Modal Ad Example
পড়াশোনা

নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ১০ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

1 min read

হেমাটাইটের রাসায়নিক সংকেত কি?

উত্তরঃ হেমাটাইটের রাসায়নিক সংকেত হলো Fe2O3।

রুটাইল কোন মৌলের আকরিক?

উত্তরঃ রুটাইল হলো টাইটানিয়াম মৌলের আকরিক।

আকরিক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল খনিজ হতে সহজে ও লাভজনক উপায়ে ধাতু নিষ্কাশন করা যায় তাদেরকে আকরিক বলে।

কোক (Coke) কাকে বলে?

উত্তরঃ খনি থেকে আহরিত কয়লাকে তাপ দিলে বিভিন্ন উদ্বায়ী যৌগ গ্যাস হিসেবে নির্গত হয়। গ্যাস নির্গত হওয়ার পর প্রাপ্ত অবশেষকে কোক (Coke) বলে।

খনিজ কি?

উত্তরঃ খনিজ এক ধরনের যৌগিক পদার্থ, যা প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া ৯৮টি মৌলিক পদার্থের দুই বা ততোধিক পদার্থের রাসায়নিক সংযোগে খনিজ গঠিত হয়। তবে কিছু কিছু খনিজ শুধুমাত্র একটি মৌলিক পদার্থ দ্বারা গঠিত।

খনি কাকে বলে?

উত্তরঃ যে অঞ্চল থেকে খনিজ উত্তোলন করা হয় তাকে খনি বলে।

সোডিয়াম নাইট্রেটের খনিজ নাম কি?

উত্তরঃ সোডিয়াম নাইট্রেটের খনিজ নাম চিলি সল্টপিটার।

বক্সাইট কি?

উত্তরঃ বক্সাইট হলো অ্যালুমিনিয়ামের আকরিক।

কাস্ট আয়রন কী?

উত্তরঃ লোহার অক্সাইড আকরিক। যেমন— ম্যাগনেটাইট বা হেমাটাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে ঘনীভবন, ভস্মীকরণ, বিগলন ইত্যাদি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় গলিয়ে কালচে শক্ত পিণ্ড আকারে ব্যত্যাচুল্লি থেকে বের করে আনা হয়। এ লোহাকে কাস্ট আয়রন বা পিগ আয়রন বা ঢালাই লোহাও বলা হয়।

ইস্পাত তৈরিতে লোহার সাথে কী মিশ্রিত করা হয়?

উত্তরঃ ইস্পাত তৈরিতে লোহার সাথে কার্বন মিশ্রিত করা হয়।

স্পর্শ পদ্ধতিতে সালফিউরিক এসিড উৎপাদনের অত্যানুকূল তাপমাত্রা কত?

উত্তরঃ স্পর্শ পদ্ধতিতে সালফিউরিক এসিড উৎপাদনের অত্যানুকূল তাপমাত্রা 450°C – 550°C।

অলিয়াম কাকে বলে? অলিয়াম এর সংকেত কি?

উত্তরঃ ধূমায়মান সালফিউরিক এসিডকে অলিয়াম বলে। অলিয়ামের সংকেত হলো H2S2O7। একে পাইরোসালফিউরিক এসিডও বলা হয়।

ডুরালুমিন-এ অ্যালুমিনিয়াম এর শতকরা সংযুক্তি কত?

উত্তরঃ ডুরালুমিন-এ অ্যালুমিনিয়াম এর শতকরা সংযুক্তি 95%।

অপদ্রব্য বা খনিজমল কী?

উত্তরঃ আকরিক হতে ধাতু নিষ্কাশনের সময় আকরিক ব্যতীত অন্যান্য কিছু পদার্থ আকরিকের সাথে মিশ্রিত থাকে যা অপদ্রব্য বা খনিজমল হিসেবে পরিচিত।

ম্যাগমা কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল শিলা ভূ-গর্ভের অনেক গভীরে থাকে, যা ভূ-গর্ভের উচ্চতাপে গলে যায় তাদেরকে ম্যাগমা বলে।

কার্বন বিজারণ পদ্ধতি কাকে বলে?

