Modal Ad Example
পড়াশোনা

ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১)

1 min read

প্রশ্ন-১। পাওয়ার ফ্যাক্টর কাকে বলে? 
উত্তরঃ এসি সিস্টেমের কোন সার্কিটের প্রকৃত পাওয়ার ও আপাত পাওয়ারের অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। পাওয়ার ফ্যাক্টর গ্রাহকের লোডের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। একে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-২। প্রটেকটিভ ডিভাইস কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ব্যবহৃত তার অথবা বৈদ্যুতিক বর্তনীতে লাগানো যন্ত্রপাতি রক্ষা করা হয় তাদেরকে প্রটেকটিভ ডিভাইস বলে। যেমন: ফিউজ, সার্কিট ব্রেকার ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৩। ক্যালকুলেটর কি?
উত্তরঃ ক্যালকুলেটর হচ্ছে গণনাকারী যন্ত্র, যার সাহায্যে হিসাব-নিকাশের কাজ করা হয়।

প্রশ্ন-৪। সার্ভিস এন্ট্রান্স কাকে বলে?
উত্তরঃ ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে বাড়ি অথবা কল-কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ট্যাপিং করে যে লাইন নেওয়া হয় তাকে সার্ভিস এন্ট্রান্স বলে।

প্রশ্ন-৫। ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব উপাদান দিয়ে বৈদ্যুতিক সার্কিট তৈরি করা হয় তাদেরকে ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট বলে। যেমন : ক্যাপাসিটর, ইনডাক্টর, রোধক ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৬। ইন্ডাকটিভ সার্কিট কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পরিবাহী তারকে কুণ্ডলী আকারে জড়ানো হলে নিজস্ব পাকের মধ্যে আবেশ ক্রিয়া ঘটে। এ আবেশ ক্রিয়ার সত্ত্বাকে ইন্ডাকট্যান্স বলে। যে সব সার্কিটে রেজিস্ট্যান্সের তুলনায় ইন্ডাকট্যান্স এর প্রভাব বেশি থাকে তাকে ইন্ডাকটিভ সার্কিট বলে।

প্রশ্ন-৭। ব্লু প্রিন্ট বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ ব্লু-প্রিন্ট বলতে নীলকরণ ছাপ বা নীল নকশাকে বুঝায়। ইলেকট্রিক্যাল ব্লু-প্রিন্ট হলো এমন কতকগুলো বক্তব্যের সমষ্টি যা কোন সংস্থাপনের বৈদ্যুতিককরণের সংকেত দ্রুতগতিতে সমাধানের পদ্ধতি বহন করে।

প্রশ্ন-৮। রিলের কাজ কী কী?
উত্তরঃ রিলের কাজগুলো হলো–
এটি ডিভাইস প্রটেকশনে সাহায্য করে।
সার্কিটের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
মোটর ওভার লোড থেকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন-৯। বৈদ্যুতিক বিধি কাকে বলে?
উত্তরঃ ওয়ার্কশপ, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ি, কলকারখানায় ইত্যাদি ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এর কাজে যে সমস্ত নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করে কাজ করা হয় তাকে বৈদ্যুতিক বিধি বলে।

প্রশ্ন-১০। ইলেকট্রিক হ্যান্ড টুলস কাকে বলে?
উত্তরঃ একজন ইলেকট্রিশিয়ান যে সকল টুলস হাত দিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহার করে ইলেকট্রিক্যাল কার্যাবলি সম্পাদন করেন সেগুলোকে ইলেকট্রিক হ্যান্ড টুলস বলে।

প্রশ্ন-১১। তারের কারেন্ট বহন ক্ষমতা বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ কোনো পরিবাহীর মধ্যদিয়ে অনুমোদিত ভোল্টেজ ড্রপ সাপেক্ষে সর্বোচ্চ যত অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হলে পরিবাহীর ইন্সুলেশনের কোনো ক্ষতি সাধিত হয় না তাকে তারের কারেন্ট বহন ক্ষমতা বলে।

প্রশ্ন-১২। আদর্শ সার্কিট কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সার্কিটে বৈদ্যুতিক সরবরাহ, পরিবাহী, সুরক্ষাযন্ত্র, লোড এবং নিয়ন্ত্রণ ডিভাইস এই ৫টি উপাদান বিদ্যমান থাকে তাকে আদর্শ সার্কিট বলে।

