Modal Ad Example
পড়াশোনা

জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১৫)

1 min read

প্রশ্ন-১। প্রাণিভূগােল কাকে বলে?
উত্তরঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় স্থান ও কালভেদে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাণিকূলের বিস্তার নিয়ন্ত্রনকারী বিভিন্ন ফ্যাকটর, তাদের পরিবেশ যেমন- জলবায়ু, ভূ-প্রকৃতির আবহাওয়া প্রভৃতি বিষয়গুলাে, অধ্যয়ন, আলােচনা, পর্যালােচনা ও গবেষণা করা হয় তাকে প্রাণিভূগােল বলে।

প্রশ্ন-২। জৈব প্রযুক্তি কি?
উত্তরঃ মানুষের কল্যাণে নতুন কিছু উৎপাদনে জীবের ব্যবহারই হলাে জৈব প্রযুক্তি। যেমন- জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি মানুষকে অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ, পােকামাকড় প্রতিরােধী এবং অধিক ফলনশীল উদ্ভিদ উৎপাদনে সহায়তা করছে।

প্রশ্ন-৩। সিলোম কি?
উত্তরঃ সিলোম হলো পৌষ্টিকনালি ও দেহ প্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান যা মেসোডার্মাল পেরিটোনিয়াম কলার আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে।

প্রশ্ন-৪। নিউরােট্রান্সমিটার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব রাসায়নিক বস্তু স্নায়ুকোষ থেকে নিঃসৃত হয়ে স্নায়ু উদ্দীপনা এক নিউরন হতে অন্য নিউরন কিংবা পেশিকোষ অথবা কোন গ্রন্থিতে পরিবহনে সহায়তা করে তাদের নিউরােট্রান্সমিটার বলে।

প্রশ্ন-৫। জিনতত্ত্ব বা জেনেটিক্স কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জিনের গঠন, কাজ, বংশপরম্পরায় সঞ্চারণের ধরণ ও ফলাফল সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে বংশগতিবিদ্যা বা জিনতত্ত্ব বা জেনেটিক্স (Genetics) বলে। উইলিয়াম বেটসন (William Bateson, 1861-1926) ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম Genetics শব্দ প্রচলন করেন।

প্রশ্ন-৬। রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্ত তঞ্চন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ক্ষতস্থান থেকে নির্গত হওয়া রক্তের প্লাজমা থেকে ফাইব্রিনোজেন আলাদা হয়ে ক্ষতস্থানে ফাইব্রিন জালক নির্মানের মাধ্যমে রক্তপাত বন্ধ করে ফলে রক্তের অবশিষ্টাংশ থকথকে পিণ্ডে পরিণত হয় সে প্রক্রিয়ার নাম রক্ত তঞ্চন বা রক্তের জমাট বাঁধা।

প্রশ্ন-৭। পেরিস্টালসিস প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় মুখগহ্বর থেকে খাদ্যদ্রব্য অন্ননালির মধ্য দিয়ে পাকস্থলিতে প্রবেশ করে তাকে পেরিস্টালসিস প্রক্রিয়া বলে। এ প্রক্রিয়ায় নালিগাত্রের পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণের ফলে খাদ্যদ্রব্য সামনের দিকে অগ্রসর হয়।

প্রশ্ন-৮। মানবদেহে ভিটামিন ‘সি’ এর কাজ কি?
উত্তরঃ ভিটামিন ‘সি’ মানবদেহের রক্তকোষের ভাঙন রোধ করে। এছাড়াও রক্তশূন্যতা দূর করে, দেহের ওজন বৃদ্ধি করে, দেহের দুর্বলতা রোধ করে এবং স্কার্ভিরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-৯। অভিকর্ষ উপলব্ধি কী?
উত্তরঃ ভ্রূণমূল বা ভ্রূণকাণ্ডের অগ্রাংশ, অভিকর্ষের উদ্দীপনা অনুভব করতে পারে। একে অভিকর্ষ উপলব্ধি বলে। অভিকর্ষের ফলে কোষের উপাদানগুলো নিচে স্থানান্তরিত হয়। এদের চাপ পড়ে পার্শ্বীয় কোষের প্রাচীরে। এর ফলে অভিকর্ষণীয় চলন দেখা দেয়।

প্রশ্ন-১০। প্যারালাইসিস কেন হয়?
উত্তরঃ প্যারালাইসিস সাধারণত মস্তিষ্কের স্ট্রোকের কারণে হয়। এছাড়া মেরুদন্ডের বা ঘাড়ের সুষুম্নাদণ্ডে আঘাত বা দূর্ঘটনাজনিত কারণে প্যারালাইসিস হতে পারে। স্নায়ুরোগ সুষুম্নাদণ্ডের ক্ষয় রোগ ও প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।