উত্তরঃ বিশেষ প্রকৃতির চুল্লীতে তাপ জারণের ফলে উৎপন্ন ধাতব অক্সাইডকে, উচ্চ উষ্ণতায় কোক দ্বারা বিজারিত করে ধাতুতে পরিণত করার পদ্ধতিকে কার্বন বিজারণ পদ্ধতি বলে।

তাপজারণ কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে ধাতুর সালফাইড আকরিককে বায়ুর উপস্থিতিতে উত্তপ্ত করে ধাতব অক্সাইডে পরিণত করা হয় তাকে তাপজারণ বলে।

সংকর ধাতু কী?

উত্তরঃ গলিত অবস্থায় একাধিক ধাতুকে মিশ্রিত করে যে ধাতু তৈরি করা হয় তাই হলো সংকর ধাতু।

ভস্মীকরণ বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ ভস্মীকরণ (Calcination) বলতে ঘনীকৃত আকরিককে গলনাংকের চেয়ে কম তাপমাত্রায় বায়ুর অনুপস্থিতিতে উত্তপ্ত করাকে বোঝায়। এর ফলে আকরিক থেকে জৈব উপাদান ও জলীয়বাষ্প দূরীভূত হয়। এ প্রক্রিয়ায় ধাতুর আর্দ্রঅক্সাইড বা কার্বনেট, ধাতব অক্সাইডে পরিণত হয়।

ব্লিস্টার কপার কাকে বলে?

উত্তরঃ অবিশুদ্ধ কপারকে ব্লিস্টার কপার বলে।

আকরিক থেকে স্ববিজারন প্রক্রিয়ায় কপার নিষ্কাশনের জন্য বেসিমারকরণ প্রক্রিয়ায় বিগলিত কপার ছাঁচে শীতল হতে থাকলে দ্রবীভূত সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস বের হয়ে আসে ও কপারের গায়ে ফোস্কার মতো দাগ পড়ে। এজন্য এই কপারকে ব্লিস্টার কপার বলা হয়। ব্লিস্টার কপারে 98% কপার থাকে।

“সকল খনিজই আকরিক নয়”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ খনিজ বলতে আমরা সেসব শিলাস্তূপকে বুঝি যা ভূ-পৃষ্ঠে বা ভূ-গর্ভে অবস্থিত এবং তাতে কোনো মূল্যবান ধাতু বা অধাতু মুক্ত মৌল বা যৌগ হিসেবে অবস্থান করে। যেমন- লোহা বা আয়রনের খনিজ ম্যাগনেটাইট।

অন্যদিকে আকরিক হলো সে সকল খনিজ যা থেকে অর্থনৈতিক লাভজনকভাবে কোনো ধাতু নিষ্কাশন করা যায়। যেমন— লোহা বা আয়রনের আকরিক হেমাটাইট৷

যেহেতু সব খনিজ থেকে ধাতু নিষ্কাশন করা লাভজনক নয়। তাই সকল আকরিক খনিজ হলেও সকল খনিজ আকরিক নয়।

ধাতু নিষ্কাশন একটি বিজারণ প্রক্রিয়া— ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ ধাতু নিষ্কাশনে বিভিন্ন ধাতুর অক্সাইড যেমন PbO, ZnO এবং Fe3O3 প্রভৃতিকে কার্বন গুড়া বা কার্বন মনোক্সাইড দ্বারা বিজারিত করে মুক্ত ধাতুতে পরিণত করা হয়। যেমন—

প্রকৃতিতে প্রাপ্ত অধিকাংশ ধাতু এভাবে কার্বন বিজারণের মাধ্যমে নিষ্কাশন করা হয়। তাই বলা যায় ধাতু নিষ্কাশন একটি বিজারণ প্রক্রিয়া।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

Leave a Comment

x