প্রশ্ন-১. মোলার দ্রবণের একক কী?
উত্তর : মোলার দ্রবণের একক হলো mo1 L -1।
প্রশ্ন-২. ppm অর্থ কি?
উত্তর : ppm অর্থ হলো Parts per million।
প্রশ্ন-৩. ppmv এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : ppmv এর পূর্ণরূপ হলো- parts per million by volume.
প্রশ্ন-৪. HCL এসিডের তুল্য ভর কত?
উত্তর : HCL এসিডের তুল্য ভর 36.5।
প্রশ্ন-৬. এক মোল পরমাণু অক্সিজেন কত গ্রাম?
উত্তর : এক মোল পরমাণু অক্সিজেন হলো 16g অক্সিজেন।
প্রশ্ন-৭. অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যার মান কত?
উত্তর : অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যার মান 6.023×1023।
প্রশ্ন-৮. SATP তে আয়তন কত?
উত্তর : SATP তে আয়তন 24.789 L।
প্রশ্ন-৯. প্রমাণ চাপ কাকে বলে?
উত্তর : 0°C তাপমাত্রায় সমুদ্রপৃষ্ঠে 45° অক্ষাংশে 760 mm বিশুদ্ধ পারদস্তম্ভ যে চাপ দেয় তাকে প্রমাণ চাপ বলে।
প্রশ্ন-১০. অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর : 1 mole ভরে নির্দিষ্ট সংখ্যক অণু, পরমাণু, আয়ন বা ইলেকট্রন থাকলে এ সংখ্যাকে অ্যাভোগেড্রোর সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন-১২. ডেসিমোলার দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় 1L দ্রবণে দ্রব্যের এক দশমাংশ মোল দ্রবীভূত একে ডেসিমোলার দ্রবণ বলে।
প্রশ্ন-১৩. সেমিমোলার দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোনো দ্রবণের প্রতি লিটার আয়তনে অর্ধমোল (0.5 মোল) দ্রব দ্রবীভূত থাকলে, সে দ্রবণকে ঐ দ্রব্যের সেমিমোলার দ্রবণ বলে।
প্রশ্ন-১৪. মোলারিটি কাকে বলে?
উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় কোন দ্রবণের প্রতি লিটার বা প্রতি ঘন ডেসি মিলি আয়তনে বা 1000cm3 আয়তনে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে বা গ্রাম আণবিক ওজনের সংখ্যাকে ঐ দ্রবণের মোলারিটি বলে।
প্রশ্ন-১৫. মোলালিটি কাকে বলে?
উত্তর : কোন দ্রবণের প্রতি 1000 গ্রাম দ্রাবকে দ্রবীভূত দ্রব্যের মোল সংখ্যাকে ঐ দ্রবণে দ্রব্যের মোলালিটি বলে।
প্রশ্ন-১৬. অ্যাভোগেড্রো সংখ্যা, মোলার আয়তন, মোল ও আণবিক ভরের মধ্যে সম্পর্ক লিখ।
উত্তর : আণবিক ভর = এক গ্রাম অণু
= এক মোল = STP তে 22.4 লিটার
= 6.023 × 1023 টি অণু।
প্রশ্ন-১৭. STP কী?
উত্তর : STP এর পূর্ণরূপ হলো Standard Temperature and pressure বা আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপ। এ পদ্ধতিতে তাপমাত্রা 0°C বা 273 K ও চাপ 1 atm ধরা হয়।
প্রশ্ন-১৮. গ্রাম আণবিক ভর বা মোল কাকে বলে?
উত্তর : কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে তাকে গ্রাম আণবিক ভর বা মোল বলে।
প্রশ্ন-১৯. মোলার আয়তন কাকে বলে?
উত্তর : এক মোল পরিমাণ আয়তনকে মোলার আয়তন বলে।
প্রশ্ন-২০. জারণ বিক্রিয়া কি?
উত্তর : জারণ বিক্রিয়া হলো এমন এক ধরনের বিক্রিয়া যা ইলেকট্রন ত্যাগের মাধ্যমে ঘটে।
প্রশ্ন-২১. সমাপ্তি বিন্দু বা প্রশমন বিন্দু কাকে বলে?
উত্তর : টাইট্রেশনের যে অবস্থায় বিক্রিয়াটির পরিমাণগত পরিসমাপ্তি ঘটে তাকে উক্ত টাইট্রেশনের সমাপ্তি বিন্দু বা প্রশমন বিন্দু বলে।
প্রশ্ন-২২. প্রমাণ দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তর : টাইট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য যে দ্রবণের ঘনমাত্রা জানা থাকে তাকে প্রমাণ দ্রবণ বলে।
প্রশ্ন-২৩. দৃশ্যমান আলোর উৎস কি?
