হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের নীতির সমন্বয়ে গঠিত। একে সংকর কম্পিউটারও বলা হয়। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। এ ধরনের কম্পিউটার তৈরি করা জটিল ও ব্যয়বহুল বলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
হাইব্রিড কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য
১. অ্যানালগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বয়ে মিশ্র প্রযুক্তিতে তৈরি।
২. ইনপুট অ্যানালগ প্রকৃতির এবং আউটপুট ডিজিটাল পদ্ধতির।
৩. বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হয়।
৪. গঠন জটিল প্রকৃতির।
৫. তুলনামূলকভাবে দাম বেশি।
হাইব্রিড কম্পিউটারের ব্যবহার : বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি বিষয়ের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন সমস্যাগুলো এ কম্পিউটারের মাধ্যমে খুব সহজে ও দ্রুতগতিতে সমাধান করা যায়। পরীক্ষাগারে ওষুধের মান নির্ণয়ে, প্রাণী নিয়ে গবেষণায়, পরমাণুর গঠনপ্রকৃতি জানার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের গুণাগুণ নির্ণয়ের কাজে এবং দূরপাল্লার আকাশযান চালকের প্রশিক্ষণের কাজে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। হাইব্রিড কম্পিউটারের অনেক দাম বলে এটি শুধু বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারেও এ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে অ্যানালগ অংশ রোগীর রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া, শরীরের তাপমাত্রা ইত্যাদি উপাত্ত গ্রহণ করে এবং ডিজিটাল অংশে ব্যবহার করার জন্য যথাযোগ্য সংখ্যা ও সংকেতে রুপান্তর করে তা ডিজিটাল অংশে প্রেরণ করে। ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে রোগীর অবস্থা প্রকাশ করে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “হাইব্রিড কম্পিউটার কি? ” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।