ROM এর পূর্ণরূপ কি? রম কাকে বলে? Rom কত প্রকার ও কি কি?

আপনারা সবাই জানেন যে কম্পিউটার বা অন্য কোন ডিভাইস এ ডাটা সঞ্চয় করতে মেমোরির গুরুত্ব কতটা। কম্পিউটার জগতে দু ধরণের মেমোরি রয়েছে। প্রথমটি হলো Primary Memory আর দ্বিতীয়টি হলো Secondary Memory. প্রাইমারি মেমোরি আবার ২ ধরণের হয়ে থাকে। এগুলো হলো RAM ও ROM. আজকের আর্টিকেলে আমরা Rom সম্পর্কে (ROM এর পূর্ণরূপ কি? রম কাকে বলে? Rom কত প্রকার ও কি? রমের বৈশিষ্ট্য, রমের কাজ কি? Rom কীভাবে কাজ করে ইত্যাদি) বিস্তারিত আলোচনা করব।

ROM এর পূর্ণরূপ কি? (Rom full meaning)

Rom এর পূর্ণরূপ হলো Read only Memory (রিড অনলি মেমোরি)। এটি এক ধরণের নন-ভোলাইটল মেমোরি (Non-Volatile Memory).

ROM এর আরও কিছু পূর্ণরুপ

  • Run-Of-Month
  • Rate of Maxima
  • Resource Optimization Management
  • Reception and Onward Movement
  • Random Order of Magnitude (cost estimate)
  • Received Output Message
  • Reasonable Order of Magnitude
  • Request of Materials
  • Roll-Over Mortgage (finance)

ROM কি? রম কাকে বলে?

Rom এর পূর্ণরূপ হলো Read only memory. এটি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমোরির একটি অংশ। একে নন-ভোলাইটল মেমোরি (Non-Volatile Memory) ও বলা হয়। অর্থাৎ এটি একটি অস্থিতিশীল মেমোরি। যা স্থায়ীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করলেও রমে সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায় না।

ম্যানুফেকচাররার কর্তৃক কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসর ও হার্ডওয়্যারের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলি সম্পাদনের প্রোগ্রাম রমে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা থাকে। সংরক্ষিত তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু লিখা যায় না। তাই একে Rom (Read Only Memory) বলা হয়।

তবে এটা মুছে পুনঃপুনঃ প্রোগ্রাম করা যায় এমন রমও আছে। কম্পিউটার যখন অন করা হয় তখন রমের সংরক্ষিত প্রোগ্রামের সহায়তায় কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত হার্ডওয়্যার বা ডিভাইসসমূহ পরীক্ষা করে দেখে এবং সেগুলোকে কার্যাপোযোগী করে।

Rom এর বৈশিষ্ট্য কী কী?

চলুন তাহলে এবার Rom এর বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে জেনে নেই।

  • ROM একটি নন-ভোলাইটল মেমোরি (Non-Volatile Memory)
  • রম এ সংরক্ষিত তথ্য শুধু পড়া যায় কিন্তু লিখা যায় না।
  • এতে কম্পিউটার অন হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় Instruction সংরক্ষিত থাকে।
  • রম এর দাম তুলনামূলকভাবে কম।
  • Rom আকারে ছোট হয়ে থাকে।
  • এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী মেমোরি।

Rom কত প্রকার ও কি কি? রম এর প্রকারভেদ

বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে রম বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যথা-

  • এমরম (MROM)
  • পিরম (PROM)
  • ইপ্ররম(EPROM)
  • ইইপ্রম (EEPROM)
  • ইএপ্রম (EAPROM)

এমরম (MROM)

MROM এর পূর্ণরূপ হলো MasK Read Only Memory. এটি আইসি আকারের। এ ধরণের রম ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরি। ফটোগ্রাফিক মাস্ক ব্যবহার করে প্রোগ্রামের মাধ্যমে এতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে যা পরিবর্তন করা যায় না। এ ধরণের Rom এ একবার প্রোগ্রাম করা হলে পুনঃ প্রোগ্রাম করা যায় না।

পিরম (PROM)

PROM এর পূর্ণরূপ হলো Programmable Read Only Memory. সাধারণত বাজারে যে সব প্রোগ্রাম করা রম পাওয়া যায় তাতে ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী সব কাজ হয় না। এসব ক্ষেত্রে PROM ব্যবহার করা হয়।