উত্তর : দৃশ্যমান আলোর উৎস টাংস্টেন ল্যাম্প।
প্রশ্ন-২৪. দর্শক আয়ন কী?
উত্তর : জলীয় দ্রবণে যে আয়নগুলো বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না সেগুলোই দর্শক আয়ন।
প্রশ্ন-২৫. জারণ ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কোন যৌগের বিশেষ পরমাণুর যোজ্যতা বৃদ্ধি পায় তাকে জারণ ক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-২৬. বিজারণ ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল বিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কোন যৌগের কোন বিশেষ পরমাণুর যোজ্যতা হ্রাস পায় তাকে বিজারণ ক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-২৭. টাইট্রেশন কী?
উত্তর : উপযুক্ত নির্দেশকের উপস্থিতিতে কোন নির্দিষ্ট আয়তনের প্রমাণ দ্রবণের সাথে একটি অজানা ঘনমাত্রার দ্রবণের বিক্রিয়া ঘটিয়ে এবং বিক্রিয়ার শেষ বিন্দু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অজানা দ্রবণের আয়তন পরিমাপ করে অজানা দ্রবণটির ঘনমাত্রা নির্ণয় করার পদ্ধতিকে টাইট্রেশন বলা হয়।
প্রশ্ন-২৮. আয়োডিমিতি কী?
উত্তর : প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে বিভিন্ন বিজারক পদার্থের টাইট্রেশন করার মাধ্যমে এদের ঘনমাত্রা বা পরিমাণ নির্ণয় করার পদ্ধতিকে আয়োডিমিতি বলা হয়।
প্রশ্ন-২৯. আয়োডোমিতি কী?
উত্তর : রাসায়নিক বিক্রিয়া দ্বারা আয়োডিন মুক্ত করে তাকে একটি জারক পদার্থের যেমন- সোডিয়াম থায়োসালফেট দ্রবণ দ্বারা টাইট্রেশন করার পদ্ধতিকে আয়োডোমিতি বলা হয়।
ল্যাম্বার্টের সূত্র কী?
উত্তরঃ কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কোনো একটি নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের একবর্ণী আলোক রশ্মি প্রবাহিত করলে মাধ্যমের পুরুত্বের সাথে আলোকের তীব্রতা হ্রাসের হার আলোকের তীব্রতার সমানুপাতিক হয়। এটিই ল্যাম্বার্টের সূত্র।
স্টয়কিওমেট্রি কাকে বলে?
উত্তরঃ রসায়নের যে শাখায় বিক্রিয়ার সমতাকৃত সমীকরণ ব্যবহার করে বিক্রিয়ক ও উৎপাদ অণুর সংখ্যা, মোল সংখ্যা, ভর বা আয়তন হিসাব করা হয় তাকে স্টয়কিওমেট্রি (Stoichiometry) বলে।
স্টয়কিওমেট্রি-তে বিক্রিয়কের পরিমাণ ও উৎপাদের পরিমাণের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর সাহায্যে অতিরিক্ত বিক্রিয়কের পরিমাণ, লিমিটিং বিক্রিয়ক ও উৎপাদের শতকরা পরিমাণ নির্ণয় করা যায়।
টাইট্রেশনে KMnO4 ব্যবহারের সুবিধা
উত্তর : টাইট্রেশনে KMnO4 ব্যবহারের সুবিধা হলো KMnO4 একটি স্ব-নির্দেশক। তাই KMnO4 দ্বারা টাইট্রেশনে কোনো নির্দেশকের প্রয়োজন হয় না। কেননা, এর বর্ণ অত্যন্ত তীব্র এবং 100 mL পানিতে 0.1 mL 0.02 M KMnO4 যোগ করলে এর সুস্পষ্ট হালকা পিংক বা গোলাপি বর্ণ দেখা যায়।
সালফিউরিক এসিডকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলা হয় কেন?
উত্তর : গাঢ় সালফিউরিক এসিডকে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড পদার্থ বলা হয়। কারণ একে বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া দুষ্কর। বায়ুর সংস্পর্শে এসে পরিবর্তিত হয়ে যায় অর্থাৎ বায়ুর উপাদান CO2, O2 জলীয়বাষ্প প্রভৃতি দ্বারা H2SO4 আক্রান্ত হয়। আবার রাসায়নিক নিক্তিতে পরিমাপের সময় এর ক্ষতি সাধন করে এবং বায়ুর সংস্পর্শে ভরের পরিবর্তন ঘটায়। তাই এসব কারণে গাঢ় H2SO4-কে সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড বলে।