পড়াশোনা
0 min read

চিহ্নের প্রথা (Convention of Sign in Bangla)

লক্ষ্যবস্তুর বিভিন্ন অবস্থানের জন্য গোলীয় দর্পণে সৃষ্ট প্রতিবিম্বের অবস্থানও বিভিন্ন হয়। লক্ষ্যবস্তুর কোনো অবস্থানের জন্য লক্ষ্যবস্তু ও প্রতিবিম্ব দর্পণের একই পাশে, আবার কোনো অবস্থানের জন্য বিপরীত পাশে অবস্থান করে। কখনো বাস্তব আবার কখনো অবাস্তব প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। গোলীয় তল ও লেন্সে আলোর প্রতিসরণের জন্যও বাস্তব ও অবাস্তব উভয় প্রকার প্রতিবিম্ব গঠিত হয়। লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব, প্রতিবিম্বের দূরত্ব ও ফোকাস দূরত্বের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করতে হলে এদের চিহ্ন (ধনাত্মক না ঋণাত্মক) ঠিক করে নিতে হয়। বাস্তব ধনাত্মক প্রথা অনুসারে–

ক. সব দূরত্ব গোলীয় প্রতিফলক বা প্রতিসারক তলের মেরু অথবা লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে পরিমাপ করতে হবে।

খ. সব বাস্তব দূরত্ব ধনাত্মক।(আলোকরশ্মি প্রকৃত পক্ষে যে দূরত্ব অতিক্রম করে সেই দূরত্ব বাস্তব)।

গ. সব অবাস্তব দূরত্ব ঋণাত্মক। (আলোকরশ্মি প্রকৃত পক্ষে যে দূরত্ব অতিক্রম করে না, অতিক্রম করেছে বলে মনে হয়, সেই দূরত্ব অবাস্তব)।

এ প্রথা অনুসারে বাস্তব লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব, বাস্তব প্রতিবিম্বের দূরত্ব ও বাস্তব ফোকাস দূরত্ব ধনাত্মক এবং অবাস্তব লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব, অবাস্তব প্রতিবিম্বের দূরত্ব ও অবাস্তব ফোকাস দূরত্ব ঋণাত্মক। অবতল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব বাস্তব বলে ধনাত্মক এবং উত্তল দর্পণের ফোকাস দূরত্ব অবাস্তব বলে ঋণাত্মক। এছাড়া প্রতিফলন বা প্রতিসরণের পর আলো যে দিকে গমন করে সে দিকের বক্রতার ব্যাসার্ধকে ধনাত্মক এবং তার উল্টো দিকের বক্রতার ব্যাসার্ধকে ঋণাত্মক ধরা হয়।

Rate this post