রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৬)

প্রশ্ন-১. পােলার যৌগ কি?
উত্তর :
 যেসব যৌগ দ্রাবকে দ্রবীভূত অবস্থায় ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নে বিয়ােজিত হয় সেসব যৌগকে পােলার যৌগ বলে।

প্রশ্ন-২. তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর :
 যে আইসোটোপগুলো বিভিন্ন ধরনের রশ্মি (α, β, γ) বিকিরণ করে অন্য মৌলের আইসোটোপে পরিণত হয়, তাকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে।

প্রশ্ন-৩. চুনাপাথরের সংকেত কি?
উত্তর :
 CaCO3

প্রশ্ন-৪. চিকিৎসাক্ষেত্রে কেন আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর :
 বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে ও নিরাময়ে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার করা হয়। ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করা যায় আইসোটোপের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ব্যবহার করে। এছাড়াও তেজস্ক্রিয় রশ্মি ব্যবহার করে ডাক্তারি যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা হয়।
এসব কারণেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন-৫. ফসফরাস পরমাণুর তৃতীয় কক্ষপথে কতটি ইলেকট্রন থাকে?
উত্তর :
 ৫টি।

প্রশ্ন-৬. সালফারের ইলেকট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর :
 ১৬।

প্রশ্ন-৭. দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর :
 দুই বা ততোধিক পদার্থ মিশ্রিত হয়ে যদি সমসত্ত্ব মিশ্রণ গঠন করে তবে সেই মিশ্রণকে দ্রবণ বলে। অর্থাৎ দ্রবণ হচ্ছে সমসত্ত্ব মিশ্রণ।

প্রশ্ন-৮. সেমি মাইক্রো অ্যানালাইটিক্যাল পদ্ধতি কি?
উত্তর :
 10 mg থেকে 100 mg এর কম পরিমাণ রাসায়নিক উপাদানের ক্ষেত্রে যে অ্যানালাইটিক্যাল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাই সেমি মাইক্রো অ্যানালাইটিক্যাল পদ্ধতি।

প্রশ্ন-৯. চুনের সংকেত কি?
উত্তর :
 CaO

প্রশ্ন-১০. সোডিয়ামের প্রতীক কি?
উত্তর :
 Na

প্রশ্ন-১১. কার্বনের যোজনী কোনটি?
উত্তর :
 ২ ও ৪।

প্রশ্ন-১২. লোহাকে সালফারের সাথে পোড়ালে কি উৎপন্ন হয়?

উত্তরঃ লোহার গুঁড়াকে সালফার চূর্ণের সাথে উত্তপ্ত করলে সম্পূর্ণ নতুন ধর্মবিশিষ্ট যৌগ ফেরাস সালফাইড গঠিত হয়। অর্থাৎ লোহাকে সালফারের সাথে পোড়ালে ফেরাস সালফাইড উৎপন্ন হয়।

Fe + 2S → FeS2

এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। কারণ লোহাকে সালফারের সাথে পোড়ালে যে ফেরাস সালফাইড উৎপন্ন হয় তার ধর্ম, লোহা ও সালফার-এর ধর্ম হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

প্রশ্ন-১৩. বরফ এর ঘনত্ব পানির চেয়ে কম কেন?
উত্তর :
 ১ অণু অক্সিজেন ও ২ অণু হাইড্রোজেনের মধ্যে হাইড্রোজন বন্ধন তৈরী হয়। যার ফলে বরফের অধিকাংশ অংশই ফাঁকা থাকে। সাধারণত যেকোনো বস্তুর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি থাকে তার কঠিন অবস্থায়। কিন্তু পানি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। পানি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সবচেয়ে বেশি ঘন থাকে। তাপমাত্রা কমতে থাকলে জমাট বাঁধার সঙ্গে সঙ্গে তার ঘনত্বও কমতে থাকে। পানির ভেতর হাইড্রোজেন বন্ধনের কারণে এমনটা হয়।

প্রশ্ন-১৪. এসিড ও ক্ষার কাকে বলে?
উত্তর :
 যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবণে H+ আয়ন উৎপন্ন করে তাকে বলা হয় এসিড। আর যে সকল যৌগ জলীয় দ্রবণে OH- আয়ন উৎপন্ন করে ও পানিতে দ্রবীভূত হয় তাকে বলা হয় ক্ষার।

প্রশ্ন-১৫. হ্যালোজেন কাকে বলে?
উত্তর :
 পর্যায় সারণির ১৭ নং গ্রুপের মৌলসমূহকে হ্যালোজেন বলা হয়। হ্যালোজেন অর্থ লবণ উৎপন্নকারী।

প্রশ্ন-১৬. ইলেক্ট্রন এর আবিষ্কারক কে?
উত্তর :
 ইলেক্ট্রন এর আবিষ্কারক জে জে থমসন।

প্রশ্ন-১৭. প্রক্রিয়া ও বিক্রিয়ার পার্থক্য কি?
উত্তর :
 প্রক্রিয়া হলো একটি পদ্ধতি বা নিয়ম। সেটা যেকোনো কিছুর ক্ষেত্রে হতে পারে। কিন্তু বিক্রিয়া বলতে মূলত রাসায়নিক বিক্রিয়া কেই বোঝায়। বিক্রিয়ায়, এক বা একাধিক পদার্থ নিজেদের মধ্যে বন্ধন ভাঙন বা গঠনের মাধ্যমে নতুন পদার্থ উৎপন্ন করে।

প্রশ্ন-১৮. সমযোজী যৌগ চিহ্নিত করার উপায় কি?
উত্তরঃ সমযোজী যৌগকে নিম্নরূপে চিহ্নিত করা যায়।
১. সমযোজী যৌগসমূহের গলনাংক ও স্ফুটনাংক কম হয়। যার কারণে কম তাপে সমযোজী যৌগ কঠিন অবস্থা থেকে তরল ও গ্যাসীয় অবস্থায় রূপান্তরিত হয়।
২. সমযোজী যৌগ কঠিন বা গলিত  কোন অবস্থাতেই বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।
৩. সমযোজী যৌগ পোলার দ্রাবক পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
৪. অধাতু-অধাতু ইলেকট্রন শেয়ারের মাধ্যমে সমযোজী বন্ধন গঠন করে।
৫. সমযোজী যৌগ সাধারণত অপোলার দ্রাবকে (যেমনঃ বেনজিন, ইথার ইত্যাদি) দ্রবীভূত হয়।
৬. অধিকাংশ সমযোজী যৌগ গ্যাসীয় অবস্থায় বিরাজ করে।

প্রশ্ন-১৯. ধূমায়মান সালফিউরিক এসিড কাকে বলে?
উত্তর :
 সালফার ট্রাইঅক্সাইড কে ৯৮% H₂SO₄ শোষণ করানোর মাধ্যমে যে নতুন যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে ধুমায়মান (fuming)সালফিউরিক এসিড বা ওলিয়াম( H₂S₂O₇) বলে।

প্রশ্ন-২০. মৌলিক খনিজ কাকে বলে?
উত্তর :
 যে সকল খনিজ মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায় তাদেরকে মৌলিক খনিজ বলে। যেমন : স্বর্ণ, হীরা, গন্ধক ইত্যাদি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *