পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩৬)

প্রশ্ন-১। কার্যাপেক্ষক কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো ধাতব পৃষ্ঠ থেকে শূন্য বেগ সম্পন্ন ইলেকট্রন নির্গত করতে যতটুকু শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে ঐই ধাতুর কার্যাপেক্ষক বলে। কার্যাপেক্ষককে সাধারণত ইলেকট্রন ভোল্ট এককে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন-২। লব্ধি বল বা নীট বল কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি কোন বস্তুকণার উপর একই সময়ে একাধিক বল ক্রিয়াশীল হয়, তবে বলসমূহের ভেক্টর সমষ্টিকে লব্ধি বল বা নীট বল বলে।

প্রশ্ন-৩। পদার্থবিজ্ঞান পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ পদার্থবিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্য মূলত তিনটি। প্রথমটি হলোঃ প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন। যেমন: পূর্বে মানুষ জানতো না যে, চুম্বক এবং বিদ্যুৎ হলো পদার্থের একই ধর্মের দুটি ভিন্ন বহিঃপ্রকাশ। যা বর্তমানে সর্বজনবিদীত। আরেকটি উদ্দেশ্য হলো- প্রকৃতির নিয়মগুলো জানা। যেমনঃ পদার্থবিজ্ঞানের কল্যাণে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যে, পৃথিবী নয় বরং সূর্যের চতুর্দিকে সকল গ্রহ-উপগ্রহ অনবরত ঘুরছে। পদার্থবিজ্ঞান পাঠের তৃতীয় উদ্দেশ্য হলো- প্রাকৃতিক নিয়ম ব্যবহার করে প্রযুক্তির বিকাশ।

প্রশ্ন-৪। দুটি আহিত বস্তুর মধ্যে কোন বল বিদ্যমান?
উত্তরঃ দুটি আহিত বস্তুর মধ্যে কুলম্ব বল বিদ্যমান।

প্রশ্ন-৫। মহাকর্ষ বলের আপেক্ষিক তীব্রতা কত?
উত্তরঃ মহাকর্ষ বলের আপেক্ষিক তীব্রতা 1।

প্রশ্ন-৬। লেজার কি?
উত্তরঃ লেজার হলো একবর্ণী, প্রচণ্ড তীব্রতা ও শক্তিসম্পন্ন এবং সুসংহত আলোকরশ্মির বীম।

প্রশ্ন-৭। স্বর-মাধুর্য কাকে বলে?
উত্তরঃ কতগুলো শব্দ যদি একের পর এক ধ্বনিত হয়ে একটি সুমধুর সুরের সৃষ্টি করে তবে তাকে স্বর-মাধুর্য বা মেলোডি বলে।

প্রশ্ন-৮। দুটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য 10V বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ দুটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য 10V বলতে বুঝায়, বিন্দুদ্বয়ের মধ্যে 1C চার্জ স্থানান্তরে 10J কাজ সম্পন্ন হয়।

প্রশ্ন-৯। নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র কি?
উত্তরঃ নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র হলো– “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।”

প্রশ্ন-১০। পরিবাহীর বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি একক ধনাত্মক চার্জকে অসীম দূরত্ব থেকে কোন পরিবাহীর খুব কাছে নিয়ে আসতে যে পরিমাণ কাজ হয় তাকে ঐ পরিবাহীর বিভব বলে।

প্রশ্ন-১১। অতিপরিবাহী কি?
উত্তরঃ অতিপরিবাহী বা সুপার-কন্ডাক্টার হল কিছু পদার্থের উপর অতিশৈত্যের প্রভাবে উদ্ভূত এমন পরিবাহী ধর্ম যাতে বিদ্যুত পরিবহনের রোধ শুন্য হয়ে যায়।

প্রশ্ন-১২। হিসটেরেসিস কী?
উত্তরঃ ফেরো চৌম্বক পদার্থকে চুম্বকায়নের সময় একটি বিশেষ ঘটনা লক্ষ্য করা যায় যা হিসটেরেসিস নামে পরিচিতি।

প্রশ্ন-১৩। তাপ পরিবাহকত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পদার্থের একক পুরুত্ব ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন খণ্ডের দুই বিপরীত সমান্তরাল পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এক কেলভিন হলে, প্রতি সেকেন্ডে এর উষ্ণ পৃষ্ঠ থেকে শীতল পৃষ্ঠে লম্বভাবে যে পরিমাণ তাপ পরিবহন পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয় তার মানকে ঐ পদার্থের পরিবাহকত্ব বলে।

প্রশ্ন-১৪। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান উপাদান কি?
উত্তরঃ কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান উপাদান।

প্রশ্ন-১৫। আধানের তলমাত্রিক ঘনত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবাহকের পৃষ্ঠের কোনো বিন্দুর চারদিকে প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ আধান থাকে তাকে ঐই বিন্দুর আধানের তলমাত্রিক ঘনত্ব বলে।

প্রশ্ন-১৬। পানি কি ধরনের শক্তি?
উত্তরঃ পানি নাবায়নযোগ্য শক্তি।

প্রশ্ন-১৭। ক্ষমতা কি ধরনের রাশি?
উত্তরঃ ক্ষমতা স্কেলার রাশি।

প্রশ্ন-১৮। শক্তির উৎস কত প্রকার?
উত্তরঃ শক্তির উৎস ২ প্রকার।

প্রশ্ন-১৯। শক্তির সাধারণ রূপ কি?
উত্তরঃ যান্ত্রিক শক্তি শক্তির সাধারণ রূপ।

প্রশ্ন-২০। বায়ুপাম্প কে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ বায়ু পাম্প আবিষ্কার করেন ভন গুয়েরিক।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *