করোনাভাইরাসের কারণে ভয় বাড়ছেই। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন সময় নিজেকে সুস্থ রাখার বিকল্প নেই। সেজন্য মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। সুস্থ থাকতে হলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর সব খাবার। পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন একটি বিশেষ পানীয়। এর পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে দিনে দিনে। বাড়বে জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা।
পানীয়টি তৈরি করার জন্য সারারাত ভিজিয়ে রাখা ১০টি আমন্ড(কাঠ বাদাম) ও ৫টি খেজুরের সঙ্গে মেশান আধ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চিমটি এলাচ গুঁড়া, এক চা চামচ ঘি ও এককাপ দুধ। ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে এক চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, চেহারা উজ্জ্বল হবে, তার পাশাপাশি হবে আরও অনেক উপকার।
* আমন্ডে আছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি২ এবং ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ফসফরাসের মতো উপকারী খনিজ। নিয়মিত খেলে কোষের ক্ষতির হার কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ও কোলেস্টেরল, হৃদরোগ, মেদবাহুল্য, মানসিক উদ্বেগ-অবসাদ ইত্যাদির মতো ক্রণিক অসুখের প্রবণতা কমে।
* খেজুরে আছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন ও আরও নানা রকম খনিজ। আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা কোষের ক্ষতির হার কমিয়ে কমায় সব ধরনের ক্রনিক অসুখের প্রবণতা। মস্তিস্ক সজাগ রাখে। ভাল থাকে হাড়ও।
* হলুদ জীবাণুনাশক। প্রদাহের প্রবণতা কম রাখে। এলাচও তাই। সঙ্গে আছে শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তা করার গুণ।
* ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ডি ও ই হলো ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। অর্থাৎ শরীরে কিছুটা ফ্যাটের জোগান না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর এই দুই কারিগর ঢুকতেই পারে না শরীরে। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিকঠাক রাখতেও দিনে ছোট এক চামচ ঘি-এর বিরাট অবদান আছে। সে জন্য চিকিৎসকরা হৃদরোগীদেরও অল্প ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন। মাত্রা রেখে খেলে ওজনও কমে।
* মধু শরীরে শক্তি জোগায়। সকালে যা একান্ত প্রয়োজন। তার উপর চিনির অপকার নেই এতে। মাত্রা রেখে খেলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের জন্য খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