প্রমে নতুন অবস্থায় কোন প্রোগ্রাম সংরক্ষিত থাকে না। ব্যবহারকারী প্রোগ্রামকে মাইক্রো প্রোগ্রামে রূপান্তরিত করে নিজেই পিরমে ডাটা সংরক্ষিত করতে পারেন। তবে পিরম কে একবার প্রোগ্রাম করা হলে পুনঃ প্রোগ্রাম করার কোন সুযোগ থাকে না।

ইপ্রম(EPROM)

EPROM এর পূর্ণরূপ হলো Eraseable Programmable Read Only Memory. রম বা প্রমে একবার ডাটা সংরক্ষণ করা হলে আর পরিবর্তন করা যায় না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য একটি বিশেষ ধরণের রম তৈরি করা হয়েছে, যাকে EPROM বলা হয়।

এ রমে সংরক্ষিত ডাটাকে মুছে আবার নতুন করে বিশেষ প্রোগ্রামের সাহায্যে প্রোগ্রাম করা যায়। এর সংরক্ষিত ডাটা মুছে ফেলার জন্য একে আল্ট্রাভায়োলেটের অতি বেগুনি রশ্মিতে কিছুক্ষণ রাখতে হয়। তাহলে সংরক্ষিত ডাটা মুছে যায়। সাধারণত ফেট (FET – Field Effect Transistor) ব্যবহার করে এ ধরণের রম তৈরি করা হয়।

ইইপ্রম (EEPROM)

EEPROM এর পূর্ণরূপ হলো – Electrically Erasable PROM. ইপ্রমের প্রধান অসুবিধা হলো এতে সংরক্ষিত ডাটা মুছতে প্রায় আধ ঘন্টা সময় লাগে এবং আংশিকভাবে কোন ডাটা মুছা যায় না। তাই এ অসুবিধা দূর করতে ইইপ্রম তৈরি করা হয়েছে।

এ ধরণের রমের আংশিক বা সম্পূর্ণ ডাটা মুছা যায়। তবে ডাটা মুছতে ইইপ্রমকে সার্কিট থেকে খুলতে হয় না। প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ প্রবাহ চালিয়ে ডাটা মুছা যায়। এবং প্রয়োজনে নতুন ডাটা সংযোজন করা যায়। ডাটা মুছতে অনেক কম সময় লাগে।

ইএপ্রম (EAPROM)

EAPROM এর পূর্ণরূপ হলো Electrically Alterable PROM. এ ধরণের রমে ডাটা মুছে নতুনভাবে ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। তবে সংরক্ষিত ডাটা মুছার জন্য অনেকক্ষণ ধরে অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে রাখতে হয় এবং সংশ্লিষ্ট আইসিকে সার্কিট থেকে বের করে আনতে হয়। ফলে কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।

Rom কীভাবে কাজ করে?

রম একটি পার্মানেন্ট স্টোরেজ ডিভাইস। এতে সফটওয়্যার, ডকুমেন্ট, ফাইল, অ্যাপ, অডিও ভিডিও ইত্যাদি সেইভ রাখা যায়। কম্পিউটারের কোন অ্যাপ চালানোর জন্য কম্পিউটার সিস্টেম রম থেকে ওই অ্যাপের ডাটা এক্সেস করে, তারপর রমের সাহায্যে অ্যাপগুলো কাজ শুরু করে।

আমরা যখন অ্যাপটি চালানো অফ করে দেই তখন সেই অ্যাপের ডেটাগুলো রম এ চলে যায় আর Ram থেকে ডাটা মুছে যায়। এভাবেই রম কাজ করে।

রম এর কাজ কি?

  • ROM এর প্রধান কাজ হল অনেক সময়ের জন্য তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা। কম্পিউটার বন্ধ হলে Rom এর কোন ডাটা ডিলিট হয়ে যায় না।
  • রম ডাটা পরিবর্তনের অনুমতি দেয় না। এজন্য র‍্যামের তুলনায় রম অনেক বেশি সিকিউর।
  • আপনি যে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করতে চান সেখান থেকে রম ডাটা এক্সেস করে এবং র‍্যামের মাধ্যমে তা রান করে।

এগুলো ছাড়াও রমের আরও অনেক কাজ রয়েছে।

আশা করি আপনারা  ROM এর পূর্ণরূপ কি? রম কাকে বলে? Rom কত প্রকার ও কি? রম এর কাজ কি? ইত্যাদি বিষয় কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। এ ধরণের আরও আর্টিকেল পড়তে চায়লে নিচের পোস্টগুলো দেখতে পারেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *