Modal Ad Example
পড়াশোনা

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৬)

1 min read

প্রশ্ন-১। ভূ-চুম্বকত্বের মূল উপাদান কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন স্থানে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রাবল্যের মান ও দিক সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্য যে সব রাশির মান জানার প্রয়োজন হয় তাদেরকে ভূ-চুম্বকত্বের মূল উপাদান বলে। ভূ-চুম্বকত্বের মূল উপাদান তিনটি। যথা– ১। বিচ্যুতি; ২। বিনতি এবং ৩। ভূ-চৌম্বক প্রাবল্যের অনুভূমিক উপাংশ।

প্রশ্ন-২। হুকের সূত্রটি লিখ।
উত্তরঃ স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর পীড়ন এর বিকৃতির সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-৩। হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতিটি লেখ।
উত্তরঃ হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি: কোনো কণার অবস্থান ও ভরবেগ নির্ভুলভাবে যুগপৎ পরিমাপ করা যায় না।

প্রশ্ন-৪। নিম্ন স্থিরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ স্বাভাবিক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে যে তাপমাত্রায় বিশুদ্ধ বরফ গলতে শুরু করে তাকে নিম্ন স্থিরাঙ্ক বা বরফ বিন্দু বা হিমাঙ্ক (Ice point) বলে।

প্রশ্ন-৫। তাপমাত্রিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ তাপমাত্রার পরিবর্তনে যে সকল পদার্থের কোনো বিশেষ ধর্ম সুষমভাবে পরিবর্তিত হয় এবং এ ধর্মের পরিবর্তন লক্ষ করে তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায়, সে সকল পদার্থকে তাপমাত্রিক পদার্থ বলে।

প্রশ্ন-৬। ডেসিমেল সিস্টেম কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দৈর্ঘের একক সেন্টিমিটার, ভরের একক গ্রাম এবং সময়ের একক সেকেন্ড ধরা হয় তাকে ডেসিমেল সিস্টেম বলে।

প্রশ্ন-৭। আণবিক পাল্লা কাকে বলে?
উত্তরঃ দুইটি অণুর মধ্যকার সংসক্তি বল সর্বাপেক্ষা যতদূর পর্যন্ত অনুভূত হয় তাকে সংসক্তি বলের আণবিক পাল্লা বলে।

প্রশ্ন-৮। স্বীকার্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো যুক্তি বা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে যেসব পূর্বশর্তকে সত্য বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তাকে স্বীকার্য বলে।

প্রশ্ন-৯। অভিকর্ষ কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি বস্তুকে যেভাবেই রাখা হোক না কেন, বস্তুর ভেতরে অবস্থিত যে বিন্দুর মধ্য দিয়ে মোট ওজন ক্রিয়া করে সেই বিন্দুকে বস্তুর অভিকর্ষ কেন্দ্র বলে।

প্রশ্ন-১০। স্পর্শ কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কঠিন ও তরলের স্পর্শ বিন্দু থেকে বক্র তরল তলে অংকিত স্পর্শক কঠিন পদার্থের সাথে তরলের ভেতরে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে উক্ত কঠিন ও তরলের মধ্যকার স্পর্শ কোণ বলে।

প্রশ্ন-১১। স্বাধীনতার মাত্রা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো গতিশীল ব্যবস্থার অবস্থান সম্পূর্ণভাবে বোঝাতে মোট যে কয়টি স্বাধীনতার চলকের প্রয়োজন হয়, তাকে সেই ব্যবস্থার স্বাধীনতার মাত্রা বলে।

প্রশ্ন-১২। স্থিতিস্থাপক বিভব শক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর আকার, আয়তন বা দৈর্ঘ্য বিকৃতি ঘটানো হলে এর মধ্যে যে বিভব শক্তি জমা হয় তাকে স্থিতিস্থাপক বিভব শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৩। রেডিও টেলিস্কোপ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে তারকা, গ্যালাক্সি, কোয়াসার এবং অন্যান্য নভােমন্ডলীয় বস্তু থেকে প্রাকৃতিকভাবে নির্গত তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ (রেডিও তরঙ্গ) সনাক্ত ও পরিমাপ করে ঐ সব বস্তু সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানাে হয় তাকে রেডিও টেলিস্কোপ বলে।

প্রশ্ন-১৪। কুরী বিন্দু কাকে বলে?
উত্তরঃ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে থাকলে যে তাপমাত্রায় কোনো ফেরোচৌম্বক পদার্থ প্যারাচৌম্বক পদার্থে পরিণত হয় তাকে ঐ ফেরোচৌম্বক পদার্থের কুরীবিন্দু বলে।

প্রশ্ন-১৫। অভ্যন্তরীণ শক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রত্যক সিস্টেমের মধ্যে এমন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি সুপ্ত অবস্থায় থাকে যার দ্বারা সিস্টেমটি অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার শক্তি উৎপন্ন বা শক্তি রূপান্তর করতে পারে। সিস্টেমে সঞ্চিত এ শক্তিকে অভ্যন্তরীণ শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৬। অবিচ্ছিন্ন বর্ণালী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে নিঃসৃত বা নির্গমন বর্ণালীতে লাল হতে বেগুনী পর্যন্ত সাতটি বর্ণই একের পর এক অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে, তাকে অবিচ্ছিন্ন বর্ণালী বলে।

প্রশ্ন-১৭। বিদ্যুৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া আবিষ্কার করেন কে?
উত্তরঃ ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে ক্রিশ্চিয়ান ওয়েরস্টেড (H.C Oerested) বিদ্যুৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন-১৮। বিদ্যুৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে এর আশেপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। একে বিদ্যুৎ প্রবাহের চৌম্বক ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১৯। স্থিতি কোণ কাকে বলে?
উত্তরঃ আনত তলের ওপর রক্ষিত কোন বস্তু যে নতি কোণের জন্যে নিচের দিক গতিশীল হয় বা হওয়ার প্রবণতা দেখায় তাকে নিশ্চল কোণ বা স্থিতি কোণ বলে।

প্রশ্ন-২০। পদার্থের চুম্বকত্ব প্রমাণ পন্থাটি কি?
উত্তরঃ পদার্থের চুম্বকত্ব প্রমাণ পন্থাটি হলো দু’টি চুম্বকের সমধর্মী মেরু পরস্পরকে বিকর্ষণ এবং বিপরীতধর্মী মেরু পরস্পরকে আকর্ষণ করে।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x