পড়াশোনা

রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৩)

1 min read

প্রশ্ন-১। পানি কী? পানির রাসায়নিক সংকেত কী?
উত্তরঃ পানি হল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন অণুর সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগিক পদার্থ। পানির রাসায়নিক সংকেত হল H2O। এটি একটি অজৈব, স্বচ্ছ, স্বাদহীন, গন্ধহীন এবং প্রায় বর্ণহীন এক রাসায়নিক পদার্থ।

প্রশ্ন-২। পারমাণবিক ভরের সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ কোনো পরমাণুর প্রোটন ও নিউট্রনের সম্মিলিত ভরকে এর পারমাণবিক ভর বলে।

প্রশ্ন-৩। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তরঃ মৌলের যে সমস্ত আইসোটোপ বিভিন্ন ধরনের রশ্মি (α, β, γ) বিকিরণ করে অন্য মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয় তাদেরকে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ বলে। যেমন: 99TC60CO ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৪। লেসাইন পরীক্ষা কি?
উত্তরঃ জৈব যৌগে N, S, ও X মৌল সনাক্তকরণের জন্য সোডিয়াম ধাতুর সাথে জৈব যৌগকে গলিয়ে মূল দ্রবণ প্রস্তুতির পরীক্ষা হলো লেসাইন পরীক্ষা (Lassaigne Test)।

প্রশ্ন-৫। সেল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায়, তাকে সেল বলে। একে তড়িৎ কোষও বলা হয়।

প্রশ্ন-৬। নাইট্রোজেন চক্র কাকে বলে?
উত্তরঃ নাইট্রোজেন বায়ু থেকে মাটিতে, মাটি থেকে উদ্ভিদে, উদ্ভিদ থেকে জীবদেহে এবং জীবদেহ থেকে পুনরায় মাটি হয়ে বায়ুতে ফিরে আসার চক্রকে নাইট্রোজেন চক্র বলে।

প্রশ্ন-৭। বায়োস্ফিয়ার বা জীবমণ্ডল কি?
উত্তরঃ বায়োস্ফিয়ার বা জীবমণ্ডল হলো জীবের বসবাস করার অঞ্চল। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশ থেকে শুরু করে বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তর পর্যন্ত জীবের বসবাস করার অঞ্চলকে বায়োস্ফিয়ার বা জীবমণ্ডল।

প্রশ্ন-৮। ইউট্রোফিকেশন (Eutrophication) কি?
উত্তরঃ ইউট্রোফিকেশন হলো পানির এক প্রকারের দূষণ। যে পদ্ধতিতে হ্রদের তলদেশে জৈব পদার্থ ক্রমাগত জমা হওয়ার ফলে হ্রদ ভরাট হয় তাকে ইউট্রোফিকেশন বলে।

প্রশ্ন-৯। পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয় কেন?
উত্তরঃ পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়। কারণ, চুন মাটি ও পানি জীবাণুমুক্ত করে ও উর্বরতা বৃদ্ধি করে। পানির ঘোলাটে অবস্থা দূর করে এবং তলদেশের বিষাক্ত গ্যাস দূর করে।

প্রশ্ন-১০। অরবিট কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনাে পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে যে সুনির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে ইলেকট্রনগুলাে আবর্তন করে তাকেই অরবিট বলে।

প্রশ্ন-১১। স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ স্বাভাবিক চাপে (1 atm) যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় সেই তাপমাত্রাকে সেই পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে। যেমনঃ NaCl এর স্ফুটনাঙ্ক 1465°C।

প্রশ্ন-১২। ধাতুমলের উপাদানগুলাে কী কী?
উত্তরঃ ধাতুমলের উপাদানগুলাে হলো- সিলিকন অক্সাইড, চুন, ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, ম্যাঙ্গানিজ অক্সাইড, আয়রন অক্সাইড, ক্যালসিয়াম অক্সাইড, ক্যালসিয়াম সালফাইড ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৩। মােল ভগ্নাংশ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কোন পদার্থের মােল ভগ্নাংশ বলতে, মিশ্রণে ঐ পদার্থের মােল সংখ্যাকে মিশ্রণের মােট মােল সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে ভগ্নাংশ পাওয়া যায় তাকেই বােঝায়।

প্রশ্ন-১৪। লবণাক্ততা কাকে বলে?
উত্তরঃ মাটিতে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের ক্লোরাইড ও সালফেট লবণের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে লবণাক্ততা বলে।

প্রশ্ন-১৫। প্রোডিউসার গ্যাস কি?
উত্তরঃ শ্বেত-তপ্ত কোকের মধ্যে 1000 ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় পরিমিত পরিমাণে বাতাস চালনা করা হলে তাপ উৎপাদক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন গ্যাসকে প্রোডিউসার গ্যাস বলে।
এর সংযুতি হলো-
কার্বন মনোক্সাইড = 20 – 22%
নাইট্রোজেন = 60 – 65%
হাইড্রোজেন = 10 12%
মিথেন = 2 – 3%
কার্বন ডাইঅক্সাইড = 3 – 4%
প্রোডিউসার গ্যাসে উৎপন্ন কার্বন মনোক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের অনুপাত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায়। এর তাপন মূল্য 150 B.Th.U/1b। এটি জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-১৬। ওয়াটার গ্যাস কি?
উত্তরঃ শ্বেত-তপ্ত (1000°C) কোকের মধ্যে দিয়ে স্টীম পাঠালে, তাপশোষক বিক্রিয়ায়, হাইড্রোজেন ও কার্বন মনোক্সাইডের মিশ্রণ উৎপন্ন হয় যাকে ওয়াটার গ্যাস বলে।

প্রশ্ন-১৭। ফরমিক এসিড কি?
উত্তরঃ ফরমিক এসিড হল কার্বক্সিলিক এসিডের সমগোত্রীয় শ্রেণির প্রথম সদস্য। লাল পিঁপড়ার দেহে ফরমিক এসিড থাকে। যেহেতু পিঁপড়ার ল্যাটিন নাম formica তাই লাল পিঁপড়ার রস থেকে প্রাপ্ত এই এসিডের নাম দেওয়া হয়েছিল ফরমিক এসিড। মৌমাছি, বোলতা, ভীমরুল প্রভৃতি পতঙ্গের হুলেও এই এসিড থাকে।

প্রশ্ন-১৮। ক্রিস্টালয়েড কী?
উত্তরঃ  যদি কোনো যৌগের ব্যাস 1 nm এর ছোট হয় তবে পদার্থটি ক্রিস্টালয়েড।

প্রশ্ন-১৯। রাসায়নিক কর্মকান্ড বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ রাসায়নিক কর্মকান্ড বলতে আমরা রসায়ন শিল্পকেই বুঝি। এসব শিল্পের মধ্যে জ্বালানি সম্পদ আহরণ, বিশােধন, সংরক্ষণ ও ব্যবহার, সার শিল্প, সিরামিক শিল্প, চামড়া শিল্প, কাঁচ, সিমেন্ট শিল্প উল্লেখযােগ্য।

প্রশ্ন-২০। ভূগর্ভে কীভাবে কয়লার সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ লক্ষ-সহস্র বছর আগে পৃথিবীর বিশাল আকারের গাছ-গাছড়া ভূমিকম্প বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে কালক্রমে মাটি চাপা পড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ভূগর্ভের চাপ ও তাপের প্রভাবে এটা পরবর্তীতে কয়লায় রূপান্তরিত হয়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment