কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১)

প্রশ্ন-১। হাইব্রিড কম্পিউটার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে কম্পিউটার এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটার এর সমন্বয়ে গঠিত তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে। এ ধরনের কম্পিউটারে তথ্য গ্রহণ করা হয় এনালগ পদ্ধতিতে এবং এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে।

প্রশ্ন-২। ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটার কি?
উত্তরঃ পার্সোনাল কম্পিউটারের চেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার হলো ওয়ার্কস্টেশন কম্পিউটার। এ ধরনের কম্পিউটারের প্রসেসর ও অন্যান্য হার্ডওয়্যার অত্যন্ত ক্ষমতাসমপন্ন হয়। অনেক বড় জটিল গাণিতিক সমস্যা দ্রুত ও সূক্ষ্মভাবে সমাধানের জন্য ইমেজ প্রসেসিং ও বিশ্লেষণের কাজ এ ধরনের কম্পিউটারে করা যায়।

প্রশ্ন-৪। কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন এক ধরনের ডিজাইন কার্যক্রম। যা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের উন্নয়ন বিশ্লেষণ, অথবা পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা হয়।

প্রশ্ন-৫। প্রেজেন্টেশন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ সাধারণত প্রেজেন্টেশন বলতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় কোন বিষয়কে দর্শকদের সামনে প্রদর্শন করাকে বুঝায়। প্রযুক্তিগত ভাষায় প্রেজেন্টেশন বলতে পাওয়ারপয়েন্টের ফাইলকে বুঝায়। একটি প্রেজেন্টেশনে এক বা একাধিক স্লাইড থাকে।

প্রশ্ন-৬। কম্পিউটার জালিয়াতি কাকে বলে?
উত্তরঃ তথ্য-প্রযুক্তিতে কম্পিউটার জালিয়াতি একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা। অবৈধভাবে কারো ওয়েব-এ ঢুকে তথ্য চুরি করাকে কম্পিউটার জালিয়াতি বলে। যারা চুরি করে তাদেরকে হ্যাকার বলা হয়।

প্রশ্ন-৭। রিফ্রেশ রেট কি?
উত্তরঃ রিফ্রেশ রেট হলো পিক্সেলের ব্রাইটনেস ঠিক রাখার জন্য প্রতি সেকেন্ডে পিক্সেলগুলো কতবার রিচার্জ হয় তার সংখ্যা। রিফ্রেশ রেট যত বেশি হবে ইমেজ স্ক্রিনে তত বেশি দৃঢ় দেখাবে। রিফ্রেশ রেট কে হার্টজ এককে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-৮। ফর্মুলা কি?
উত্তরঃ ওয়ার্কশিটে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংখ্যাগুলোর ভিত্তিতে যোগ, বিয়োগ, গুণ ভাগ, শতকরা ইত্যাদির হিসাবের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় ফর্মুলা। ফর্মুলা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়।

প্রশ্ন-৯। কম্পিউটারের রম কী?
উত্তরঃ কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিকে রম (ROM) বলা হয়। কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসর রম চিপের নির্দেশ পড়তে পারে এবং ব্যবহার করতে পারে। রমে রাখা কোন নির্দেশ মুছে ফেলা যায় না এবং পরিবর্তন করা যায় না।

প্রশ্ন-১০। পাথ কাকে বলে?
উত্তরঃ অবজেক্টের প্রান্তরেখা মূলত একাধিক রেখাংশ বা সেগমেন্ট (Segment) এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। বিশেষ প্রয়োজনে একটিমাত্র রেখাংশ বা সেগমেন্ট বিশিষ্ট রেখাও ব্যবহার করতে হয়। অবজেক্টের প্রান্তরেখা বা বর্ডার রেখাকে বলা হয় পাথ (Path)। একটিমাত্র সরল রেখাকেও পাথ (Path) বলা হয়।

প্রশ্ন-১১। ফাইল সংরক্ষণ কাকে বলে?
উত্তরঃ নতুন ডকুমেন্ট তৈরি করার পর একে বিভিন্ন স্টোরেজে সংরক্ষণ করা যায় ভিন্ন ভিন্ন নামে। এভাবে ডকুমেন্টকে স্টোরেজে সংরক্ষণ করে রাখার প্রক্রিয়াকে ফাইল সংরক্ষণ বলে।

প্রশ্ন-১৩। HAL-4000 কি?
উত্তরঃ HAL-4000 হলো ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি মার্কিন বিজ্ঞানী স্ট্যানলি কুরবিক কর্তৃক আবিষ্কৃত একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার। এটি মানুষের মুখের ভাষা বুঝে কোন বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনা করতে পারে। ভালো দাবাও খেলতে পারে।

প্রশ্ন-১৪। কম্পিউটার পেরিফেরালস কী?
উত্তরঃ পেরিফারাল হলো কম্পিউটারে সংযুক্ত অতিরিক্ত ডিভাইস যা নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। পেরিফারাল এর সাহায্যে কম্পিউটারে উপাত্ত ও নির্দেশ প্রদান, কম্পিউটার হতে ফলাফল গ্রহণ এবং ফলাফল সংরক্ষণ করা হয়। যেমন- প্রিন্টার, প্লটার ডিস্ক, ডিস্ক ড্রাইভ, সিডি-রম ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৫। কী-বোর্ড বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ কি-বোর্ড দেখতে টাইপরাইটার মেশিনের মতো। এর বাটনগুলোতে চাপ দিয়ে টাইপ করে কম্পিউটারে তথ্য ও নির্দেশ প্রদান করা হয়।

প্রশ্ন-১৬। প্রিন্টার কোন ধরনের ডিভাইস?
উত্তরঃ প্রিন্টার একটি আউটপুট ডিভাইস।

প্রশ্ন-১৭। কপিরাইট আইন কাকে বলে?
উত্তরঃ সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপি বা পুনরুৎপাদন এবং অবৈধ ব্যবহার বন্ধের জন্য যে আইনের বিধান তৈরি হয়েছে তাকে কপিরাইট আইন বা কপিরাইট বলে।

প্রশ্ন-১৮। এভিআই (AVI) কি?
উত্তরঃ AVI হচ্ছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বহুলভাবে ব্যবহৃত একটি অডিও ফাইল ফরমেট। এর পুরো নাম Audio Video Interleave।

প্রশ্ন-১৯। পাইথন তৈরি করেন কে?
উত্তরঃ ১৯৯১ সালে Gudio Van Rossum তৈরি করেন ।

প্রশ্ন-২০। মেমোরি অ্যাকসেস কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কন্ট্রোল এককের কোনকিছু পাঠ বা লেখার জন্য মেমোরির সাথে অ্যাকসেস করাকে মেমোরি অ্যাকসেস (Memory Access) বলে। মেমোরি অ্যাকসেস প্রধানত চার (৪) প্রকার। যথা– ১. Random Access; ২. Serial Access; ৩. Direct Access এবং ৪. Cyclic Access

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *