব, কর্ম বা গুণের নাম বোঝানো হয় তাদের বিশেষ্য পদ বলে। এক কথায় কোন কিছুর নামকেই বিশেষ্য পদ বলে। যেমন – ইফাদ, বই, পশু, ঢাকা, ভোজন, শয়ন ইত্যাদি।
বিশেষ্য পদ কত প্রকার ও কি কি?
বিশেষ্য পদ ৬ প্রকার। যথাঃ-
- সজ্ঞা বা নাম বাচক বিশেষ্য
- জাতিবাচক বিশেষ্য
- বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য
- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য
- ভাববাচক / ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
- গুণবাচক বিশেষ্য
সজ্ঞা বা নাম বাচক বিশেষ্য
যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোন ব্যক্তি, প্রাণী,স্থান,নদী,সমুদ্র,পর্বত, গ্রন্থ, ভৌগোলিক স্থান ইত্যাদির নির্দিষ্ট নাম বোঝায়, তাকে সজ্ঞা বা নাম বাচক বিশেষ্য বলে। যেমন –
ব্যক্তির নামঃ ইফাদ, আসিফ, ওমর।
প্রাণীর নামঃ গরু,ছাগল,মহিষ।
স্থানের নামঃ শেরপুর,ঢাকা,ময়মনসিংহ।
নদ-নদীর নামঃ ব্রাহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা,যমুনা।
সমুদ্রের নামঃ বঙ্গোপসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর।
পাহাড় – পর্বতের নামঃ হিমালয়, আরব সাগর।
গ্রন্থের নামঃ গীতাঞ্জলি, অগ্নিবীণা, বিশ্বনবী।
জাতিবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা কোন একজাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – মানুষ, গরু,পাখি,গাছ,নদী,ইংরেজ ইত্যাদি।
বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা কোন উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – বই, খাতা, কলম, থালা, বাটি, চাল, চিনি, লবণ ইত্যাদি।
সমষ্টিবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা একজাতীয় ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝাশ, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – জনতা, সমিতি,দল, পাল, মালা, সারি, মাহফিল, ঝাঁক , বহর ইত্যাদি।
ভাববাচক / ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা ক্রিয়ার ভাব বা কাজের নাম বোঝায়, তাকে ভাববাচক বা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – ভোজন, দর্শন, গমন, করা, দেখা, শোনা ইত্যাদি।
গুণবাচক বিশেষ্য
যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোন বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – সৌরভ, স্বাস্থ্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ, তারুণ্য, তিক্ততা ইত্যাদি।