কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে মানব মনের কোনো ভাব, সংবাদ, তথ্য, আবেদন ইত্যাদি অপরের কাছে লিখিতভাবে জানানো হলে, তাকে সাধারণভাবে পত্র বা চিঠি বলে।
পত্র মানুষের মনের ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম। সরাসরি যখন মনের ভাব প্রকাশ করা যায় না, তখন প্রয়োজন হয় পত্রের। পত্রের মাধ্যমে মনের ভাব লেখ্যরূপে অন্যের কাছে প্রেরণ করা হয়। মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের সঙ্গে তার সামাজিক, জাতীয়, রাজনৈতিক ও জাগতিক জীবনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। বর্তমান জগতে বিভিন্ন ব্যক্তির মধ্যে সর্বদা ভাব ও সংবাদাদির বিনিময় একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়ায় দিনে দিনে পত্রালাপের আবশ্যকতাও অধিকতর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং ব্যবহারিক জীবনে পত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
পত্রের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Epistle)
পত্র সাধারণত দু’প্রকার। যথা:–
১। ব্যক্তিগত পত্র ও
২। ব্যবহারিক পত্র
১। ব্যক্তিগত পত্র : আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা পারিবারিক কোনো সদস্যের কাছে যেসব চিঠি লেখা হয়, সেগুলোই ব্যক্তিগত পত্র।
২। ব্যবহারিক পত্র : আবেদন-নিবেদন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, পরিচয়-অভিনন্দন, শোক প্রকাশ, নিমন্ত্রণ ইত্যাদিতে যেসব পত্র লেখা হয়, সেগুলো ব্যবহারিক বা বৈষয়িক পত্র।
ব্যক্তিগত চিঠি বা পত্র ইচ্ছে মত ছোট বা বড় পরিসরে লেখা যায়। কিন্তু ব্যবহারিক পত্রে প্রয়োজনাতিরিক্ত একটি কথাও লেখা যাবে না।
একটি আদর্শ পত্রের কয়টি অংশ থাকে ও কি কি?
একটি আদর্শ পত্রের ছয়টি অংশ থাকে। যেমন–
১. শিরোনাম বা পত্র লেখকের ঠিকানা ও তারিখ।
২. সম্ভাষণ।
৩. মূল বক্তব্য।
৪. বিদায় সম্ভাষণ।
৫. পত্র প্রেরকের স্বাক্ষর।
৬. পত্র প্রাপকের ঠিকানা।
শিরোনাম : এটি খামের ওপরে লিখতে হয়। এ অংশে পত্র-প্রাপকের নাম ঠিকানা স্পষ্ট করে লিখতে হয়। ঠিকানা পূর্ণ ও স্পষ্ট না হলে চিঠিপত্র ‘ডেড লেটার’ বলে চিহ্নিত হয়।
মূল বক্তব্য : চিঠির মূল অংশ অর্থাৎ পত্রের যে অংশে বক্তব্য লেখা হয়, তাকে মূল বক্তব্য বলে।
শেষ কথা:
আশা করি আপনাদের এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয়েছে। আমি সর্বদা চেষ্টা করি যেন আপনারা সঠিক তথ্যটি খুজে পান। যদি আপনাদের এই “পত্র বা চিঠি কাকে বলে?” আর্টিকেল পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ৫ স্টার রেটিং দিবেন।