ইলেকট্রনিক্স বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩)
প্রশ্ন-১। ওয়েবক্যাম (WebCam) কি?
উত্তরঃ ওয়েবক্যাম হলো একটি ভিডিও ক্যামেরা যা কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে রিয়েল টাইম ইমেজ বা ভিডিও আদান প্রদান করে। এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাটিং করা যায়। এর মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে ভিডিও দেখে নিরাপত্তার কাজ করা যায় এবং ভিডিও রেকর্ডিংও করা যায়।
প্রশ্ন-২। রেফ্রিজারেটিং ইফেক্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো হিমায়িত স্থান হতে একক ভরের হিমায়ক যে পরিমাণ তাপ শোষণ করে তাকে রেফ্রিজারেটিং ইফেক্ট বলে। কোনো হিমায়ন যন্ত্রের একক ভরের হিমায়ক পরিপার্শ্বের চেয়ে ঠাণ্ডা বস্তু হতে তাপ শোষণ করে যত বেশি শীতলতা সৃষ্টি করতে পারে তার রেফ্রিজারেটিং ইফেক্ট তত বেশি হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৩। ভিআইআর (VIR) এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ ভিআইআর (VIR) এর পূর্ণরূপ- Vulcanized India Rubber।
প্রশ্ন-৪। এলইডি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ডায়োডের মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হলে আলো নির্গত হয়, তাকে এলইডি (LED) বলে।
প্রশ্ন-৫। ভোল্টেজ রেগুলেটর আইসি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল আইসি এর সাহায্যে ভোল্টেজকে রেগুলেট বা নিয়ন্ত্রণ করা হয় ঐ সকল আইসিকে ভোল্টেজ রেগুলেটর আইসি বলে। ভোল্টেজ রেগুলেটর আইসির কাজ হচ্ছে ভোল্টজকে রেগুলেট বা নিয়ন্ত্রণ করা। যেমন- IC 7805.
প্রশ্ন-৬। বৈদ্যুতিক প্রাক্কলন কী বোঝায়?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক প্রাক্কলন হচ্ছে কোন বৈদ্যুতিক প্লান বা স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় নিরূপণের প্রক্রিয়া। যেমন– উক্ত কাজ সম্পন্ন করতে কত দিন লাগবে, কত টাকা ব্যয় হবে ইত্যাদি হিসাব নিকাশ করার প্রক্রিয়াকে প্রাক্কলন বা এস্টিমেটিং বলে।
প্রশ্ন-৭। নিরাপদ কর্মপদ্ধতি কাকে বলে?
উত্তরঃ নিরাপত্তা শর্তগুলো যথার্থভাবে অনুশীলন করে ইলেকট্রিক্যাল কাজ করাকে নিরাপদ কর্মপদ্ধতি বলে। অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে বিপদমুক্ত রেখে বৈদ্যুতিক কার্য সুষ্ঠুভাবে সমাধা করা যায় তাকে নিরাপদ কর্মপদ্ধতি বলে।
প্রশ্ন-৮। প্যারালাল সার্কিট কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সার্কিটে লোডগুলো প্যারালালে সংযুক্ত থাকে, তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে। অন্যভাবে বলা যায়, যে সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ থাকে তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
প্রশ্ন-৯। শক্তি স্তর রৈখিক চিত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ ইলেকট্রনের কক্ষপথ যত বড় হয়, ইলেকট্রনের শক্তিও তত বেশি হয়। ফলে শক্তিও তত উচ্চ হয়। পরমাণুতে ইলেকট্রনের বিভিন্ন কক্ষ পথের সাথে সংশিষ্ট শক্তিকে একটি রৈখিক চিত্রের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এই চিত্রকে শক্তি স্তর রৈখিক চিত্র বলে।
প্রশ্ন-১০। রাডার কী? কত সালে রাডার আবিষ্কৃত হয়?
উত্তরঃ রাডার হচ্ছে এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যার সাহায্যে দৃষ্টির বাইরের কোনো বস্তুকে খুঁজে বের করা যায় এবং দূরত্ব নির্ণয় করা যায়। ১৯৩৫ সালে রাডার আবিষ্কৃত হয়।
প্রশ্ন-১১। অসিলেটরের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো কী কী?
