Milk of lime বলতে কি বুঝায়? ট্যানিং-এ Milk of lime কেন গুরুত্বপূর্ণ? মিল্ক অফ লাইম কি
উত্তরঃ Milk of lime বলতে মূলত সোডিয়াম সালফাইড, সায়ানাইড, স্যামিন ইত্যাদি যুক্ত চুনের পানিকে [Ca(OH)2)] বুঝায়। ট্যানিং প্রক্রিয়ায় ‘সোকিং’ ধাপ এর পর লাইমিং করা আবশ্যক। লাইমিং ধাপে, milk of lime মূলত নিম্নলিখিত কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ–
- এটি চামড়ার পশম, নখ ও ক্যারাটাইনাস জাতীয় পদার্থ দূরীভূত করে।
- কিছু দ্রবীভূত প্রোটিন, যেমন– মিউসিনকে বিমুক্ত করে।
- চামড়ার আঁশ বা ফাইবারকে ভালোভাবে আলাদা করে মসৃণতর করে।
- গ্রিজ জাতীয় পদার্থ ও ফ্যাটকে কিছু পরিমাণ নির্গত করে।
- কোলাজেন তৈরির মাধ্যমে ট্যানিং কার্যকরী করে।
লাইম ওয়াটার ও মিল্ক অফ লাইম কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়?
লাইম ওয়াটার বা মিল্ক অফ লাইম ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড Ca(OH)2 এর জলীয় দ্রবনের সাধারণ নাম। এটি ক্ষারীয় প্রকৃতির যার PH -12.4।
Ca(OH)2 এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে যেমনঃ
Co2 শনাক্তকরণ বিক্রিয়াঃ
একটি টেস্টটিউবে Ca(OH)2 নিয়ে তার মাঝে একটি গ্যাস X প্রবেশ করাই। যদি বিকারে সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পড়ে তাহলে X গ্যাসটিকে CO2 হিসেবে শনাক্ত করা যাবে। এখানে সংগঠিত বিক্রিয়াঃ
CO2+Ca(OH)2⇨CaCO3+H2O
শিল্পকারখানায় ব্যবহারঃ
শিল্পকারখানার নির্গত ধোয়ার একটি উপাদান SO2। SO2 বিশুদ্ধকরণে Ca(OH)2 ব্যবহার করা হয়।এ প্রক্রিয়া Sulfation নামে পরিচিত। বিক্রিয়াটি হলো:
Ca(OH)2+SO2⇨CaSO3+H2O
খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহারঃ
Corn Tortila তৈরি করার জন্য Ca(OH)2 এর ব্যবহার রয়েছে।এ ক্ষেত্রে আগে Nixtamalization নামক প্রক্রিয়ার মদ্ধ্যে দিয়ে Ca(OH)2 কে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
এছাড়াও জলের ঘনত্ব কমাতে ও প্রসাধনী শিল্পে লাইম ওয়াটার এর ব্যবহার রয়েছে
রসায়ন (Chemistry) বিষয়ের আরও প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। পর্যায় সূত্রটি লিখ।
উত্তরঃ মৌলসমুহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলী তাদের পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
প্রশ্ন-২। কঠিন জ্বালানী অপেক্ষা তরল জ্বালানী ব্যবহারের সুবিধা লিখ।
উত্তরঃ কঠিন জ্বালানী অপেক্ষা তরল জ্বালানী ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
১) তরল জ্বালানীর তাপন মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি।
২) তরল জ্বালানীর দহনের সময় কোন ছাই গঠন করে না।
৩) এর প্রজ্জ্বলন ও নির্বাপণ অনেক সহজ এবং দহন অনেক দ্রুত গতি সম্পন্ন।
৪) জ্বালানীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে প্রজ্জ্বলিত শিখাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৫) পাইপের মাধ্যমে এর পরিবহন অনেক সহজ।
৬) এটি ব্যবহারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সহজ।
৭) তরল জ্বালানীর দহনের জন্য অনেক কম পরিমাণ বাতাস প্রয়োজন।
৮) এটি ব্যবহারে শ্রমিক খরচ অনেক কম হয়।
প্রশ্ন-৩। পরমাণু ও ন্যানো পার্টিকেলের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ পরমাণু ও ন্যানো পার্টিকেলের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ
১. পরমাণু মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণিকা অপরদিকে ন্যানো পার্টিকেল শূন্যমাত্রিক অনিয়তাকার বা অর্ধস্ফটিক আকারের পদার্থ।
২. পরমাণু আকার নির্ভর নয় অপরদিকে ন্যানোপার্টিক্যাল আকার নির্ভর (1 থেকে 100 nm এর মধ্যে)।
৩. পরমাণু নিষ্ক্রিয় হতে পারে কিন্তু ন্যানো কণার সক্রিয়তা সাধারণ পদার্থের তুলনায় অনেক বেশি।
প্রশ্ন-৪। কঠিন চুনাপাথরের বিয়োজন ঘটে কত তাপমাত্রায়?
উত্তরঃ 800°C।
প্রশ্ন-৫। কয়লা ব্যবহারের প্রধান সমস্যা কি?
উত্তরঃ কয়লা ব্যবহারের প্রধান সমস্যা হলো এতে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা অত্যাধিক বেশি ঘটে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করলে অসম্পূর্ণ দহনের ফলে প্রচুর বর্জ্য উৎপাদন হয়।
প্রশ্ন-৬। ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও জিঙ্ককে গরম পানিতে ডুবালে শুধু ম্যাগনেসিয়াম বিক্রিয়া দেয় কেন?
উত্তরঃ ম্যাগনেসিয়াম সক্রিয়তা সারণির উপরের দিকের মৌল। এর বিজারণ বিভবের মান অধিক ঋণাত্মক অর্থাৎ এটি সহজেই জারিত হয়ে যায়। কিন্তু কপারের অবস্থান H2 – এর নিচে এবং বিজারণ বিভব ধনাত্মক। অন্যদিকে জিঙ্কের জারণ বিভবের মান তুলনামূলকভাবে কম। তাই কপার এবং জিঙ্ক পানির H+ আয়নকে বিজারিত করে H2 গ্যাসে পরিণত করতে পারে না। কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম H+ আয়নকে বিজারিত করে। তাই শুধুমাত্র ম্যাগনেসিয়ামই গরম পানির সাথে বিক্রিয়া করে।
প্রশ্ন-৭। কৃষি জমিতে ছাই ও নাইট্রেট-ফসফেট সার ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ কৃষি জমিতে ছাই ও নাইট্রেট-ফসফেট সার ব্যবহার করা হয়। কারণ, নাইট্রেট সার সহজেই পানিতে দ্রবীভূত হয়ে মাটিতে মিশে থাকে এবং উদ্ভিদ মূল দ্বারা এসব নাইট্রেট লবণ শোষণ করে থাকে। নাইট্রোজেন সার উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য এবং ফসফরাস সার ফসলের মূল বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ছাই কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এ কারণে কৃষি জমিতে ছাই ও নাইট্রেট-ফসফেট সার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৮। ম্যাগমা কী?
উত্তরঃ ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত ও গলিত শিলাই হলো ম্যাগমা।
প্রশ্ন-৯। অম্ল-ক্ষারক নির্দেশিক কি?
উত্তরঃ অম্ল-ক্ষারক টাইট্রেশনের সময় তুল্যতা বিন্দু নির্ণয়ের জন্য কিছু কিছু যৌগ ব্যবহৃত হয় যারা নিজেদের বর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রশমনের শেষ বিন্দু নির্দেশ করে। এসব যৌগকে প্রশমন বা অম্ল-ক্ষারক নির্দেশিক বলা হয়। যেমন- লিটমাস, ফেনলফথ্যালিন, মিথাইল অরেঞ্জ ইত্যাদি অম্ল ক্ষারক নির্দেশক।
প্রশ্ন-১০। ক্লোরিন একটি জারক পদার্থ কেন?
উত্তরঃ যেসব পদার্থ অন্য পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক পদার্থ বলে।
ক্লোরিন একটি জারক পদার্থ কারণ ইহা মারকিউরাস ক্লোরাইডকে জারিত করে মারকিউরিক ক্লোরাইডে পরিণত করে।
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “Milk of lime বলতে কি বুঝায়? ট্যানিং-এ Milk of lime কেন গুরুত্বপূর্ণ?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।