Modal Ad Example
অন্যান্যপড়াশোনা

ভাষা কি বা কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? বৈশিষ্ট্য ও কাজ

1 min read

সমাজ ও সভ্যতার অনন্য অবদান হচ্ছে ভাষা। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হলেও, সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত ছিল না। নানারকম জীবজন্তুর ভয়ে তারা গাছের ডালে বা পাহাড় পর্বতে বাস করত। তখন তারা বিপদে পড়লে নানারকম অঙ্গভঙ্গি বা ইঙ্গিতের সাহায্যে একে অপরকে প্রকাশ করত কিন্তু এগুলো ভাষা নয়। এর মাধ্যমে মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা যেত না। একারণে শুরু হলো সংকেতের ধ্বনিরূপ। আর এ ধ্বনিই হলো ভাষার মূল উপাদান এ ধ্বনির সাহায্যেই ভাষার সৃষ্টি হয়। চলুুুন তাহলে ভাষা কি বা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য সমূহ, ভাষার কাজ ও বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ভাষা কি বা কাকে বলে?

ভাষা কি কাকে বলে? বাগযন্ত্রের দ্বারা উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনির সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমকে ভাষা বলে। মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলে। অর্থাৎ, বাগযন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই হলো ভাষা।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, মনুষ্য জাতি যে ধ্বনি বা ধ্বনি সকল দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করে, তাকে ভাষা বলে।

ড. সুকুমার সেনের মতে, মনের ভাব প্রকাশ করার নিমিত্ত বিভিন্ন জাতির বা সমাজের সকল সভ্যের বোধগম্য বাক্যসমূহের সমষ্টিকে ভাষা বলে।

ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে ধ্বনির দ্বারা নিষ্পন্ন, কোন বিশেষ জনসমাজে ব্যবহৃত, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থিত তথা বাক্যে প্রযুক্তি শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে।

ড. মুহম্মদ আবদুল হাই এর মতে, এক এক সমাজের সকল মানুষের অর্থবোধক ধ্বনির সমষ্টিই ভাষা।

সুতরাং বলা যায়, বাগযন্ত্রের সাহায্যে (নাক, কন্ঠ, তালু,দাঁত, জিহ্বা ইত্যাদি) উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনি সমষ্টিই হলো ভাষা।

আশা করি ভাষা কি বা কাকে বলে নিয়ে আমরা জেনে গেলাম। এবার আমরা ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলো শিখে ফেলব।

ভাষার বৈশিষ্ট্য সমূহ

মানুষের আগমনের বহুকাল পরে ভাষার সৃষ্টি হয়। আগে মানুষ তাদের মনের ভাব নানারকম অঙ্গভঙ্গি বা ইঙ্গিতের সাহায্যে প্রকাশ করত কিন্তু এগুলো ভাষা নয়। মনের ভাব প্রকাশের জন্য ভাষার কতগুলো বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যেমন –

  • কন্ঠনিঃসৃত ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়।
  • ভাষার অর্থদ্যােতক থাকতে হবে।
  • সব ধরণের ধ্বনিই ভাষা হতে পারে না, যেসব ধ্বনি বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত হয়, শুধু সেগুলোই ভাষার সৃষ্টি করে।
  • সেসব ধ্বনিই ভাষা যা বিশেষ বিশেষ বস্তু বা ভাবের প্রতীক।
  • ভাষা বহুজনবোধ্য।
  • ভাষা একটি বিশেষ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত ও ব্যবহৃত হয়।
  • পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি ও ভাব প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ভাষা কাজ করে।
  • ভাষা তার নিজস্ব ক্ষেত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব।
  • দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে ইত্যাদি।

ভাষার প্রকারভেদ

ভাষার দুটি রূপ দেখা যায়। যথাঃ

  • মৌখিক বা কথ্য ভাষা (এ ভাষার লিখন ব্যবস্থা নেই)
  • লৈখিক বা লেখ্য ভাষা (এ ভাষার লিখন ব্যবস্থা আছে)