প্রশ্ন-১৩। মিউচুয়াল ইন্ডাকশন কাকে বলে?
উত্তরঃ দু’টি পাশাপাশি কুণ্ডলীর মধ্যে যদি একটি কুণ্ডলীর কারেন্টের পরিবর্তনের ফলে অপর কুণ্ডলীতে ভোল্টেজ আবিষ্ট হয় তবে এ প্রক্রিয়াকে মিউচুয়াল ইন্ডাকশন বলে।

প্রশ্ন-১৪। লাক্স মিটার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে আলোর তীব্রতা পরিমাপ করা যায়, তাকে লাক্স মিটার বলে। এর সাহায্যে আলোর প্রখরতা পরীক্ষা করা যায়।

প্রশ্ন-১৬। ‘ডিজিটাল’ এবং ‘এনালগ’ এ দুটি শব্দ দিয়ে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে কি বুঝানো হয়?

উত্তরঃ ‘ডিজিটাল’ এবং ‘এনালগ’ এ দুটি শব্দ দিয়ে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে দুটি সিগন্যালকে বুঝানো হয়। নিম্নে সিগন্যাল দুটির বর্ণনা দেয়া হলো–

এনালগ সিগন্যাল : এটা এমন এক ধরনের সাংকেতিক প্রক্রিয়া যা একটানা চলমান পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ আকারে যেকোনো মাধ্যমে বিচরণে সক্ষম। এটি সাইনোসোডিয়াল হতে পারে আবার ননসাইনোসোডিয়াল হতে পারে এবং এর মান একটি সর্বনিম্ন মান থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ মান পর্যন্ত যেকোন মান হতে পারে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মানের মধ্যবর্তী যেকোনো মানের জন্য বহির্গামীতে একটি সিগন্যাল পাওয়া যায়।

ডিজিটাল সিগন্যাল : এটা এমন এক ধরনের থেমে থেমে যাওয়া সংকেত যা বৈদ্যুতিক সংকেত ‘On’ ও ‘Off’ এর মতো কাজ করে। ডিজিটাল সিগন্যাল কেবল 0 ও 1 নিয়ে কাজ করে অর্থাৎ অন্তর্গামীতে 0 কিংবা 1 এর জন্য বহির্গামীতে একটি সিগন্যাল পাওয়া যাবে।

প্রশ্ন-১৭। বিদ্যুতাঘাত বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ বিদ্যুতাঘাত বলতে বিদ্যুৎ দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে বুঝায়। বিদ্যুতাঘাত-এর মাত্রা তীব্র হলে ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

প্রশ্ন-১৮। আর্থ টেস্টার কাকে বলে?

উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়, তাকে আর্থ টেস্টার বলে। এর সাহায্যে আর্থ রেজিস্ট্যান্স ওহমে পরিমাপ করা যায়।

প্রশ্ন-১৯। জিনার ডায়োডের ব্যবহার লিখ।

উত্তরঃ নিচে বর্ণিত স্থানে জিনার ডায়োড ব্যবহার করা হয়ঃ

(ক) ডিসি ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার এবং রেগুলেশন করার জন্য।

(খ) এসি ভোল্টেজের অ্যামপ্লিচিউড সীমাবদ্ধকরণ করার জন্য।

(গ) অ্যানালগ সার্কিটস।

(ঘ) পাওয়ার সার্কিটস এবং ইনভার্টার সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

(ঙ) রিভার্স ভোল্টেজ কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

(চ) জিনার ডায়োড ক্লিপার্স সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

(ছ) ক্লিপার ক্ল্যাম্পার এবং প্রটেক্টর সার্কিটে জিনার ডায়োড ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-২০। ক্যাপাসিটরের সিরিজ সংযোগ কাকে বলে?

উত্তরঃ যদি কতকগুলো ক্যাপাসিটর একটার পর একটা, প্রথম ক্যাপাসিটরের প্রথম প্রান্ত খোলা রেখে দ্বিতীয় প্রান্ত দ্বিতীয় ক্যাপাসিটরের প্রথম প্রান্তের সাথে এভাবে পরপর সংযোগ করে ক্যাপাসিটরের যে সংযোগ করা হয়, তাকে ক্যাপাসিটরের সিরিজ সংযোগ বলে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x