Modal Ad Example
পড়াশোনা

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৫)

1 min read

প্রশ্ন-১। সরল স্পন্দন গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পর্যায়বৃত্ত গতিসম্পন্ন বস্তুর গতি যদি সরলরৈখিক হয় এবং এর ত্বরণ সাম্যাবস্থা থেকে সরণ এর সমানুপাতিক হয় এবং এর দিক যদি সর্বদা সাম্যাবস্থান অভিমুখী হয় তবে ঐ বস্তুকণার গতিকে সরল স্পন্দন গতি বলে।

প্রশ্ন-২। p-n জাংশন ডায়োড কাকে বলে?
উত্তরঃ p-টাইপ পদার্থের সাথে n-টাইপ পদার্থ জোড়া লাগিয়ে যে ডিভাইস তৈরি হয় তাকে p-n জাংশন ডায়োড বলে।

প্রশ্ন-৩। বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ অসীম থেকে প্রতি একক ধনাত্মক আধানকে পরিবাহীর খুব নিকটে আনতে তড়িৎ বল দ্বারা বা তড়িৎ বলের বিরুদ্ধে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়, তাকে ঐ পরিবাহীর বিভব বলে।

প্রশ্ন-৪। অ্যানড্রোমেডা কী?
উত্তরঃ অ্যানড্রোমেডা একটি গ্যালাক্সি যাকে খালি চোখে দেখা যায় না।

প্রশ্ন-৫। কৌণিক গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যখন কোনো বস্তুকণা একটি বিন্দুকে কেন্দ্র করে বৃত্তকার পথে গতিশীল হয়, তখন এর গতিকে কৌণিক গতি বলে। বৈদ্যুতিক পাখার গতি, ঘড়ির কাঁটার গতি, লাটিমের গতি কৌণিক গতির উদাহরণ।

প্রশ্ন-৬। রোধের সমবায় কি? এটি কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ রোধের সমবায় বা সন্নিবেশ হলো একাধিক রোধকে একত্রে ব্যবহার করা। রোধের সমবায় দুই প্রকার। যথা: ১. শ্রেণি বা অণুক্রমিক সমবায় এবং ২. সমান্তরাল সমবায়।

প্রশ্ন-৭। কন্ডাক্টেন্স বা পরিবাহিতা কি? এর একক কি?
উত্তরঃ পরিবাহিতা হলো রোধের বিপরীত রাশি। কোনো পরিবাহকের মধ্য দিয়ে কত সহজে তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে পরিবাহিতা তারই পরিমাপক। যদি কোনো পরিবাহকের রোধ R হয়, তবে পরিবাহিতা G কে নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়।
G = 1/R
পরিবাহিতার একক সিমেন্স (s)।

প্রশ্ন-৮। অপেক্ষক কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি একটি রাশি অন্য একটি রাশির উপর নির্ভর করে, তাহলে গণিতের ভাষায় ঐ নির্ভরশীল রাশিটিকে অপরটির অপেক্ষক বলে।

প্রশ্ন-১০। অসংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বলের ক্রিয়া অভিমুখ যদি বস্তুর গতি অভিমুখের উপর নির্ভর করে তবে ঐ বলকে অসংরক্ষণশীল বল বলে।

প্রশ্ন-১১। সরল দোলন গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি কোনাে পর্যাবৃত্ত গতি সম্পন্ন বস্তুর ত্বরণ তার সাম্যাবস্থান থেকে সরণের সমানুপাতিক এবং বিপরীতমুখী অর্থাৎ সর্বদা সাম্য বিন্দু অভিমুখী হয় তবে ঐ বস্তুর গতিকে সরল দোলন গতি বলে।

প্রশ্ন-১২। মেঘাচ্ছন্ন রাত্রি অপেক্ষা মেঘশূন্য রাত্রি শিশির জমার জন্যে সহায়ক কেন?
উত্তরঃ দিনের বেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বাতাস গরম থাকে এবং জলীয় বাষ্প দ্বারা অসম্পৃক্ত থাকে। মেঘহীন রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং পরিশেষে এমন একটি তাপমাত্রায় উপনীত হয় যখন বাতাস জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হয় এবং জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে শিশির জমে।
কিন্তু আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকিরণ করে ঠাণ্ডা হতে পারে না। কারণ মেঘ তাপরােধী পদার্থ বলে ভূপৃষ্ঠ হতে বিকিরণজনিত তাপ পরিবাহিত হতে পারে না। ফলে ভূপৃষ্ঠ ঠাণ্ডা হয় না এবং শিশির জমে না।

প্রশ্ন-১৩। লঘিষ্ঠ ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ স্ফেরোমিটারের সাহায্যে ক্ষুদ্রতম যে দূরত্ব পরিমাপ করা যায় তাকে এর লঘিষ্ঠ ধ্রুবক বলে। বৃত্তাকার স্কেলকে মাত্র এক ঘর ঘুরালে এটি রৈখিক স্কেল বরাবর যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে তা-ই লঘিষ্ঠ ধ্রুবক। যন্ত্রের পিচকে বৃত্তাকার স্কেলের মোট ভাগ সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে লঘিষ্ঠ ধ্রুবকের মান পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-১৪। সরল ছন্দিত গতি কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো দোলনরত কণার ত্বরণ সাম্যাবস্থান থেকে এর দূরত্বের সমানুপাতিক ও সব সময় সাম্যাবস্থানের অভিমুখী হলে ঐ কণার গতিকে সরল ছন্দিত গতি বলে।

প্রশ্ন-১৫। বিভব পার্থক্য 500V বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বিভব পার্থক্য 500V বলতে বোঝায় যে, বর্তনীর এক বিন্দু হতে অন্য কোনো এক বিন্দুতে একক আধানকে স্থানান্তর করতে সম্পাদিত কাজের পরিমাণ 500 J।

প্রশ্ন-১৭। মহাকর্ষীয় ধ্রুবককে বিশ্বজনীন ধ্রুবক বলা হয় কেন?
উত্তরঃ 1 kg ভরের দুটি কণার মধ্যবর্তী দূরত্ব 1 m হলে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তাকে মহাকর্ষ ধ্রুবক বলে।
মহাকর্ষ ধ্রুবকে বিশ্বজনীন ধ্রুবক বলা হয়। কারণ এটা বস্তু কণাদ্বয়ের প্রকৃতি, মধ্যবর্তী মাধ্যমের প্রকৃতি, তাপমাত্রা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে না, সকল ক্ষেত্রে সর্বাবস্থায় এ ধ্রুবকের মান একই থাকে।

প্রশ্ন-১৮। কোন ক্ষেত্রে শব্দেতর তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ শব্দেতর কম্পনের শব্দ মানুষ শুনতে না পেলেও কোনো কোনো জীবজন্তু শুনতে পায়। হাতি এই কম্পনের শব্দ দ্বারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। কোনোরূপ বিকৃতি ছাড়া এই শব্দ বহুদূর পর্যন্ত যেতে পারে। ভূমিকম্প এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় এই শব্দেতর কম্পনের সৃষ্টি হয় এবং প্রবল ঝাকুনির মাধ্যমে ধ্বংস যজ্ঞ চালায়।

প্রশ্ন-১৯। গোলীয় তলে কোন ধরনের প্রতিফলন ঘটে এবং কেন?
উত্তরঃ গোলীয় তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে। কারণ গোলীয় মসৃণ তলে এক গুচ্ছ সমান্তরাল আলোক রশ্মি আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর অভিসারী বা অপসারী রশ্মিগুচ্ছে পরিণত হয় এবং প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-২০। মানব দেহের রোধ কত?
উত্তরঃ গায়ের চামড়া শুকনো থাকলে মানবদেহের রোধ প্রায় ৫০,০০০ ওহম কিন্তু চামড়া ভেজা থাকলে এর রোধ কমে হয় প্রায় ১০,০০০ ওহম। সুতরাং ভেজা অবস্থায় শরীরের রোধ কম হওয়ায় এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। এ জন্য ভেজা হাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা বিপজ্জনক

5/5 - (11 votes)
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x