ট্রানজিস্টর (Transistor) কাকে বলে? ট্রানজিস্টর কত প্রকার ও কি কি?
ট্রানজিস্টর এর প্রকারভেদ (Types of Transistor)
গঠন ও প্রকৃতি অনুসারে জাংশন ট্রানজিস্টর দুই প্রকারঃ
(১) p-n-p ট্রানজিস্টর : দুটি p টাইপ অর্ধপরিবাহীর মাঝে n টাইপ অর্ধপরিবাহী বসিয়ে p-n-p ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়।
(২) n-p-n ট্রানজিস্টর : দুটি n টাইপ অর্ধপরিবাহীর মাঝে p টাইপ অর্ধপরিবাহী বসিয়ে n-p-n ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয়।
ট্রানজিস্টর ব্যবহারের সুবিধা কি? (What is the advantage of using transistor?)
ট্রানজিস্টর ব্যবহারের সুবিধা হচ্ছে :
- কোনো হিটার বা ফিলামেন্টের প্রয়োজন হয় না।
- আকৃতি ছোট এবং ওজনে হালকা।
- খুব কম অপারেটিং ভোল্টেজ ব্যবহৃত হয়।
- শক্তি খরচ খুব কম।
- কর্মদক্ষতা বেশি।
- দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।
বাইপোলার ট্রানজিস্টর ও ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর কি?
বাইপোলার ট্রানজিস্টর : সাধারণ ট্রানজিস্টরে হোল ও ইলেকট্রন উভয়েই বিদ্যুৎ পরিবহনে অংশ নেয়। এজন্য এদেরকে বাইপোলার ট্রানজিস্টর বা BJT বলে।
ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর : ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টর তিন টার্মিনাল বা প্রান্তবিশিষ্ট এক ধরনের সলিডস্টেট ডিভাইস। এ ডিভাইসের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এক্ষেত্রে কারেন্ট শুধু ‘সংখ্যাগুরু’ (majority input output) বাহক দ্বারা পরিচালিত হয় বলে একে ইউনিপোলার ডিভাইস ও বলা হয়।
ট্রানজিস্টরের বেস বা ভূমি কাকে বলে?
ট্রানজিস্টরের এমিটার ও কালেক্টরের মাঝের অংশটিকে বেস বা ভূমি বলে। এটি এমিটার ও কালেক্টর এর সাথে দুটি p-n জাংশন গঠন করে। বেস খুবই পাতলা এবং এটিকে অল্প পরিমাণে ডোপিং করা হয়। ট্রানজিস্টরের এমিটার এবং কালেক্টর উভয়কেই বেস অপেক্ষা বেশি ডোপিং করা হয় এবং উভয়েরই পুরুত্ব বেশি হয়।
ট্রানজিস্টরের বেস অংশ পাতলা হয় কেন?
ট্রানজিস্টর তৈরি করা হয় বৈদ্যুতিক সংকেত বিবর্ধন করার উদ্দেশ্যে। ট্রানজিস্টরের সক্রিয় অঞ্চল হলো ভূমি/পীঠ। পীঠ যত পাতলা হবে, নিঃসারক সংগ্রাহক তড়িৎক্ষেত্র তত বেশি শক্তিশালী হবে। এর ফলে পীঠ অঞ্চলে অল্প প্রবাহ প্রবেশ করালেই তার বিশাল প্রভাব বর্তনীতে পড়বে। অর্থাৎ প্রবাহ লাভের (B) মান অত্যাধিক হবে। এ কারণেই ট্রানজিস্টরের বেস অংশ পাতলা করা হয়।