Modal Ad Example
পড়াশোনা

অষ্টম শ্রেণির কৃষি শিক্ষা প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read

প্রশ্ন-১। মিশ্র মাছ চাষের পুকুরের আয়তন কত শতক হলে তা ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়?

উত্তরঃ মিশ্র মাছ চাষের পুকুরের আয়তন ৩০-৫০ শতক হলে তা ব্যবস্থাপনায় সুবিধা হয়।

প্রশ্ন-২। লবণাক্ততা কাকে বলে?

উত্তরঃ মাটিতে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের ক্লোরাইড ও সালফেট লবণের পরিমাণ বেশি থাকলে তাকে লবণাক্ততা বলে।

প্রশ্ন-৩। প্রতিকূল পরিবেশ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন অঞলে যখন জলবায়ু ও পরিবেশগত অবস্থার কারণে ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয় সে অবস্থাকে প্রতিকূল পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন-৪। খরা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হলে বা দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হলে মাটিতে রসের ঘাটতির ফলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় সেই অবস্থাকে খরা বলে।

প্রশ্ন-৫। সংক্রামক কী?

উত্তরঃ যে সকল রোগ রোগাক্রান্ত পশু হতে সুস্থ পশুর দেহে সংক্রমিত হয় তাই সংক্রামক রোগ?

প্রশ্ন-৬। বিদেশি কার্প কাকে বলে?

উত্তরঃ ক্রমবর্ধমান মাছের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অধিক উৎপাদনের জন্য পুকুর, নালা, খালবিল ও জলাশয়ে চাষযোগ্য ভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা কার্প জাতীয় মাছকে বিদেশি কার্প বলে।

প্রশ্ন-৭। লবণাক্ত মাটিতে ফসল ভালো জন্মায় না কেন?

উত্তরঃ মাটিতে লবণের ঘনত্ব বেড়ে গেলে মাটি থেকে ফসলের পুষ্টি উপাদান ও পানি শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়। লবণের বিভিন্ন আয়নসমূহ মাটিস্থ অন্যান্য আয়নগুলোকে আবদ্ধ করে রাখে। এছাড়াও লবণের ঘনত্ব বাড়লে কোষরস ও মাটিস্থ রসের ঘনত্বের তারতম্যের কারণে কোষরস আর অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় পুষ্টি সংগ্রহ করতে পারে না। এ কারণেই লবণাক্ত মাটিতে ফসল ভালো জন্মায় না।

প্রশ্ন-৮। মিশ্র চাষ কাকে বলে?

উত্তরঃ রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাদ্য নিয়ে প্রতিযোগিতা করে না, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরে বাস করে এবং বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে এসব গুণের কয়েক প্রজাতির মাছ একই পুকুরে একত্রে চাষ করাকেই মিশ্র চাষ বলে।

প্রশ্ন-৯। গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ গলদা ও বাগদা চিংড়ির মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ

গলদা চিংড়ি

১। মিঠা পানিতে বাস করে।

২। গলদা চিংড়ির মাথা ও দেহ প্রায় সমান।

৩। পুরুষ গলদার ২য় জোড়া পা বেশ বড়।

৪। কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্র চাষ করা যায়।

বাগদা চিংড়ি

১। লোনা পানিতে বাস করে।

২। বাগদা চিংড়ির মাথা দেহের থেকে ছোট হয়।

৩। বাগদা চিংড়ির সব পা একই আকৃতির।

৪। কার্প জাতীয় মাছের সাথে মিশ্র চাষ করা যায় না।

প্রশ্ন-১০। মাছের পোনা সরাসরি পুকুরে ছাড়া উচিত নয় কেন?

উত্তরঃ পুকুরে ছাড়ার পূর্বে মাছের পোনা ভর্তি পলিব্যাগ বা পাত্র পুকুরের পানিতে ১৫-২০ মিনিট ভাসিয়ে রাখতে হয়। পোনা এনে সরাসরি পুকুরে ছাড়লে হঠাৎ পানির তাপমাত্রা পরিবর্তন হওয়ায় পোনার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং পোনা মারা যেতে পারে। তাই মাছের পোনা সরাসরি পুকুরে ছাড়া উচিত নয়।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x