পড়াশোনা
1 min read

পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩৪)

প্রশ্ন-১। টর্ক কোন ধরনের রাশি?
উত্তরঃ টর্ক একটি ভেক্টর রাশি।

প্রশ্ন-২। প্রান্তিক বেগ কি?
উত্তরঃ অভিকর্ষের প্রভাবে কোনো প্রবাহীর মধ্য দিয়ে গতিশীল কোনো বস্তু সর্বোচ্চ যে বেগে উপনীত হলে নিট বল শূন্য হয় এবং বস্তুটি সমবেগে চলতে থাকে, সে বেগকে বলা হয় প্রান্তিক বেগ।

প্রশ্ন-৩। “সুষম রৈখিক গতিতে ত্বরণ থাকে না কিন্তু সুষম বৃত্তাকার গতিতে ত্বরণ থাকে কেন?
উত্তরঃ সুষম রৈখিক গতিতে বেগের পরিবর্তন শূন্য হওয়ায় অর্থাৎ, বেগের মান ও দিক উভয়ই অপরিবর্তিত থাকায় ত্বরণ থাকে না। কিন্তু সুষম বৃত্তাকার গতিতে বেগ সর্বদা বৃত্তাকার পথের যেকোন বিন্দুতে স্পর্শক বরাবর ক্রিয়া করে। এজন্য বেগের মান এক হলেও দিক সর্বদা পরিবর্তনশীল হওয়ায় বেগের পরিবর্তনের মান শুন্য হয় না। এজন্য সুষম বৃত্তাকার গতিতে ত্বরণ থাকে।

প্রশ্ন-৪। মহাবিশ্বে পরম গতি বা স্থিতি বলে কিছু নেই- ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোন প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোন বস্তু যদি গতিশীল থাকে তবে এ অবস্থাকে আমরা গতি বলি। আর যদি প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে কোন বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন না ঘটে তবে তাকে আমরা স্থিতি বলি। কিন্তু বস্তুর এই গতি বা স্থিতি সবই আপেক্ষিক, পরম নয়। কেননা মহাবিশ্বের সবকিছুই প্রতিনিয়ত ঘুরছে। মহাবিশ্বের কোন কিছুই স্থির নয়। আর তাই কোন বস্তুর গতি বা স্থিতি পরম হতে পারে না। সুতরাং মহাবিশ্বে পরম গতি বা স্থিতি বলে কিছুই নেই সবই আপেক্ষিক।

প্রশ্ন-৫। উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুর গতিবেগ হ্রাস পায় কেন?
উত্তরঃ উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুর ওপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষ বলের দিক নিচের দিকে। তাই অভিকর্ষজ ত্বরণের দিকও খাড়া নিচের দিকে। ফলে উপরের দিকে নিক্ষিপ্ত বস্তুর সর্বদা মন্দন ঘটে এবং এ কারণে নিক্ষিপ্ত বস্তুর গতিবেগ হ্রাস পায়।

প্রশ্ন-৬। সমবেগ সম্পন্ন কণার দ্রুতি অসম হতে পারে না কেন?
উত্তরঃ বেগ একটি ভেক্টর রাশি, যার মান ও দিক দুই-ই আছে।

তাই বেগের মান ও দিক উভয়ই অপরিবর্তিত থাকলে বলা যায় কণাটি সমবেগ সম্পন্ন। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি, যার শুধু মান আছে। ফলে বেগের মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকলে দ্রুতির মানও অপরিবর্তিত থাকবে। তাই সমবেগ সম্পন্ন কণার দ্রুতি অসম হতে পারে না।

প্রশ্ন-৭। এক বৈদ্যুতিক ইউনিট সমান কত?
উত্তরঃ এক বৈদ্যুতিক ইউনিট সমান- এক ওয়াট সেকেন্ড।

প্রশ্ন-৮। মহাকর্ষ বলের অপর নাম কি?
উত্তরঃ মহাকর্ষ বলের অপর নাম  হলো মাধ্যাকর্ষণ বল।

প্রশ্ন-৯। সমবেগের সূত্র কি?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর নির্দিষ্ট বেগ ও নির্দিষ্ট সময়ের গুণফলকে সমবেগ বলে। সমবেগের সূত্রটি হলো, s = vt.

প্রশ্ন-১০। সবল নিউক্লিয় বল তড়িৎ চৌম্বক বল অপেক্ষা কতগুন শক্তিশালী?
উত্তরঃ সবল নিউক্লিয় বল তড়িৎ চৌম্বক বল অপেক্ষা একশত গুণ শক্তিশালী।

প্রশ্ন-১১। মৌলিক বলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল কোনটি?
উত্তরঃ মৌলিক বলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল বল হলো মহাকর্ষ বল।

প্রশ্ন-১২। সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল কোনটি?
উত্তরঃ সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল হলো সবল নিউক্লিয় বল।

প্রশ্ন-১৩। তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস থেকে বিটা রশ্মি বের হয় কোন বলের কারণে?
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস থেকে বিটা রশ্মি বের হয় দুর্বল নিউক্লিয় বলের কারণে।

প্রশ্ন-১৪। কত সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক কোয়ান্টাম তত্ত্ব দেন?
উত্তরঃ ১৯০০ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক কোয়ান্টাম তত্ত্ব দেন।

প্রশ্ন-১৫। সময় মাপার জন্য কী ঘড়ি ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ সময় মাপার জন্য থামা ঘড়ি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-১৬। কিসের মাধ্যমে কোন কিছু সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করা যায়?
উত্তরঃ ভার্নিয়ার স্কেলের মাধ্যমে কোনো কিছু সূক্ষ্মভাবে পরিমাপ করা যায়।

প্রশ্ন-১৭। কিভাবে নিখুঁতভাবে গোলকের ব্যাস নির্ণয় করা যায়?
উত্তরঃ স্ক্রু গজ ব্যবহার করে নিখুঁতভাবে গোলকের ব্যাস নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন-১৮। পদার্থবিজ্ঞানের কয়টি মূল অংশ?
উত্তরঃ পদার্থবিজ্ঞানের ২ টি মূল অংশ।

প্রশ্ন-১৯। শূন্য ঘরের চেয়ে লোক ভর্তি ঘরের শব্দ কম হয় কেন?
উত্তরঃ শূন্য ঘরের চেয়ে লোক ভর্তি ঘরের শব্দ কম হয় কারন লোক ভর্তি ঘরে শব্দের শোষণ বেশি হয়।

প্রশ্ন-২০। কোন পদার্থ প্রকৃতিতে কঠিন, তরল, বায়বীয় অবস্থায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ পানিকে প্রকৃতিতে কঠিন, তরল, বায়বীয় অবস্থায় পাওয়া যায়।

Rate this post