Rh ফ্যাক্টর হচ্ছে এক ধরনের এন্টিজেন যা রক্তের লোহিত কণিকায় পাওয়া যায়। এটি অধিকাংশ মানুষের রক্তে থাকে। পিতা মাতার রক্তে Rh ফ্যাক্টর থাকলে সন্তানের রক্তেও Rh ফ্যাক্টর থাকে। Rh ফ্যাক্টর যুক্ত রক্তকে +Ve এবং Rh ফ্যাক্টর না থাকলে -Ve গ্রুপের রক্ত বলা হয়।
১৯৪০ সালে কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার এবং উইনার (Karl Landsteiner and Wiener) রেসাস বানরের (Macaca mulatta) রক্ত খরগােসের শরীরে প্রবেশ করিয়ে খরগােসের রক্তরসে এক ধরনের অ্যান্টিবডি উৎপাদনে সক্ষম হন। এ অ্যান্টিবডি অধিকাংশ শ্বেতকায় ব্যক্তির লােহিত কণিকাকে পিন্ডে পরিণত করতে সক্ষম। এ ফলাফল থেকে বিজ্ঞানী দুজন ধারণা করেন যে, মানুষের লােহিত কণিকার ঝিল্লিতে রেসাস বানরের লােহিত কণিকার ঝিল্লির মতাে এক প্রকার অ্যান্টিজেন রয়েছে। রেসাস বানরের নাম অনুসারে ঐ অ্যান্টিজেনকে রেসাস ফ্যাক্টর (Rhesus factor) বা সংক্ষেপে Rh factor বলে।
Rh ফ্যাক্টর কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রোগীর দেহে রক্ত দেয়ার ক্ষেত্রে Rh ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ। যদি পিতা মাতার একজন Rh (+) Ve হয় এবং অপরজন Rh (-) Ve হয় তবে বাচ্চা Rh (+) Ve হতে পারে যা মাতৃদেহে সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই বাচ্চা নেয়ার আগে পিতা-মাতার Rh ফ্যাক্টর পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাচ্চা Rh (+) হলে মাকে অতিদ্রুত এন্ট্রি Rh (+) ইনজেকশন দিতে হবে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “রক্তের আরএইচ (Rh) ফ্যাক্টর কি?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।