মৌখিক রূপেরও একাধিক রীতি রয়েছে। যেমন-

  • চলিত কথ্য রীতি
  • আঞ্চলিক কথ্য রীতি

বাংলা ভাষার লৈখিক বা লেখ্য রূপের ২ টি রীতি আছে। যথাঃ

  • সাধু রীতি / ভাষা
  • চলিত রীতি / ভাষা

সাধু রীতিঃ সাধু পণ্ডিতদের দ্বারা কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত লিখার উপযোগী ভাষাকে সাধু রীতি ভাষা বলা হয়।

চলিত রীতি / ভাষাঃ বর্তমানে সবকিছু (বই, পত্রিকা, পোস্টার ইত্যাদি) যে ভাষায় প্রকাশ হয় তাকে চলিত রীতি বা ভাষা বলে।

সাধু ও চলিত রীতির মাঝে পার্থক্য

সাধু ভাষা / রীতি চলিত ভাষা / রীতি
সাধু পণ্ডিতদের দ্বারা কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত লিখার উপযোগী ভাষাকে সাধু রীতি ভাষা বলা হয়। বর্তমানে সবকিছু (বই, পত্রিকা, পোস্টার ইত্যাদি) যে ভাষায় প্রকাশ হয় তাকে চলিত রীতি বা ভাষা বলে।
এ রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দ বহুল। এ রীতি তদ্ভব শব্দ বহুল।
এ ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং অপরিবর্তনশীল। এ ভাষা সংস্কৃত ব্যাকরণ মেনে চলে না এবং পরিবর্তনশীল।
এ ভাষা নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য অনুপযোগী। নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার জন্য বেশি উপযোগী।
আঞ্চলিক প্রভাব মুক্ত। আঞ্চলিক প্রভাব যুক্ত।
এ রীতির প্রচারক হলো রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ইত্যাদি। চলিত গদ্যের প্রচারক হলো প্রমথ চৌধুরী।
সমাসবহুল শব্দ বেশি। সমাসবহুল শব্দ কম।
এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠনপদ্ধতি মেনে চলে। সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। অনেক বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও এমন ঘটে।
ক্ষুদ্রার্থক শব্দ নারীবাচক হয়। ইত্যাদি। ক্ষুদ্রার্থক শব্দ নারীবাচক হয় না। ইত্যাদি।

সাধু থেকে চলিত রীতিতে পরিবর্তন

সাধু ভাষা চলিত ভাষা
মস্তক মাথা
করিবার করবার / করার
দেখিয়া দেখে
পড়িল পড়লো / পড়ল
জুতা জুতো
সহিত সাথে / সঙ্গে
দেন নাই দেননি
বন্য বুনো
তাঁহারা তাঁরা
উহাকে ওকে

ভাষার কাজ কি?

ভাষার কাজ হলো মনের ভাব প্রকাশ করা। এর সাহায্যে মানুষ তার মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করে। মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগের মধ্যমই হলো এই ভাষা। এতে মানুষে মানুষে সম্পর্ক ও সম্প্রীতির সৃষ্টি হয়। এর মাধ্যমে কারো সুবিধা ও অসুবিধা জানা যায়। এভাবেই ভাষা সমাজ গড়ে তুলে। সমাজ গঠনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভাষা। তাছাড়া সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নতিতেও এর অবদান অপরিসীম। এর সাহায্যে আমরা লেখাপড়া করি, জ্ঞান অর্জন করি, সাহিত্য সৃষ্টি করি। এক কথায় ভাষা ছাড়া চলা অসম্ভব।

বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার

বাংলা ভাষায় যে শব্দসম্ভারের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোকে পণ্ডিতগণ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছেন। যথাঃ

  • তৎসম শব্দ
  • অর্ধ-তৎসম বা ভগ্ন তৎসম শব্দ
  • তদ্ভব বা প্রাকৃত শব্দ
  • দেশি শব্দ
  • বিদেশী শব্দ

তৎসম শব্দ: তৎ অর্থ “তার” আর সম অর্থ “সমান”। অর্থাৎ তৎসম শব্দের অর্থ তার সমান বা সংস্কৃতের সমান। যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন রূপ পরিবর্তন ছাড়াই সরাসরি বাংলা ভাষায় এসেছে তাদেরকে তৎসম শব্দ বলা হয়। যেমন – সিংহ, পুত্র, রাজা, শিশু, মাতা, আকাশ, শিক্ষা ইত্যাদি। ড. মোঃ এনামুল হকের মতে বাংলা ভাষার 25% শব্দ তৎসম।

