Modal Ad Example
Blog

গাড়ির নাম্বার প্লেটে (ক,গ,ভ,ঘ) বর্ণমালা দ্বারা কি বোঝায়?

1 min read

গাড়ির নাম্বার প্লেটের মধ্যে (ক,গ,ভ,ঘ)এইরকম বর্ণমালা দ্বারা কি বোঝায় জানেন কী?

প্রতিটি গাড়ির নাম্বার প্লেট অনেকটা একইরকম দেখতে হলেও সেগুলোর নাম্বার কিন্তু আলাদা। সাদা এবং সবুজ এই দুইরঙের নাম্বার প্লেট আছে। সাদা রঙের নাম্বারপ্লেট ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহার হয় এবং সবুজ রঙ ভাড়ায় চালিত যানবাহনে ব্যবহার হয়। যেমন- ঢাকা মেট্রো- গ ৪৫-৭৬৫৯, ঢাকা মেট্রো- খ ৩১-২৫০২ ইত্যাদি। এখানে- ঢাকা মেট্রো বলতে বোঝানো হয়েছে, গাড়িটি ঢাকা মেট্রোপলিটনের আওতাধীন। পরবর্তী ‘৪৫’ হচ্ছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং ‘৭৬৫৯’ হচ্ছে গাড়ির সিরিয়াল নাম্বার।

নাম্বার প্লেট লেখার ফরম্যাট:
ক্যাটাগরি অনুসারে গাড়ির নাম্বার নির্ধারণ করার জন্য বিআরটিএ (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি) কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট রয়েছে। ফরম্যাটটি হল-
শহরের নাম, গাড়ির ক্যাটাগরি এবং গাড়ির নাম্বার।
এই ফরম্যাটের মাঝের অংশে গাড়ির ক্যাটাগরি বুঝাতেই বাংলা বর্ণগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বিআরটিএ যখন কোন গাড়িকে অনুমোদন দিয়ে থাকে, তখন গাড়ির ধরণ অনুসারে গাড়িকে একটি নির্ধারিত ক্যাটাগরিতে স্থান দেয়া হয়ে থাকে। কোন গাড়ি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ছে, সেই ক্যাটাগরি অনুসারে গাড়ির জন্য একটি বর্ণ নির্ধারণ করা হয়। নাম্বারপ্লেট প্রদানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র নিয়ম অনুসারে মোট ১৯টি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি ক্যাটাগরি হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়ি, বাকি ১৮টি ক্যাটাগরিই জনসাধারণের গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

গাড়ির ১৯টি ক্যাটাগরি নিম্নরুপ-

ক –
প্রাইভেটকার, ৮০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ‘ক’ বর্ণমালা ব্যবহার হয়ে থাকে

খ –
প্রাইভেটকার, ১০০০-১৩০০ সিসি’র প্রাইভেট কারের নাম্বারপ্লেটে ‘খ’ বর্ণমালা থাকে।

গ –
প্রাইভেটকার, ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি’র আগপর্যন্ত ইঞ্জিন সাইজের গাড়ির জন্য নির্ধারণ বর্ণ হলো ‘গ’।

ঘ –
এসইউভি, ক্রসওভার এইধরনের গাড়িতে ‘ঘ’ বর্ণ ব্যবহার হয়।

চ –
ব্যক্তিগত এমপিভি, ভ্যান, অর্থাৎ সহজ বাংলা ভাষায় মাইক্রোবাসের নাম্বার প্লেটে ব্যবহার করা হয় ব্যঞ্জবর্ণ ‘চ’।

ছ –
ভাড়ায় চালিত ভ্যান অথবা মাইক্রোবাস যেগুলো, সেগুলোর নাম্বার প্লেটে থাকে ‘ছ’ বর্ণ এবং নাম্বার প্লেট সবুজ রঙের হয়ে থাকে। টেম্পো/লেগুনার জন্যও এই বর্ণটি নির্ধারিত।

জ –
ছোটসাইজের বাস অথবা মিনিবাসের ক্যাটাগরি বুঝানোর জন্য নাম্বার প্লেটে বাংলা বর্ণমালার ৮ নাম্বার বর্ণ ‘জ’ ব্যবহার হয়।

ঝ –
বড় বাস বা কোস্টার বাসের নাম্বার প্লেটে থাকে ‘ঝ’ বর্ণটি।

ট –
‘ট’ দিকে ট্রাক হয়। আবার ট্রাক এর রেজিষ্ট্রেশন ও ‘ট’ বর্ণ দিয়েই হয়।

ঠ –
‘ঠ’ কমার্সিয়াল ডাবল কেবিন পিকআপ ট্রাক এর নাম্বার প্লেট এর শুরুর বর্ণ

ড-
মাঝারি সাইজের ট্রাকে ব্যবহৃত হয় ‘ড’ বর্ণটি।

ন –
ছোট পিকআপ ক্যাটাগরির জন্য নির্ধারণ বর্ণ হলো ‘ন’।

প –
‘প’ হলো ট্যাক্সি ক্যাবের জন্য নির্ধারিত ক্যাটাগরি।

ভ –
২০০০ সিসি অধিক সাইজের ইঞ্জিনযুক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি বুঝাতে গাড়ির নাম্বার প্লেটে ‘ভ’ বর্ণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ম –
পণ্য পরিবহন এবং ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত পিক-আপ গাড়িতে বাংলা বর্ণমালার ‘ম’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

দ –
প্রাইভেট বা নিজস্ব পরিবহন সিএনজি এর নাম্বার প্লেটে শহরের নামের পর ‘দ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হয়।

থ –
ভাড়ায় চলিত সিএনজির ক্ষেত্রে ‘থ’ বর্ণ ব্যবহার হয়।

হ –
‘হ’ বর্ণটি মোটরবাইকের জন্য প্রযোজ্য। ৮০ – ১২৫ সিসি’র মোটরবাইক নাম্বারপ্লেট ‘হ’ বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।

ল –
১৩৫ সিসির অধিক ইঞ্জিন যুক্ত মোটরবাইকের নাম্বারপ্লেট এ ‘ল’ বর্ণ থাকে।

ই –
সাধারণত গ্রামেগঞ্জে চলাচল করে, ভটভটি টাইপের ছোট সাইজের ট্রাকের নাম্বারপ্লেট ‘ই’ বর্ণের হয়ে থাকে।

য-
‘য’ বর্ণ শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গাড়িতে ব্যবহার হয়। কার্যালয়ের গাড়িগুলো আলাদা করে চিহ্নিত করতে নাম্বার প্লেটে ‘য’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে

5/5 - (18 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x