প্রশ্ন-১১। সাইনুসাইটিস কাকে বলে?
উত্তরঃ মাথার খুলিতে মুখমন্ডলীয় অংশে নাসা গহ্বরের দুপাশে অবস্থিত বায়ুপূর্ণ চারজোড়া বিশেষ গহ্বরকে সাইনাস বা প্যারান্যাসাল সাইনাস বলে। এসব সাইনাস যদি বাতাসের বদলে তরলে পূর্ণ থাকে এবং সে তরল যদি জীবাণুতে (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক) সংক্রমিত হয় তখন সাইনাসের মিউকাস ঝিল্লিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণে সাইনাসের মিউকাস ঝিল্লিতে সৃষ্ট প্রদাহকে সাইনুসাইটিস বলে।

প্রশ্ন-১২। বিএমআই (BMI) কী?
উত্তরঃ মানব দেহের গড়ন ও চর্বির একটি নির্দেশিত সূচকই হলাে বিএমআই (BMI) বা বডি মাস ইনডেক্স।

প্রশ্ন-১৩। বৃক্কীয় ক্যাটাগরি কি?
উত্তরঃ বৃক্ক নিজেই যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিশেষ করে এর টিস্যু ও পরিস্রাবক এককগুলো (গ্লোমেরুলি) বা এগুলো থেকে নির্গত নালিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন এ অবস্থাকে বৃক্কীয় ক্যাটাগরি বলে। সংক্রমণ, ক্যান্সার, ওষুধ বা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থের প্রতিক্রিয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-১৪। AIDS কেন হয়?
উত্তরঃ Human Immune Deficiency Virus (HIV) নামক এক ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে AIDS হয়। এই ভাইরাস শ্বেত রক্তকণিকার ধ্বংস সাধন করে ও এন্টিবডি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এই অবস্থাকেই AIDS বলে।

প্রশ্ন-১৫। ক্রোমােজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ক্রোমােজোম মাতা-পিতা হতে জিন সন্তান-সন্ততিতে বহন করে নিয়ে যায়। জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন চোখের রং, চুলের প্রকৃতি, চামড়ার গঠন ইত্যাদি ক্রোমােজোম কর্তৃক বাহিত হয়ে বংশগতির ধারা অক্ষুন্ন রাখে। এ কারণে ক্রোমােজোমকে বংশগতির ভৌত ভিত্তি বলা হয়।

প্রশ্ন-১৬। হেরিডিটি কি?
উত্তরঃ পিতামাতার বৈশিষ্ট্যগুলাে বংশানুক্রমে সন্তান সন্ততির দেহে সঞ্চারিত হওয়ার প্রক্রিয়াই হলাে হেরিডিটি বা বংশগতি। যেমন আমগাছের বীজ থেকে আমগাছ, পাটগাছের বীজ থেকে পাটগাছ, ধান বীজ থেকে ধান গাছ জন্মাতে দেখি। এভাবে বংশানুক্রমে প্রজাতির বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে।

প্রশ্ন-১৭। আন্তঃপ্রজাতিক প্রতিযোগিতা কি?
উত্তরঃ ভিন্ন দুটি প্রজাতির মধ্যে বেঁচে থাকার তাগিদে যে প্রতিযোগিতা হয় তাই আন্তঃপ্রজাতিক প্রতিযোগিতা। যেমন– সাপ, বেজি, প্রজাপতি, মৌমাছি ইত্যাদি পারস্পরিক সংগ্রামে লিপ্ত।

প্রশ্ন-১৮। বংশগতিবিদ্যা কি?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে বিশেষ শাখায় সকল প্রকার জীবের বংশগতি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তাকে এক কথায় বলা হয় বংশগতিবিদ্যা।

প্রশ্ন-১৯। সর্বভূক প্রাণী কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব প্রাণী সকল প্রকার খাদ্য অর্থাৎ, জীবিত ও মৃত খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে তাদেরকে সর্বভূক প্রাণী বলে।

প্রশ্ন-২০। ব্যাকটেরিয়াকে বিয়োজক বলা হয় কেন?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ এবং মৃতদেহ থেকে খাদ্য গ্রহন করে এবং পরিণামে এসব বর্জ্য বিয়োজিত হয়ে মাটি বা পানির সাথে মিশে যায়। এই মিশে যাওয়া উপাদান তখন উদ্ভিদের পক্ষে খাদ্য উপাদান হিসাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয়। তাই ব্যাকটেরিয়াকে বিয়োজক বলা হয়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x