অর্ধ-তৎসম বা ভগ্ন তৎসম শব্দ: তৎসম মানে সংস্কৃত আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সংস্কৃত। বাংলা ভাষায় কিছু কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ বা সামান্য পরিবর্তিত হয়ে ব্যবহৃত হয় এগুলোকে অর্ধ-তৎসম শব্দ বলে। অর্থাৎ যেসব তৎসম শব্দ বাঙালির মুখে উচ্চারণে বিকৃতির ফলে তৈরি হয়েছে তাদেরকে অর্ধ-তৎসম বলা হয়। যেমন – কেষ্ট, গিন্নি, গেরাম,ছেদ্ধা, কিচ্ছু ইত্যাদি। ড. মোঃ এনামুল হকের মতে বাংলা ভাষার 5% শব্দ অর্ধ-তৎসম।

তদ্ভব বা প্রাকৃত শব্দ: তদ অর্থ (তা) সংস্কৃত, ভব অর্থ জাত অর্থাৎ, তদ্ভব অর্থ সংস্কৃত থেকে জাত। এটি একটি পারিভাষিক শব্দ। যেসব শব্দ সংস্কৃত থেকে প্রাকৃত ভাষার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় এসেছে সে সব শব্দ তদ্ভব শব্দ বলা হয়। একে খাঁটি বাংলা শব্দও বলা হয়। যেমন – হাত, ভাত,বলয়, গাত্র ইত্যাদি।

সংস্কৃত প্রাকৃত বাংলা
হস্ত হুথ হাত
ভর্ত ভত্ত ভাত
গাত্র গাঅ গা

দেশি শব্দ: আমাদের দেশের (বাংলাদেশের) আদিম অধিবাসীদের ব্যবহৃত শব্দসমূহকে দেশি শব্দ বলা হয়। অর্থাৎ, আমাদের দেশে আর্য জাতি আসার আগে যেসব জাতি বাস করত তাদের কিছু কিছু শব্দ এখনো বাংলা ভাষায় রয়েছে এগুলোকে দেশি শব্দ বলে। যেমন – ডাব, কুলা, ছড়ি, খাঁচা, পেট, চাল, লাঠি, তেঁতুল ইত্যাদি।

বিদেশী শব্দ: বিশ্বের অন্যান্য দেশের ভাষা থেকে যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় এসেছে সে সব শব্দকে বিদেশি শব্দ বলে। যেমন –

আরবিঃ জান্নাত, জাহান্নাম, কলম, জিন, জামিন, জামা, নবী, রাসূল ইত্যাদি।

ফারসিঃ সুদ, খরচ, চাকরি, পোশাক, চাদর, খুব ইত্যাদি।

ইংরেজিঃ ব্যাংক, চেয়ারম্যান, স্যার, প্যান্ট, কোর্ট, টিকিট, শার্ট, অফিসার, ভিসা ইত্যাদি।

পর্তুগিজঃ জানালা,আনারস, বালতি, পাউরুটি, সাবান ইত্যাদি।

তুর্কিঃ বাবা, বন্দুক,বিবি, বেগম, দরগা,চাকু,খানম ইত্যাদি।

চীনাঃ চা, চিনি, এলাচি,তুফান ইত্যাদি।

বরমিঃ লুঙ্গি,ফুঙ্গি,কিয়াং ইত্যাদি।

হিন্দিঃ ঠান্ডা, পানি,বাচ্চা, খানাপিনা, ভরসা ইত্যাদি।

মালয়ীঃ গুদাম, সাগু ইত্যাদি।

ইন্দোনেশীয়ঃ বাতাবি বর্তমান ইত্যাদি।

গুজরাটিঃ খদ্দর, হরতাল ইত্যাদি।

রুশঃ সোভিয়েত, মেনশেভিক ইত্যাদি।

পাঞ্জাবিঃ চাহিদা, শিখ ইত্যাদি।

মিশ্র শব্দঃ হাট- বাজার (বাংলা + ফারসি), খ্রিস্টাব্দ (ইংরেজি + তৎসম), রাজা-বাদশা (তৎসম + ফারসি) ইত্যাদি।