উত্তরঃ অসিলেটরের প্রয়োজনীয় উপাদান তিনটি। যথা :
১. ইন্টারনাল অ্যামপ্লিফায়ার।
২. ফিডব্যাক সার্কিট।
৩. ট্যাংক সার্কিট।
প্রশ্ন-১২। E-6032 দ্বারা কী বুঝায়?
উত্তরঃ E-6032 দ্বারা ইলেকট্রোডের স্পেসিফিকেশন বুঝায়, যার প্রথম বর্ণ E দ্বারা ইলেকট্রিক আর্ক ইলেকট্রোড, 60 দ্বারা ইলেকট্রিক ধাতুর টানশক্তি 60,000 পাউন্ড/বর্গ ইঞ্চি, 3 দ্বারা ফ্লাট নিম্নমুখী পজিশন এবং সর্বশেষ 2 দ্বারা কোটিং টাইটানিয়া সোডিয়াম বুঝায়।
প্রশ্ন-১৩। এমসিবি কাকে বলে?
উত্তরঃ মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকারের সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে এমসিবি। যে সার্কিট ব্রেকার আকারের দিক থেকে ছোট এবং স্বল্প কারেন্টে পরিচালিত হয় তাকে এমসিবি বলে।
প্রশ্ন-১৪। ডিজিটাল মিটারের সুবিধা কি?
উত্তরঃ ডিজিটাল মিটারের সুবিধাগুলো হলো–
১. মিটার রিডিং এ ভুলের সম্ভাবনা কম থাকে।
২. রিডিং নিতে সময় কম লাগে।
৩. দক্ষ লোকের প্রয়োজন হয় না।
৪. এর পাওয়ার খরচ কম।
৫. ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট তৈরিতে সফলতা প্রায় শতভাগ।
প্রশ্ন-১৫। কি কারণে ফিউজ পুড়ে যায়?
উত্তরঃ যে সমস্ত কারণে ফিউজ পুড়ে যায় সেগুলো হল–
১. শর্ট সার্কিট জনিত কারণে,
২. অতিরিক্ত লোডের কারণে,
৩. আর্থ লিকেজের কারণে।
প্রশ্ন-১৬। ওহম মিটার কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ পরিমাপ করা হয়, তাকে ওহম মিটার বলে। এটি একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। এর সাহায্যে রেজিস্ট্যান্স ওহম এককে পরিমাপ করা যায়।
প্রশ্ন-১৭। আপাত পাওয়ার কি?
উত্তরঃ ভোল্টেজ (V) এবং কারেন্টের (I) গুণফলকে আপাত পাওয়ার বলে। এর প্রতীক Pa এবং এর একক ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার (VA) এবং অথবা কিলোভোল্ট অ্যাম্পিয়ার (KVA)।
প্রশ্ন-১৮। ওয়্যারিং কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি তারের নাম লিখ।
উত্তরঃ ওয়্যারিং কাজে ব্যবহৃত ১০ টি তারের নাম নিচে দেয়া হলো :
১. পিভিসি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড) তার।
২. ভিআইআর (ভলকানাইজ্ড ইন্ডিয়া রাবার) তার।
৩. সিটিএস তার।
৪. টিআরএস তার।
৫. শীথড তার।
৬. ওয়েদার প্রুফ তার।
৭. ফ্লেক্সিবল তার।
৮. প্লাস্টিক ইনসুলেটেড তার।
৯. ইউরেকা তার।
১০. নাইক্রোম তার।
প্রশ্ন-১৯। CCTV কি?
উত্তরঃ CCTV বা ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন এক ধরনের ভিডিও যোগাযোগ পদ্ধতি যা উৎসবিন্দু হতে সংকেত গ্রহণ করে নির্দিষ্ট কিছু রিসিভারে পাঠায়। এটি মূলত বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত কাজে বিশেষ করে নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-২০। রোধের বর্ণ কোড বা কালার কোড কী?
উত্তরঃ বর্ণ কোড বা কালার কোডের সাহায্যে রোধকের মান নির্ণয় করা হয়। রোধকের উপর সাধারণত চারটি রঙ্গিন পট্টি এঁকে রোধের মান নির্দেশ করা হয়। রোধকের মান নির্দেশ করার এই পদ্ধতিকে কালার কোড বলে।