পারিভাষিক শব্দঃ অম্লজান – Oxygen, সচিব – Secretary, স্নাতক – Graduate ইত্যাদি।

যা জানা প্রয়োজন

  • দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে।
  • ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি।
  • ধ্বনির সাহায্যে ভাষার সৃষ্টি হয়। আর ধ্বনির সৃষ্টি হয় বাগযন্ত্রের দ্বারা।
  • অর্থবোধক ধ্বনিই হচ্ছে ভাষার প্রাণ।
  • বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ভাষা প্রচলিত আছে।
  • ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা।
  • বাংলাদেশের অধিবাসীদের মাতৃভাষা বাংলা।
  • বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা।
  • ভাষার রূপ ২ টি। সাধু ও চলিত।
  • লৈখিক বা লেখ্য ভাষার রীতি ২ টি। ইত্যাদি।

আশা করি ভাষা কি বা কাকে বলে? ভাষার বৈশিষ্ট্য সমূহ, ভাষার কাজ ও বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিতে পেরেছি। চলুন এবার ভাষা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নোত্তর শিখে নেই। আর্টিকেলটি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।

ভাষা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর:

১. ভাষার ক্ষুদ্রতম একক কি?

  1. বাক্য
  2. শব্দ
  3. ধ্বনি
  4. পদ

উত্তর :ধ্বনি

২. ভাষার মূল ভিত্তি কি?

  1. পদ
  2. ধ্বনি
  3. অর্থ
  4. বাক্য

উত্তর: ধ্বনি

৩. বাংলা ভাষার মৌলিক রূপ কয়টি?

  1. ৫ টি
  2. ৩ টি
  3. ২ টি
  4. ১ টি

উওরঃ ২ টি

৪. সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য কিসে?

  1. বিশেষ্য ও ক্রিয়াপদে
  2. সর্বনাম ও ক্রিয়াপদে
  3. বিশেষণ ও সর্বনাম পদে
  4. বিশেষ্য ও ক্রিয়াপদে

উওরঃ সর্বনাম ও ক্রিয়াপদে

৫. বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন কি?

  1. মঙ্গলকাব্য
  2. মনসামঙ্গল কাব্য
  3. রামায়ন
  4. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।

৬. বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে কোন দশকে?

  1. খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি
  2. খ্রিষ্টিয় নবম শতকের কাছাকাছি
  3. খ্রিষ্টিয় চতুর্থ শতকের কাছাকাছি
  4. খ্রিষ্টিয় অষ্টম শতকের কাছাকাছি

উত্তর: খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি

৭. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উদ্ভবকাল কত?

  1. ৫৫০ খ্রিষ্টাব্দ
  2. ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ
  3. ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ
  4. ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ

উত্তর: ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ

৮. ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভবকাল কত?

  1. ৫৫০ খ্রিষ্টাব্দ
  2. ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দ
  3. ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ
  4. ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দ

উত্তর: ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ

৯. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎস কোন অপভ্রংশ থেকে?

  1. গৌড় প্রাকৃত থেকে
  2. মাগধি প্রাকৃত থেকে
  3. অপভ্রংশ থেকে
  4. গৌড় অপভ্রংশ থেকে

উত্তর: গৌড় অপভ্রংশ থেকে

১০. অনেকেই কোন ভাষাকে বাংলার জননী মনে করত?

  1. প্রাকৃত
  2. সংস্কৃত
  3. গৌড়
  4. তৎসম

উত্তর: সংস্কৃত

১১. ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর কততম বৃহৎ মাতৃভাষা?

  1. প্রথম
  2. তৃতীয়
  3. চতুর্থ
  4. পঞ্চম

উত্তরঃ চতুর্থ

১২. বাংলা ভাষার উদ্ভব ও বিকাশের বিস্তৃত ইতিহাস রচনা করেন কে?

  1. রাজা রামমোহন রায়
  2. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
  3. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
  4. প্রমথ চৌধুরী

উত্তর: ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x